সর্বশেষ আপটেড

ইসলাম পূর্বযুগে আরব জীবন যাত্রার রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন কর

এইচএসসি ২০২২ ১২শ সপ্তাহের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান সম্পর্কিত ধারণা দেওয়ার নিমিত্তে আজকের আর্টিকেলে আলোচনার বিষয়- এইচএসসি ২০২২ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান– ইসলাম পূর্বযুগে আরব জীবন যাত্রার রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন কর।

এইচএসসি ২০২২ ১২শ সপ্তাহের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট : ইসলাম পূর্বযুগে আরব জীবন যাত্রার রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন কর।

নির্দেশনা :

  • ১. প্রাক ইসলামি যুগের জীবনযাত্রার বর্ণনা
  • ২. প্রাক ইসলামি যুগের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবরণ
  • ৩. প্রাক ইসলামি যুগের ভূ রাজনৈতিক অবস্থা চিহ্নিতকরণ
  • ৪. প্রাক ইসলামি যুগের সাংস্কৃতিক অবস্থা পর্যালােচনা
  • ৫. প্রাক ইসলামি যুগের উৎকৃষ্ট গুণাবলি ও দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ।

এইচএসসি ২০২২ ১২শ সপ্তাহের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

১. প্রাক ইসলামি যুগের জীবনযাত্রার বর্ণনা

প্রাক ইসলামী যুগে শহরবাসী এবং মরুবাসী আরবদের আর্থসামাজিক জীবনযাত্রা : ভূ-প্রকৃতির তারতম্য অনুসারে আরবের অধিবাসীদের দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়-শহরের স্থায়ী বাসিন্দা ও মরুবাসী যাযাবর, যারা বেদুইন’ নামে পরিচিত। এ দুশ্রেণির আচার-ব্যবহার, জীবনযাত্রার প্রণালী, ধ্যান-ধারণা, আশা-আকাঙ্খর মধ্যে যথেষ্ট প্রভেদ রয়েছে। অনেক মরুবাসী আরব বেদুইন জীবন ত্যাগ করে শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। অপরদিকে দারিদ্রের কষাঘাত সহ্য করতে না পেরে কিছু সংখ্যক স্থায়ী বাসিন্দা বাধ্য হয়ে যাযাবর বৃত্তি গ্রহণ করে।

ক) শহরের স্থায়ী বাসিন্দাঃ আরবের উর্বর তৃণ অঞ্চল গুলো স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী বলে অসংখ্য জনপদ গড়ে উঠেছে। কৃষিকার্য,ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি ছিল স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার ফলে এরা ছিল মরুবাসী বেদুইনদের তুলনায় অধিকতর রুচিসম্পন্ন ও মার্জিত।

খ)মরুবাসী যাযাবরঃ আরব অধিবাসীদের অধিকাংশ স্বাধীনচেতা, বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ বেদুইন। সমাজের ধরাবাঁধা শৃংখলে আবদ্ধ হয়ে স্থায়ীভাবে শহরে বসবাস করার পরিবর্তে বেদুইনগন জীবনধারণের জন্য মরুভূমির সর্বত্র ঘুরে বেড়াতো।তারা তৃনের সন্ধানে এক পশুচারণ হতে অন্য পশুচারণে গমন করত। তাদের গৃহ হচ্ছে তাবু, আহার্য উটের মাংস,পানীয় উট ও ছাগলের দুধ,প্রধান জীবিকা লুটতরাজ। শহরবাসী ও বিদুইনদের মধ্যে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

২. প্রাক ইসলামি যুগের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবরণ

আরব দেশ ছিল অনুর্বর। ইয়েমেন, মদীনা ও তায়েফ কিছুটা কৃষি উপযােগী হলেও সামগ্রিক বিবেচনায় আরব ছিল। সম্পূর্ণ কৃষি অনুপযােগী। তাই নগরবাসী আরবগণ ব্যবসায় এবং যাযাবর বেদুঈনরা পশুপালন করে জীবিকা চালাত। যে খাদ্য শস্য উৎপন্ন হত প্রয়ােজনের তুলনায় তা ছিল খুবই নগণ্য। তাই আরবদের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শােচনীয়। আরব জনগণকে অর্থনৈতিক বা পেশাগত শ্রেণী বিভাজন করে দেখলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার সঠিক চিত্র ফুটে উঠবে।

