একটি কম্পিউটার ল্যাবের সকল কম্পিউটার টুইস্টেড পেয়্যার ক্যাবলের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হওয়ায় ডেটা স্থানান্তরের গতি কম পাওয়া যায়। এতে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কটির টাইপ, মাধ্যম এবং টপােলজির বিশ্লেষন
চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরােপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য এইচএসসি ২০২২ ১১শ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান সম্পর্কিত ধারণা দেওয়ার নিমিত্তে আজকের আর্টিকেলে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ- এইচএসসি ২০২২ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট সমাধান (একটি কম্পিউটার ল্যাবের সকল কম্পিউটার টুইস্টেড পেয়্যার ক্যাবলের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হওয়ায় ডেটা স্থানান্তরের গতি কম পাওয়া যায়। এতে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কটির টাইপ, মাধ্যম এবং টপােলজির বিশ্লেষন) করার চেষ্টা করবো।
এইচএসসি ২০২২ ১১শ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট : একটি কম্পিউটার ল্যাবের সকল কম্পিউটার টুইস্টেড পেয়্যার ক্যাবলের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হওয়ায় ডেটা স্থানান্তরের গতি কম পাওয়া যায়। এতে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কটির টাইপ,মাধ্যম এবং টপােলজির বিশ্লেষন।
নির্দেশনা :
ক. কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ধারণা ও প্রকারভেদ ব্যাখ্যা
খ. ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমসমূহের ধারণা ব্যাখ্যা
গ. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টপােলজি এবং প্রকারভেদ ব্যাখ্যা
ঘ. ডেটা স্থানান্তরের গতি কমে যাওয়ার কারন হিসাবে মাধ্যমগুলাের সুবিধা অসুবিধা বিশ্লেষন।
এইচএসসি ২০২২ ১১শ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও এর প্রকারভেদ
নেটওয়ার্কিংয়ের ধারণা (Concept of Networking) :
দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজ করার স্বার্থে এবং প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা পরিচালনার জন্য একজন অপরজনের সাথে পরিচিতি কিংবা নির্ভরশীলতা দিয়ে কিন্তু আমাদের অজান্তেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলি । প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সাথে সাথে যোগাযোগের মাত্রা ও ধরন পরিবর্তনের দরুন নেটওয়ার্কিংয়েও অভাবনীয় পরিবর্তন সূচিত হয় । আমরা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে অডিও , ভিডিও , টেক্সট মেসেজ বিনিময় করে থাকি । এক্ষেত্রে কোনো রকম সংযোগ ব্যতিরেকে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ডেটা বিনিময় সম্ভব ; তবে এই ধরনের তথ্য আদান – প্রদান বা বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করতে হয় । তাই , কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে আমরা ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা বজায় রেখে একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান – প্রদানের সংযোগ ব্যবস্থাকে বুঝি ।
এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যক্তিগত যোগাযোগ , ডেটা স্থানান্তর , ই – মেইল , অনলাইন ব্যাংকিং , সরকারি – বেসরকারি পর্যায়ের সেবাগ্রহণ ইত্যাদি বহুবিধ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায় । কোনো কম্পিউটার অকেজো হয়ে গেলেও নেটওয়ার্কযুক্ত অন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে সবধরনের কাজ করা সম্ভব হয় । তাছাড়া একটি কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য একাধিক ব্যবহারকারী নিজ নিজ কম্পিউটারের মাধ্যমে অ্যাকসেস ও ব্যবহার করতে পারেন । ঠিক একইভাবে একটি প্রিন্টার বহু ব্যবহারকারী ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারেন । এভাবেই নেটওয়ার্কিং যন্ত্রপাতির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় ।
