সর্বশেষ আপটেড

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য আজ এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ নিয়ে আজকে হাজির হলাম। আজকের আলোচনায় ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ভালোভাবে সমাধান করার কৌশল জানা যাবে।

এনসিটিবি প্রদত্ত মূল্যায়ন নির্দেশনা সমূহ অনুসরণ করে তোমাদের জন্য এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এর শিরোনাম ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ এর আলোকে সেরা একটি উত্তর দেওয়া হল।

আশা করছি এটি অনুসরণ করে তোমরা এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ এর ৪র্থ সপ্তাহে নির্ধারিত ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান করে সুন্দরভাবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে।

এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ  ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা  ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট

এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

তোমরা যারা চমৎকারভাবে এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান পেতে চাচ্ছো তোমাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন থাকা নির্দেশনা সমূহ শতভাগ অনুসরণ করে এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।

নিচে ধারাবাহিকভাবে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ৪র্থ সপ্তাহে এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল।

প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।

ক. ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা ব্যাখ্যা

উত্তরঃ ব্যবসার ধারণাঃ মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা হাঁস-মুরগী পালন করার শাক শাক সবজি চাষ করাকে ব্যবসা বলা যায় না। কিন্তু যখন কোন কৃষক মুনাফার আশায় ধান চাষ করে বা সবজি ফলায় তা ব্যবসায় বলে গণ্য হবে যদি সেগুলাে দেশের আইনে বৈধ ও সঠিক উপায়ে পরিচালিত হয়।

ব্যবসাযের কিছু বৈশিষ্ট আছে যেমন ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মূল্য থাকতে হবে। ব্যবসাযের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এর সাথে ঝুঁকি থাকতে হবে। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায় অর্থ বিনিযােগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনােভাব থাকতে হবে।

খ. ব্যবসায়ের উপর ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদানগুলাের প্রভাব ব্যাখ্যা

উত্তরঃ ব্যবসার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবেশের চারটি করে উপাদান সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা হলাে-

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবেশের উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়।

অভ্যন্তরীণ পরিবেশ: একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ নানান সুযােগ-সুবিধা, নিয়ম-নীতি, দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা সংস্কৃতি ইত্যাদির সমন্বযে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে তাকে ব্যবসায় অভ্যন্তরীণ পরিবেশ বলে। এরূপ পরিবেশের উপাদান সমূহ নিম্নরূপ :

• মালিক বা শেয়ার হােল্ডার: মালিক বা শেয়ার হােল্ডারগণ ব্যবসায় মালিক বিধায় তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা ব্যবসায় পরিবেশ কে প্রভাবিত করে। কোন দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাগণ যদি দক্ষ ও উত্তম মানসিকতার অধিকারী। হয় তবে তা ব্যবসায় পরিবেশ ইতিবাচক প্রভাব রাখে।

• শ্রমিক কর্মী : শ্রমিক কর্মী এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত সংঘ যে কোন প্রতিষ্ঠানে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, আগ্রহ-অনাগ্রহ ব্যবসায় কার্যক্রমকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে।

• প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সংস্কৃতি : দীর্ঘকালে কোন প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরে কতগুলাে ধারণা বিশ্বাস মূল্যবােধ ও নিয়ম-নীতি গড়ে ওঠে যা ব্যবসা কার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

• প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ সুযােগ সুবিধা : প্রতিষ্ঠান আর্থিক অবস্থার যন্ত্রপাতির মান ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ভৌত সুযােগ-সুবিধা ইত্যাদি স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রভাব ফেলে।

• বাহ্যিক পরিবেশ : প্রতিষ্ঠানের বাইরের বিভিন্ন অবস্থা এবং পক্ষসমূহের কর্মকাণ্ড ও আচার-আচরণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠান কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করে।

• প্রতিযােগী: ব্যবসায় জগতের প্রতিযােগিতা দের কর্মকাণ্ড কর্মকৌশল কোন প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনার ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব বিস্তার করে।

• ক্রেতা বা ভােক্তা : অর্থের বিনিময় যারা পণ্য বা সেবা ক্রয় করে তারা বাহ্যিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচ্য।

• সরবরাহকারী: কাঁচামালের পণ্য সরবরাহকারী কোন ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

