সর্বশেষ আপটেড

ঘর সাজানাের জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা থাকার প্রয়ােজনীয়তা

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি তোমরা খুব ভালো আছো। আজ তোমাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য রয়েছে ৭ম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের ৩য় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : ঘর সাজানাের জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা থাকার প্রয়ােজনীয়তা।

১৫তম সপ্তাহে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ অধিদপ্তর কর্তৃক সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১৫ তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমূহ প্রদান করা হয়।

সপ্তম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট :

ঘর সাজানাের ক্ষেত্রে তুমি যে সকল জিনিস নিজে তৈরি করতে পার। তার একটি তালিকা প্রস্তুত কর। প্রদর্শিত তালিকার জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা থাকার প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি) :

বাড়ির অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস যেমন- বােতল, মাটির হাড়ি, পেনসিল, কাগজ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবে এবং ৭ম শ্রেণির প্রথম অধ্যায়ের পাঠ ১৭ থেকে ২০ এর সহায়তা নিবে।

৭ম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের ৩য় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান

ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার প্রয়োজনীয়তা

আমরা সবাই কমবেশি ঘর সাজাতে ভালোবাসি। কিন্তু পরিবারের মাসের খোরাক জুগিয়ে, ডাক্তার-বদ্যির ফি আর পানি-বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে ঘর সাজানোর নিত্যনতুন অনুষঙ্গ কেনা আসলেই খুব দুরূহ হয়ে পড়ে। অথচ একটু বুদ্ধি খরচ করলে আর কিছুটা সৃজনশীলতার পরিচয় দিলে যৎসামান্য খরচেই নিজেদের বাড়িঘর নান্দনিক রূপে সাজিয়ে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয় নিজেদের সুপ্ত সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর কথা। পুরো বিশ্বেই এই নিজেরা করি, ‘ডু ইট ইয়োরসেলফ’ বা সংক্ষেপে ‘ডিআইওয়াই’-এর ধারণা অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কার্যকর গৃহসজ্জার ক্ষেত্রে। অবসর সময়ে আমরা অনেকেই শুধু মুঠোফোন, টেলিভিশন, নেটফ্লিক্স, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইত্যাদির মধ্যে ডুবে থেকে অলস সময় পার করি। অথচ শখের কাজ যেগুলো আগে ঘরে ঘরে প্রচলিত ছিল, সেগুলো নিঃসন্দেহে এর থেকে অনেক ভালো আর ঘর সাজানোর অনন্য সব উপকরণ হাজির করে দিতে পারে প্রায় বিনা পয়সায়।

শখের সূচিকর্ম বা কুরুশ কাঁটার কাজের কথাই ধরা যাক না! খুঁজলে আজও আমাদের অনেকের বাড়িতে আলমারির কোণে বা পুরোনো ট্রাংকে মাতামহীর হাতে পরম যত্নে সেলাই করা ভরাট কাজের ফুল, লতা, পাতা, পাখি বা ‘মায়ের দোয়া’ লেখা এক টুকরো ভাঁজ করা কাপড় পাওয়া যাবে। অমূল্য স্মৃতিবিজড়িত এই শিল্পকর্মগুলো ফ্রেমিং করে নিলে একেবারে অসাধারণ সব ওয়ালপিস পেতে পারি আমরা। এই সূচিশিল্পগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আর সেই সঙ্গে ইন্টারনেটে পাওয়া হাজারো নমুনা দেখে নিজের কল্পনার মিশেলে এমন সূচিকর্ম, ক্রস স্টিচের কাজ, কুরুশ কাঁটার কাজ করে বাঁধিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ঘরের সৌন্দর্য অসামান্য রকমের বাড়িয়ে তোলা যায়।

ঘর সাজানাের জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা থাকার প্রয়ােজনীয়তা।

আগের দিনের মতো টি-কোজি, ন্যাপকিন, বালিশ বা কুশনকভার, টেবিলক্লথ ইত্যাদিতেও নিজের হাতের কাজের ছোঁয়া অত্যন্ত সুরুচির পরিচয় দেয়। আবার সৃষ্টিশীল মনকে কাজে লাগালে রংবেরঙের কাগজ দিয়ে ‘কুইলিং’ করা যায়, ধান-ডাল-শর্ষে আঠা দিয়ে বসিয়ে চিত্র তৈরি করা যায়। নিজে আঁকিবুঁকি করা শখের হাঁড়ি, রিকশা পেইন্টিংয়ের আদলে রাঙিয়ে নেওয়া বাক্স, রঙিন মোম বা পুঁতি দিয়ে বানানো শোপিস, কাপড়ের পুতুল—এসবই ঘর সাজানোর অসাধারণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠতে পারে। আর ছবি আঁকার শখ থাকলে তো কথাই নেই। তেলরং, জলরং বা মিশ্র মাধ্যমে করা নিজের হাতের চিত্রকর্ম, ক্যালিগ্রাফি বা ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো বসার ঘরটি ঘরে-বাইরের সবার মুগ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আর এতে যে আত্মিক প্রশান্তি বা সন্তুষ্টি পাওয়া যায়, তা লাখ টাকা দিয়ে কেনা দামি দামি শোপিসে কখনোই মিলবে না।

এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ঘর সাজানোর ব্যাপারটিতে শিশুদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তাদের মতামত ও রুচিকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের নিজেদের বানানো অরিগ্যামি (কাগজ ভাঁজ করে বানানো শিল্প), এঁটেল মাটি বা প্লে ডো দিয়ে বানানো নানা রকম শিশুসুলভ জিনিস, লেগো ব্লক দিয়ে গড়া গাড়ি-বাড়ি, এসব দিয়ে তাদের নিজেদের ঘরটি সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতে সাহায্য করলে অল্প বয়সেই তাদের মধ্যে গৃহসজ্জার ব্যাপারে সুরুচি আর আগ্রহ তৈরি হবে।

ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে তৈরি করতে পারা যায় এরকম বস্তুর তালিকা ও বিবরণঃ

১) প্লাস্টিকের বোতলের ঝাড়বাতি

বোতলের নিচের অংশ কেটে রঙ করে নিন। শুকিয়ে গেলে আঠা দিয়ে বা ফুটো করে জোড়া দিন, ভেতরে সেট করুন পছন্দসই লাইট। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আনকমন ঝাড়বাতি। খরচ খুবই সামান্য। বানিয়ে চমকে দিন আপনজনদের।

২) প্লাস্টিকের বোতলের মাছের পিঠের মতো ঝাড়বাতি

বড় একটি বোতল নিয়ে নিচের অংশ কেটে ফেলে দিন। এবার ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিকের চামচের ডাঁটা কেটে ফেলুন। চামচের ওপরের অংশ আঠা দিয়ে সেট করুন বোতলের গায়ে। মাছের আঁশের মতো করে বসান। বোতলের মুখের জায়গায় পরপর সেট করুন আরো কিছু চামচের মাথা, এতে মুখটা ঢাকা পড়ে যাবে। এরপর একটা বাল্ব তারের সাথে সংযুক্ত করে বোতলের ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দিন। তৈরি চমৎকার ঝোলানো ল্যাম্প! 

৩) প্লাস্টিকের বোতলের জুয়েলারি স্ট্যান্ড

৪টি রঙিন বোতলের নিচের অংশ কেটে নিন। ফুলের মতো হবে। মাঝে ছিদ্র করুন। এরপর একটি ফুল উপুড় করে বসিয়ে ছিদ্র দিয়ে স্টিলের রিং আর ডাঁটা সংযুক্ত করুন। এরপর বাকি ৩টি ফুল একটু দূরে দূরে সোজা করে বসান। সবার উপরের ফুলের মাঝে পছন্দমতো পুঁতি বসিয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল টুকটাক গহনা রাখার দারুণ স্ট্যান্ড! 

৪) প্লাস্টিকের বোতলের ফুলেল ল্যাম্প

রঙিন বোতলের নিচের অংশ কেটে নিন। এরপর আঠা দিয়ে জোড়া দিয়ে একটি গোলক বানান। একদম নিচে মাঝখানে ফাঁকা রাখুন। এরপর একটা ল্যাম্পস্ট্যান্ডের ওপর বসিয়ে দিন। দুর্দান্ত ল্যাম্পশেড তৈরি! 

৫) প্লাস্টিকের বোতলের কার্টুন টব

বোতলের নিচের অংশ কার্টুনের শেপে কাটুন। কানের জন্য বাড়তি অংশ রাখবেন। বাচ্চাদের প্রিয় যেকোনো কার্টুন ক্যারেক্টার এঁকে নিন রঙ দিয়ে। শুকিয়ে গেলে সুতা বেঁধে ঝুলিয়ে দিন ঘরের কোনায়। ভেতরে গাছ লাগিয়ে দিন। দেখতে তো দারুণ লাগবেই, বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে গাছের যত্নও শিখবে। দেরি না করে ট্রাই করে ফেলুন বাচ্চাদের সাথে নিয়ে! 