বণিক শ্রেণী ৫ ধর্মীয় গুরুত্ব পূর্ণ স্থান এবং বিশেষ করে ব্যবসায় কেন্দ্র হিসেবে মক্কা তখন পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম সমদ্ধ অঞ্চল ছিল। মক্কার বণিক সমাজ এশিয়ার সঙ্গে ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার স্থল বাণিজ্য। নিয়ন্ত্রণ করত। প্রাক-ইসলামী যুগে মক্কা বহির্বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল। শহরকেন্দ্রিক ধনী বণিক শ্রেণীর বিকাশ ঘটেছিল। এরা সিরিয়া, পারস্য, মিসর, ভারতবর্ষ প্রভৃতি দেশের সাথে বাণিজ্য করত। হযরত আবু বকর, উসমান ও খাদীজা (রা) প্রমুখ ব্যবসায়ী ছিলেন। মক্কায় ব্যাংক স্থাপিত হয়। মহাজনী কারবার গড়ে ওঠে এবং আন্ত র্জাতিক বাণিজ্যের সহায়ক নিকাশ ঘর – এর প্রবর্তন হয়। মদীনাও এসব ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিল। ফলে জনগণের একটা অংশ সম্পদশালী ও সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হয়। তবে এদের সংখ্যা ছিল খুবই কম।

ইসলাম পূর্বযুগে আরব জীবন

রিক্ত যাযাবর ও মরুভূমির তাঁবুতে বসবাসকারী বেদুঈনগণ শহরবাসীদের মত স্থায়ীভাবে এক স্থানে বসবাস করতনা। স্বাধীনচেতা বেদুঈনগণ খাদ্য ও পানীয়ের সন্ধানে মরুভূমির এক স্থান থেকে অপর স্থানে ছুটে বেড়াত। তাই আরব। বেদুঈনদের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই শােচনীয় এবং অনিশ্চিত। বিরূপ প্রকৃতির কারণে তারা যাযাবরী জীবন গ্রহণ করে। পশুপালন আর লুটতরাজই ছিল তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায়।

সুদখোের ইহুদি ও ইসলামপূর্ব যুগের ধনী ইহুদিরা সুদের ব্যবসায় করত। শােষণের ঘণ্যতম এ প্রথায় নিঃস্ব আরবগণ আরাে নিঃস্ব ও সর্বহারা শ্রেণীতে পরিণত হয়। এমন কি স্ত্রী-কন্যাকেও হারাতে হত। ইহুদিদের সুদের কারবারের নিয়ম ছিল খুবই নিষ্ঠুর ও জটিল। সুদ অনাদায়ের দায়ে ঋণ গ্রহণকারীর স্ত্রী, পুত্র, কন্যাগণ, দাস-দাসী হিসেবে সুদখাের মহাজনের হাতে চলে যেত।

কৃষিজীবী ও মদীনা, তায়েফ ও ইয়েমেনের জমি উর্বর থাকায় সেখানে কৃষিকার্য চলত এবং প্রচুর ফসল উৎপন্ন হত। তায়েফে প্রচুর তরমুজ, কলা, ডুমুর, আঙ্গুর, জলপাই, পীচ ও মধু উৎপন্ন হত। মদীনায় খেজুর ও গম জন্মাত। এসব অঞ্চলের লােকেরা মােটামুটি ভাল অবস্থায় ছিল।

কারিগরি ব্যবস্থা :১৪ পৌত্তলিক আরবে কিছুসংখ্যক লােক মূর্তি ও ভাস্কর্য নির্মাণে দক্ষ ছিল। সমাজে তাদের মর্যাদাও । বেশ ভাল ছিল এবং আর্থিক অবস্থাও তাদের সচ্ছল ছিল।