• মধ্যস্থ ব্যবসায়ী: কোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি বাজারজাতকরণের নীতি গ্রহণ না করলে ক্রেতা বা ভােক্তা সাধারণের নিকট পণ্য পৌঁছানাের ক্ষেত্রে মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করতে হয়। সে ক্ষেত্রে মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা আচার-আচরণ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রভাব রাখে।

গ. ব্যবসায়ের উপর সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানগুলাের প্রভাব

উত্তরঃ সামষ্টিক পরিবেশ: সামষ্টিক পরিবেশ হলাে এক কোন প্রতিষ্ঠান বিপণন কার্যক্রমের ওপর নিয়ন্ত্রণযােগ্য সেসব শক্তি উপাদান বা পক্ষসমূহ যা পরােক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সামষ্টিক পরিবেশের উপাদান হলাে জনসংখ্যা বিষয়ক পরিবেশ, অর্থনৈতিক, প্রাকৃতিক প্রযুক্তিগত, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও আইনগত পরিবেশ।

সামষ্টিক পরিবেশের উপাদান সমূহ গতিশীল হবার কারণে খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়। সামষ্টিক পরিবেশের উপাদান সমূহের পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রেই পূর্বানুমান করা কঠিন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ব্যষ্টিক পরিবেশের উপাদান সমূহের প্রভাবের সাথে খাপ খাওয়ানাের কৌশল অবলম্বন করতে হব। কেননা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ব্যবসায় সামষ্টিক পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সামষ্টিক পরিবেশের উপাদান সমূহ:

জনসংখ্যাগত পরিবেশ: ব্যবসার জন্য প্রথম এবং প্রধান বিষয়টি হলাে জনসংখ্যা। পরিবেশের একটা অন্যতম উপাদান হিসেবে জনসংখ্যা ব্যবসায়ীর ওপর প্রভাব ফেলে। কারন এর সঙ্গে জনগণ জড়িত এবং জনগণের বাজার সৃষ্টি করে। 

অর্থনৈতিক পরিবেশ: একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় সে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান দ্বারা। মাত্র বাজারে পণ্য সরবরাহ করাটা ব্যবসায়ীকদের প্রধান কাজ নয় বরং বাজারে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে তাকে পণ্য সরবরাহ করতে হবে সুতরাং পণ্যের অর্থনৈতিক পরিবেশ ও প্রভাব বিস্তার করে। 

প্রযুক্তিগত পরিবেশ: প্রযুক্তিগত পরিবেশের উপাদান গুলাের মাধ্যমে নতুন পণ্য উদ্ভাবন করা হ্য। আবার ব্যবসায় এই প্রযুক্তির কারণেই নতুন সুযােগ ও হুমকি সৃষ্টি করে। 

রাজনৈতিক পরিবেশ: ব্যবসায় কার্যাবলি এর উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং সামাজিক স্বার্থ। সংরক্ষণকারী সংগঠনগুলাের কার্যক্রমের সমন্বয় রাজনৈতিক পরিবেশ গঠিত। সরকারি আইন কানুন রাজনৈতিক দল পদ্ধতি সরকারব্যবস্থার ধরন ইত্যাদির বিষয়গুলাের প্রতি ব্যবসাযিকদের নজর দিতে হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যবসাযের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও আইনগত পরিবেশের প্রভাব ব্যাখ্যা করা হলাে: 

বর্তমান প্রতিযােগিতামূলক বিশ্বের ব্যবসায়িক পরিবেশ এর সকল উপাদান অনুকূল না হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি লাভ করে টিকে থাকা কঠিন। 

নিম্নে ব্যবসায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব আলােচনা করা হলাে: 

অর্থনৈতিক উপাদান :দেশের বিরাজমান কার্যকর অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা কৃষি ও শিল্পের অবদান জনগণের সঞ্চয় ও বিনিয়ােগ মানসিকতা ও সরকারের পৃষ্ঠপােষকতা ব্যবসা এর পরিবেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উপাদানগুলাের কযেকটির ভিত্তি মজবুত হলেও অনেকগুলাের ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়। 

চাহিদার তুলনায় প্রযােজনে মূলধনের অভাব,গ্রামীণ জনগণের ব্যাংকিং সেবা ও ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় কম। সুবিধা,প্রশাসনিক জটিলতা, দালাল শ্রেণীর লােকদের হয়রানী,দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি প্রতিকূল অবস্থা কাটাতে পারলে বাংলাদেশ ব্যবসায় বিকাশে আরাে দ্রুত অগ্রসর হতে পারবে। 