নেটওয়ার্কিংয়ের প্রকারভেদ (Types of Networking):
আধুনিক যুগের বিশ্বায়ন ব্যবস্থায় অবাধ প্রবাহ একটি অনিবার্য তথ্য জীবনানুষঙ্গ । জীবনের সর্বস্তরে তথ্য শেয়ারের এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট – বড় নানা ধরনের অজস্র কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রচলিত আছে । এ সব নেটওয়ার্কের সাথে বিপুল পরিমাণ কম্পিউটারসহ আরো অনেক আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিও সংযুক্ত থাকে । কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইসের নেটওয়ার্কসমূহকে নিম্নবর্ণিত বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেণিবিভাগ করা যায়।
- নেটওয়ার্কের ভৌগোলিক বিস্তৃতি
- সার্ভিস প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো
- নেটওয়ার্কের মালিকানা ।
নেটওয়ার্কের ভৌগোলিক বিস্তৃতি
নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় ।
- ১. পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ( Personal Area Network – PAN )
- ২. লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ( Local Area Network – LAN )
- ৩. ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক ( Campus Area Network – CAN )
- ৪. মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক ( Metropolitan Area Network – MAN )
- ৫. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক ( Wide Area Network – WAN )
ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম ( Medium of Data Communication ):
ডেটা আদান – প্রদানের ক্ষেত্রে প্রেরক থেকে গ্রাহক পর্যন্ত যে সব সংযোগ স্থাপন করা হয় তাদেরকে ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম বা চ্যানেল বলা হয় । অথবা উৎস থেকে গন্তব্য পর্যন্ত যার মধ্য দিয়ে তথ্য প্রবাহিত হয় তা – ই ডেটা কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম । এই চ্যানেল বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার মাধ্যম বা মিডিয়া ব থাকে । রেডিও , টি.ভি , ডিশ চ্যানেল ইত্যাদি গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য তারযুক্ত বা তারবিহীন যে সংযোগ প্রদান করা হয় , তা হলো মাধ্যম বা মিডিয়া । ডেটা কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন মাধ্যম চিত্রে উপস্থাপন করা হলো ।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টপােলজি এবং প্রকারভেদ
নেটওয়ার্ক টপোলজি (ইংরেজি: Network Topology) হলো এটি নেটওয়ার্কের ফিজিক্যাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট যেমন- কম্পিউটার, ক্যাবল, রাউটার ইত্যাদি যেভাবে নেটওয়ার্কে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় টপোলজি।কম্পিউটার তথা ডিজিটাল ডিভাইসসমূহের পারস্পরিক সংযুক্ত থাকার আন্তঃব্যবস্থাপনা।
নেটওয়ার্ক টপোলজির প্রকারভেদ
কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর জন্য মূলত ছয় ধরনের টপোলজি ব্যবহৃত হয়। যথাঃ
- বাস টপোলজি (Bus Topology)
- রিং টপোলজি (Ring Topology)
- স্টার টপোলজি (Star Topology)
- ট্রি টপোলজি (Tree Topology)
- হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology)
- মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
বাস টপোলজিঃ
যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটারে সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়। টপোলজির প্রধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন (Backbone) বা ট্রাঙ্ক (Trunk)। সিগন্যাল যখন ব্যাকবোন এ চলাফেরা করে তখন শুধু প্রাপক কম্পিউটার সিগন্যাল গ্রহণ করে, বাকিরা একে অগ্রাহ্য করে।
এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না। বাস টপোলজিতে একই নেটওয়ার্ক এ ভিন্ন ক্যাবল ব্যবহৃত হতে পারে। এখানে মনে রাখতে হবে মূল ব্যাকবোন নষ্ট হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যাবে।
রিং টপোলজিঃ
রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবে রিংযের সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথম কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ ব্যবস্থায় কোনো কম্পিউটার ডেটা পাঠালে তা বৃত্তকার পথে ঘুরতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রাপক কম্পিউটারটি ডেটা গ্রহণ করে। এ ব্যবস্থায় কোনো কেন্দ্রীয় কম্পিউটার থাকে না। এতে প্রতিটি কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান।
স্টার টপোলজি:
যে টপোলজি একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হস্ত কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গরে তোলে তাকে স্টার টপোলজি বলা হয়। এক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে থাকে। এ টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট বা বিকল হলে নেটওয়ার্ক এর উপর কোনো প্রভাব পরে না। খুব সহজেই সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেওয়া যায়। স্টার টপোলজি একটি বহুল ব্যবহৃত টপোলজি এবং এই টপোলজিতে একই নেটওয়ার্ক এ বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহৃত হতে পারে। খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি কোনো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে এ টপোলজি বেশ কার্যকর।
ট্রি টপোলজিঃ
ট্রি টপোলজি (Tree Topology): যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো বিন্যস্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলে।
এ টপোলজিতে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ প্রথম স্তরের কম্পিউটারগুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্ক টপোলজি খুবই উপযোগী। শাখা-প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি টপোলজির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সহজ। এ টপোলজি অনেক গুলো স্টার টপোলজি মিলে গঠিত।
মেশ টপোলজিঃ
মেশ টপোলজি (Mesh Topology): যদি কোনো নেটওয়ার্কে ডিভাইস বা কম্পিউটারগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত সংযোগ থাকে তাহলে তাকে বলা হয় মেশ টপোলজি।
অধিকাংশ মেশ টপোলজি নেটওয়ার্ক সত্যিকারের মেশ নেটওয়ার্ক নয়। এগুলো হলো আসলে হাইব্রিড মেশ নেটওয়ার্ক। এতে শুধু অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় লিঙ্ক থাকে। এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে এবং নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়।মেশ টপোলজিতে যেহেতু প্রতিটি কম্পিউটার প্রতিটির সাথে সংযুক্ত থাকে তাই এ অর্থে এই নেটওয়ার্কের প্রথম কম্পিউটারটি শেষ কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটারকে প্রতিটির সাথে অতিরিক্ত নোড দিয়ে সংযুক্ত করলেই তা মেশ টপোলজিতে রূপান্তরিত হবে।
ডেটা স্থানান্তরের গতি কমে যাওয়ার কারন হিসাবে মাধ্যমগুলাের সুবিধা অসুবিধা বিশ্লেষন-
তার মাধ্যম ( Wired cable Medium ): এ পদ্ধতিতে তথ্য আদান – প্রদানের ক্ষেত্রে ধাতব তার ব্যবহৃত হয় । নির্দিষ্ট কোনো পথে বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠনোর জন্য মাধ্যম হিসেবে কপার বা অ্যালুমিনিয়ামের তার বা ক্যাবল ব্যবহার করে ডেটা কমিউনিকেশনের ব্যবস্থা করা হয় । এটি ক্যাবল গাইডেড মিডিয়া । যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহারের ভিন্নতার উপর তার বা ক্যাবলের ভিন্নতা রয়েছে , নিচে এগুলো ব্যাখ্যা করা হলো : টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ( Twisted pair cable ) দুটি পরিবাহী তারকে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল তৈরি করা হয় ।