৩. প্রাক ইসলামি যুগের ভূ রাজনৈতিক অবস্থা চিহ্নিতকরণ

ইসলাম পূর্ব যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা বিশৃঙ্খলা পূর্ণ এবং হতাশা ব্যঞ্জক ছিল। কোন কেন্দ্রীয় শক্তি নিয়ন্ত্রণ বা কতৃত্ব না থাকায় আরবে গােত্র প্রাধান্য লাভ করে। তাদের মধ্যে কোন ঐক্য ছিলনা। গােত্রসমূহের মধ্যে সবসময় বিরােধ লেগেই থাকত।

গােত্রীয় শাসনঃ

অন্ধকার যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল বিশংখলা, স্থিতিহীন ও নৈরাজ্যের অন্ধকারে ঢাকা। উত্তর আরবে বাইজানটাইন ও দক্ষিণ আরবের পারস্য প্রভাবিত কতিপয় ক্ষুদ্র রাজ্য ব্যতীত সমগ্র আরব এলাকা স্বাধীন ছিল। সামান্য সংখ্যক শহরবাসী ছাড়া যাযাবর শ্রেণীর গােত্রগুলাের মধ্যে গােত্রপতির শাসন বলবৎ ছিল। গােত্রপতি বা শেখ নির্বাচনে শক্তি-সাহস আর্থিক স্বচ্ছলতা, অভিজ্ঞতা ও বিচার বুদ্ধি বিবেচনা করা হতাে।শেখের আনুগত্য ও গােত্রপ্রীতি প্রকট থাকলেও তারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি সর্বদা সচেতন ছিলেন। ভিন্ন গােত্রের প্রতি তারা চরম শত্রুভাবাপন্ন ছিল। গােত্রগুলাের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছিলনা। কলহ বিবাদ নিরসনে বৈঠকে ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। শেখের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক জীবন ধারার ছোঁয়া থাকলে ও শান্তি ও নিরাপত্তার লেশমাত্র ছিলনা।

গােত্র দ্বন্দ্ব :

গােত্র কলহের বিষবাষ্পে অন্ধকার যুগে আরব জাতি কুলুষিত ছিল। গােত্রের মান সম্মান রক্ষার্থে তারা রক্তপাত করতেও কুণ্ঠা বােধ করত না। তৃণভূমি, পানির ঝর্ণা এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে সাধারণত রক্তপাতের সূত্রপাত হতাে।কখনাে কখনাে তা এমন বিভীষিকা আকার ধারণ করত যে দিনের পর দিন এ যুদ্ধ চলছে থাকতাে। আরবিতে একে ‘আরবের দিন’ বলে অভিহিত করা হতাে। আরবের মধ্যে খুনের বদলা খুন অথবা রক্ত বিনিময় প্রথা চালু ছিল। অন্ধকার যুগের অহেতুক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের নজির আরব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। তন্মধ্যে বুয়াসের যুদ্ধ, ফিজার যুদ্ধ ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে।উট, ঘােড়দৌড়, পবিত্র মাসের অবমাননা, কুৎসা রটনা করে ইত্যাদি ছিল এ সকল যুদ্ধের মূল কারণ। বেদুইন গণ উত্তেজনাপূর্ণ কবিতা পাঠ করে যুদ্ধের ময়দানে রক্ত প্রবাহের মেতে উঠতাে। এ সকল অন্যায় যুদ্ধে জানমালের বিপুল ক্ষতি সাধিত হতাে । যুদ্ধপ্রিয় গােত্রগুলাের মধ্যে আউস, খাজরাজ, কুরাইশ, বানু বকর,বানু তাগলিব,আবস ও জুবিয়ান ছিল প্রধান।

৪. প্রাক ইসলামি যুগের সাংস্কৃতিক অবস্থা পর্যালােচনা

বর্তমান যুগের ন্যায় প্রাক ইসলামী যুগে আরবের বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষা ও সংস্কৃতি না থাকলে ও আরবরা সাংস্কৃতিক জীবন হতে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিল না। তাদের ভাষা এত সমৃদ্ধ ছিল যে আধুনিক ইউরােপের উন্নত ভাষাগুলাের সাথে তুলনা করা যায়।

কবিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চেতনাঃ

প্রাক ইসলামী যুগে লিখন প্রণালি তেমন উন্নতি হয়নি বলে আরবগণ তাদের রচনা বিষয়বস্তু গুলো মুখস্ত করে রাখত।তাদের স্মরণ শক্তি ছিল খুব প্রখর তারা মুখে কবিতা পাঠ করে শোনাতো।কবিতার মাধ্যমে তাদের সাহিত্য প্রতিভা প্রকাশ পেত। এজন্য লোক-গাথাঁ,জনশ্রুতি উপর নির্ভর করে পরবর্তীকালে আরব জাতির ইতিহাস লিখিত হয়েছে।

উকাজের সাহিত্য মেলাঃ

প্রাক ইসলামী যুগে আরবদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল তাদের বাগ্মিতা।জীহ্বার অপুরন্ত বাচন শক্তির অধিকারী প্রাচীন আরবের কবিরা মক্কার অদূরে উকাজের বাৎসরিক মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন।উকাজের বাৎসরিক সাহিত্য সম্মেলনে পঠিত সাতটি ঝুলন্ত কবিতাকে সাবা আল মু’আল্লাকাত বলা হয়। হিট্টি উকাজের মেলাকে আরবের Academic Franchise বলে আখ্যায়িত করেন। সোনালী হরফে লিপিবদ্ধ এ সাতটি কাব্যের রচনা করেন- আমর ইবনে কুলসুম, লাবিছ ইবনে রাবিয়া,আনতারা ইবনে শাদদাদ, ইমরুল কায়েস,তারাফা ইবনে আবদ,হারিছ ইবনে হিলজা, জুহাইর ইবনে আবি সালমা।

সাহিত্য আসরের আয়োজনঃ

তৎকালীন আরবের সাহিত্যচর্চায় আরবদের আগ্রহ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।অনেক সাহিত্যমোদী আরব নিয়মিত সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন।সাহিত্য আসরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তাকিব গোত্রের ইবনে সালাম এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতি সপ্তাহে তিনি একটি সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন।এর সমস্ত সাহিত্য আসর এর কবিতা পাঠ সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা ও সমালোচনা অনুষ্ঠিত হতো।

৫. প্রাক ইসলামি যুগের উৎকৃষ্ট গুণাবলি ও দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ

মরুভূমিতে রাত্রি ‘ভীতি সংকুল ভুত-প্রেত দৈত্য-দানবের আনাগোনা’ এ সাধারণ বিশ্বাস মরুভূমির বিপদ হতে পথিককে রক্ষা করার জন্য আরবদের মধ্যে অতিথিপরায়ণতা বিকশিত করেছিল। মরুভূমি অনুর্বর ওপর ও পর্বতঅঞ্চলের আরব সমাজ গোত্রভিত্তিক ছিল।গোত্র নিরাপত্তা ও বহিরাক্রমণের ভয়ে তাদেরকে গোত্র প্রিয় করে তুলেছিল। এ গোত্রপ্রীতি তাদের মধ্যে জন্ম দেয় মনুষত্ব, আত্মসংযম, স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের।শেখ এর নিকট সকল নাগরিকের অধিকার সমান। এরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতর ধর্মকর্মে তাদের শিথিলতা পরিলক্ষিত হওয়ায় স্বাভাবিক।আরব ভূখন্ডের অনুদান পরিবেশ, খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব, নির্দিষ্ট চলাচলের পথ না থাকায় বৈদেশিক আক্রমণের হাত থেকে আরববাসীর সবসময় নিরাপদ থেকেছে।

ভৌগোলিক প্রভাবের কারণে শহরবাসী আরব ও মরুবাসীদের মধ্যে আত্ম সচেতনতা ও কাব্যিক চেতনার উন্মেষ ঘটে। আরববাসীরা ছিল কাব্যের প্রতি অধিক মাত্রায় অনুরক্ত। গীতিকাব্য রচনা ও সাহিত্য চর্চায় আরবদের অপূর্ব সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। আরব কবিগণ ভৌগোলিক পরিবেশের যে কাব্য রচনা করেন তা সংঘাত, অদম্য সাহসিকতা, বীরত্ব, গোত্রপ্রীতি ও প্রেম সম্পর্কিত।

এই ছিল তোমাদের এইচএসসি ২০২২ ১২শ সপ্তাহের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান– ইসলাম পূর্বযুগে আরব জীবন যাত্রার রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন কর।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