৬) প্লাস্টিকের বোতলের পাতার ঝোলানো ল্যাম্প

সবুজ পাতা দিয়ে বানানো ঝুলন্ত ল্যাম্প বানাতে পারেন একটু কষ্ট করলেই! সবুজ, সাদা, হলুদ, বাদামী এমন নানা রঙের বোতল থেকে পাতা কেটে নিন। পাতার ধার মসৃণ করা ও শিরা বানানোর জন্য গরম লোহা দিয়ে সাবধানে শেপ করুন। এরপর তার দিয়ে ডাল বানিয়ে পাতাগুলো সেট করুন। ডালের একমাথা খালি রাখুন। পাতাগুলো নিচের দিকে দিয়ে গোল করে শেপ দিন। শেষে পছন্দমতো বাল্ব সেট করুন। রাতে তো দারুণ লাগবেই, দিনেও অসাধারণ লাগবে দেখতে। সতেজ সবুজ ঝুলন্ত ল্যাম্প বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিন প্রিয়জনকে! 

৭) প্লাস্টিকের বোতলের ফুলদানী

কোমল পানীয়ের বোতল নিন যেগুলো নিচে একটু বাঁকানো থাকে। মাঝ বরাবর কেটে নিন ছবির মতো। এরপর খাঁজ কাটুন। কাটা হলে হাতের চাপে ছড়িয়ে সেট করুন। এরপর প্রত্যেকটা খাঁজ বাঁকিয়ে দিন। তৈরি অন্যরকম ফুলদানী। অতিথি এলে চটপট বানিয়ে ফুল রেখে চমকে দিন সবাইকে! 

৮) প্লাস্টিকের বোতলের স্বচ্ছ পর্দা

স্বচ্ছ বোতলের নিচের ফুল এক মাপে কেটে নিন। একটা পর্দা তৈরির জন্য যতগুলো প্রয়োজন, এটা নির্ভর করবে আপনি কোন মাপে বানাবেন তার উপর। এরপর ফাইবারের স্বচ্ছ সুতা দিয়ে গেঁথে ফেলুন ছবির মতো করে। চটপট তৈরি হয়ে গেল আপনার বসার ঘরের, বারান্দার কাঁচের স্লাইডিং ডোরের জন্য ফুলেল পর্দা। এর ভেতর দিয়ে বাইরের প্রকৃতি, বৃষ্টি দেখুন আর উপভোগ করুন। প্রিয়জনের প্রশংসা তো আছেই!

৯) কাপড়ের তৈরি টেব্‌ল ম্যাট

অব্যবহার্য শাড়ি, ওড়না বা বেডশিট টেব্‌ল ম্যাট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে টেবলের মাপে সুন্দর করে কেটে নিন। একরঙা কিছু হলে তাতে অ্যাক্রিলিক কালার দিয়ে এঁকে নিন ফুল বা যে কোনও নকশা। আঁকা যদি আপনার বাঁয়ে হাত কা খেল না হয়, কুছ পরোয়া নেহি। ট্রেসিং পেপার দিয়ে নকশা কপি করে ছাপ ফেলে দিন কাপড়ে, ব্যস কেল্লা ফতে! সেই নকশার ওপর দিয়ে রং বুলিয়ে নিন। মুড়ে নিন কাপড়ের ধারগুলো।

আমাদের শিশুবেলার স্কুলের দিনগুলো মনে পড়ে? স্লেট,পেনসিলে কেমন ফটাফট লিখতাম আর মুছতাম! সেই স্লেটকেই এবার কাজে লাগান। স্লেটের ধারগুলো অ্যাক্রিলিক কালার (সাদা হলে ভাল লাগবে) দিয়ে রং করে নিন। এবার কোনও টেবিলের ওপর বা জুতসই কোনও জায়গায় রেখে দিন, যেখান থেকে ভালমতো দেখা যাবে। দিনের শুরুতে চক দিয়ে লিখুন কোনও পজিটিভ কোট। মোছার জন্য স্পঞ্জ ব্যবহার করুন, যেমনটা ঠিক আগে করতেন! রঙিন কাগজে এঁকে, রং করে বিভিন্ন শেপে কেটে ফুটো করে নিন। সেই ফুটো দিয়ে গলিয়ে দিন রঙিন সুতো বা টুনি বাল্‌বের তার। প্রদর্শিত তালিকায় সৃজনশীলতার পরিচয় দেওয়া সহ প্রস্তুতপ্রণালী ব্যাখ্যা করা হল।

এই ছিল তোমাদের ৭ম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের ৩য় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : ঘর সাজানাের জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা থাকার প্রয়ােজনীয়তা।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