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দুধরনের হয়ে থাকে , আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ( UTP : Unshielded Twisted Pair ) এবং শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ( STP : Shielded Twisted Pair ) | সাধারণ কপার নির্মিত এ সব ক্যাবলে মোট চার জোড়া তার প্রতিটি পৃথক অপরিবাহী পদার্থের আবরণে ( ইন্সুলেটর ) আবৃত থাকে । প্রতি জোড়া তারে একটি কমন রঙের ( সাদা রঙের ) আরেকটি ভিন্ন রঙের ( যেমন : নীল , সবুজ , কমলা ও বাদামি ) তারের সাথে প্যাঁচানো থাকে । প্রতি জোড়া তার পৃথক অপরিবাহী আবরণে আবৃত করা থাকে । এ ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে 100 মিটারের বেশি দূরত্বে কোনো ডেটা প্রেরণ করা যায় না । ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এর ব্যান্ডউইথ 10 Mbps থেকে 1 Gbps পর্যন্ত হতে পারে , তবে দূরত্ব বাড়তে থাকলে ডেটা ট্রান্সফার রেট কমতে থাকে । বাসা , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহৃত হয় ।
একটি কম্পিউটার ল্যাবের সকল
কো – এক্সিয়াল ক্যাবল ( Co – axial Cable ) কো – এক্সিয়েল ক্যাবল তামা বা কপার নির্মিত মূলত তিনটি স্তর বিশিষ্ট তারের ক্যাবল , কেন্দ্রস্থলে একটি শক্ত তামার তারের কন্ডাক্টর , সেটিকে বৃত্তাকারে ঘিরে প্লাস্টিকের অপরিবাহী স্তর এবং এই স্তরকে ঘিরে তামার তারের একটি জাল বা শিল্ড ( Braided Shield ) । অনেক সময় শিল্ড এবং প্লাস্টিক অপরিবাহী স্তরের মাঝে একটি মেটালিক ফয়েলও থাকে । সবশেষে রাবারের অপরিবাহী পুরু স্তর এই ক্যাবলটিকে আবৃত করে রাখে । তামার তারের জালি এবং মেটালিক ফয়েলটি একসাথে আউটার কন্ডাক্টর ( Ou conductor ) হিসেবে বাইরের সকল প্রকার বৈদ্যুতিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে । বাইরের শিল্ড এবং কেন্দ্রীয় তামার তারের অক্ষ একই থাকার দরুন এর নামকরণ কো – এক্সিয়েল করা হয়েছে ।
কো – এক্সিয়েল ক্যাবলে ডেটা ট্রান্সফার রেট টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে । কো – এক্সিয়েল ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সমিশন লস্ অপেক্ষাকৃত কম এবং সহজে বাস্তবায়নযোগ্য । ডিজিটাল এবং এনালগ উভয় ধরনের ডেটা এই ক্যাবলের মাধ্যমে প্রেরণ করা যায় । ক্যাবল টি.ভি. নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ব্যাপকভাবে ব্যাবহৃত হয় । কো – এক্সিয়াল ক্যাবল দুধরনের হয়- থিননেট (Thinnet ) এবং থিকনেট (Thicknet ) | থিননেট (Thinnet ) : থিননেট হালকা ও নমনীয় তার এই তার 10BASE – 2 নামেও পরিচিত । এ ক্যাবলটি দ্বারা রিপিটার ছাড়া সর্বোচ্চ 185 মিটার দূরত্বে প্রতি সেকেন্ডে 10 মেগাবাইট ডেটা আদান – প্রদান করা যায় । থিকনেট (Thicknet ) : থিকনেট ভারী ও নন – ফ্লেক্সিবল ক্যাবল । এই তার 10BASE – 5 নামেও পরিচিত । এ ক্যাবলটি দ্বারা সর্বোচ্চ 500 মিটার দূরত্বে প্রতি সেকেন্ডে 10 মেগাবাইট ডেটা সহজেই আদান – প্রদান করা যায় ।
এই ছিল তোমাদের এইচএসসি ২০২২ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট সমাধান- একটি কম্পিউটার ল্যাবের সকল কম্পিউটার টুইস্টেড পেয়্যার ক্যাবলের মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হওয়ায় ডেটা স্থানান্তরের গতি কম পাওয়া যায়। এতে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কটির টাইপ, মাধ্যম এবং টপােলজির বিশ্লেষন।
আরো দেখুন-
- উৎপাদনের পরিবর্তনীয় উপকরণ অনুপাত বিধির সাথে মােট, গড় ও প্রান্তিক ব্যয়ের সম্পর্ক বিশ্লেষণ
- ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযােগ বিধির ব্যতিক্রম
- আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতি কার্যকর ভূমিকা রাখে
- উৎপাদন ও এর উপকরণসমূহের সম্পর্ক
- একটি নির্দিষ্ট সময়ে একের পর এক ফুচকা খেলে ফুচকার উপযােগ ক্রমেই কমতে থাকে
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।