কোভিড-১৯: বারবার হানা দেওয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ভাইরাস!
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস সমগ্র পৃথিবী জুড়েই এখন প্রধান আলোচনার বিষয়। কোভিড-১৯: বারবার হানা দেওয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ভাইরাস! চীনের উহান শহর থেকে এর উৎপত্তি হলেও বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
পশ্চিমা দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেলেও নতুন সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন সংক্রমণ কিছুটা কমা মানেই করোনাভাইরাস বিদায় নিচ্ছে এমনটা নয়।
কিছুটা বিরতির পর আবার মহামারী আকারে বিস্তার ঘটতে পারে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের মহামারি থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা আরো অন্তত কয়েক বছর সতর্ক থাকার প্রয়োজন বলে মনে করছেন।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে পশ্চিমা দেশগুলোতে কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে লকডাউন পরিস্থিতি। করণা ভাইরাসের এই সংক্রমণে ইউরোপের দেশগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন সংক্রমণ কিছুটা কমা বা মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমা মানেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বিদায় নিচ্ছে এমনটা কোনভাবেই মনে করা উচিত হবে না।
নতুন করে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা শুরু হলে এই ভাইরাস আরো একবার হানা দিতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
- আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে আমরা কতটুকু সজাগ!
আরো একবার করো না ভাইরাসের হানা শুরু হলে কি প্রস্তুতি নিবে, চিকিৎসাসেবা কি হবে এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা করছেন ইউরোপের দেশগুলো। করোনাভাইরাস এর আদি উৎস সার্চ, মার্চ প্রভৃতি ভাইরাসগুলোর জীনতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন- এর আগে দেখা গেছে যখনই কোন ভাইরাস মানব শরীরে আক্রমণ করেছে তখনই মানব শরীরে ভাইরাস রিমুভাল অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের পূর্বসূরী যেই ভাইরাসগুলো রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে মানব শরীরে।
সার্চ এর ক্ষেত্রে এন্টি বডি এক থেকে তিন বছর সক্রিয় থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে করোনাভাইরাস এর বিষয়ে এখনও কিছু জানা যাচ্ছে না। পুনরায় করোনাভাইরাস এর বিস্তার শুরু হলে এন্টি বডি কতটুকু সক্রিয় হবে বা কতটা সময় ধরে সক্রিয় থাকবে এই নিয়ে এখনো কোনো কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে গবেষণা চলছে প্রতিনিয়ত।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রতিষেধক বা টিকা তৈরীর জন্য অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সফলতা আসতে বছরখানেক সময় লাগতে পারে।
ঔষধ আবিষ্কার হলেই করোনাভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা কমবে বলে মনে করেন না গবেষকরা। গবেষকদের ধারণা কিছুটা বিরতি দিয়ে আবারও বড় পরিসরে বিস্তার ঘটতে পারে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের।
দ্বিতীয় দফায় কোন দেশগুলোতে মহামারী আকার ধারণ করবে তা নিয়ে বিশ্লেষণ করছে বিশ্লেষকেরা।
প্রজাতি ভেদে করোনাভাইরাস গুলো নির্ধারিত মৌসুমে সক্রিয়তা লাভ করে। এর প্রভাবে আক্রান্তদের সাধারণ সর্দি-কাশি হতে দেখা যায়। করোনাভাইরাস এর ধরন কিছুটা আলাদা, গ্রীষ্মপ্রধান কিংবা শীতপ্রধান দেশে সমানভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে এ ভাইরাস।
সকল পরিবেশে সমানভাবে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতা রয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের। করণা ভাইরাসের জিনোম গবেষণায় যে তথ্য বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন তাতে অনিবার্যভাবেই করোনাভাইরাস ফিরে আসবে বলে ধারণা করছেন তারা।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে অবশ্যই মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আপনি নিজেকে আক্রান্ত মনে করলে বা করোনা সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন: https://corona.gov.bd
কোভিড-১৯: বারবার হানা দেওয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ভাইরাস!