রাজনৈতিক উপাদান: সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনুকূল শিল্প ও বাণিজ্যনীতি,প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সাথে সুসম্পর্ক ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে। 

অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ঘনঘন সরকার পরিবর্তন হরতাল-ধর্মঘট ব্যবসায় -বান্ধব শিল্প ও বাণিজ্য নীতির অভাব ইত্যাদি প্রতিকূল রাজনৈতিক উপাদান শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার বাধা সৃষ্টি করে। 

দেশি ও বিদেশি বিনিয়ােগকারী গণ বিনিয়ােগ করতে উৎসাহিত হয় না। ব্যবসাযের উক্ত রাজনৈতিক উপাদানের সবগুলাে কাঙ্খিত পর্যায়ে বিদ্যমান নেই। 

আইনগত উপাদান: রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে প্রণীত জারিকৃত বিভিন্ন আইন কানুন রীতিনীতি সরকারি আদেশ অধ্যাদেশ ইত্যাদির সমন্বয়ে দেশে আইনগত পরিবেশ সৃষ্টি। 

দেশে বিদ্যমান অংশীদারি ব্যবসায় আইন কোম্পানি আইন সহ আইন সহ আইন সহ আইন সহ আইন পরিবেশ বিষয়ক আইন ইত্যাদি আইন বিধি বিধান ও নিয়ম কানুনের বেড়াজালে আবদ্ধ থেকে ব্যবসায়ীকে কার্য পরিচালনা করতে হয়। 

তাই রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধান ইত্যাদিও ব্যবসায় কার্যকলাপের অন্যতম পরিবেশগত প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত। 

অতএব সকল ধরনের সংগঠন বিশেষ করে ব্যবসায়িক ও সরকারি সংগঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবসায়ীদের একজন আইনজ্ঞের সাহায্য নিয়ে কাজ করা উচিত। ব্যবসায় মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন পরিবেশের উপাদান। 

যেমন: প্রাকৃতিক,সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। ব্যবসায় এসকল পরিবেশের উপাদানগুলাে যেখানে যে সুবিধা আছে তা কাজে লাগিয়ে এবং বাধাকে যােগ্যতার সাথে মােকাবেলা করে ব্যবসায়ীকে চলতে হবে।

ঘ. ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পরিবেশের উপাদান সমূহের প্রভাব

উত্তরঃ একটা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পরিবেশ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণে পরিবেশের বিভিন্ন ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এক রকম ব্যবসা। পরিবেশ গুলাে যদি উৎপাদনের জন্য বেশি সহায়ক হয় তাহলে নতুন নতুন ব্যবসা বাণিজ্য এবং শিল্প সহজে স্থাপন করা সম্ভব হয়। ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবেশের প্রভাব আলােচনা করা হলঃ

১। স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থাঃ রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে দেশের যে কোন প্রান্ত হতে উৎপাদনের জন্য কাচামাল সহজেই সংগ্রহ করা যায়। এজন্য একজন ব্যবসায়ী হিসেবে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশকে বেশি বিবেচনায় রাখবেন। রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে পরিবহনের ক্ষেত্রে জটিলতা পােহাতে হয় না।

২। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারঃ প্রযুক্তিগত পরিবেশের পর্যাপ্ত পরিমান সুবিধা থাকলে উৎপাদন কার্যক্রম দ্রুত এবং অপচয় রােধ করার মাধ্যমে করা সম্ভব। যে সমস্ত স্থানে উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, সেখানে উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতার হার বেশি থাকে। আধুনিক প্রযুক্তি উৎপাদন ব্যবস্থা কে অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে। যেটা মানুষ করতে অনেক বেশি সময় লাগতাে, সেটা অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব হচ্ছে। তাই ব্যবসায়ীক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবসায় পরিচালক সব সময় আধুনিক প্রযুক্তিতে জোরদার দান করবে।

৩। জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থাঃ

একটা সময় বা এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান বা অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভালাে হয় তাহলে ঐ সমস্ত স্থানে খুব সহজে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যায়। যদি মানুষজন তাদের উন্নত জীবনযাত্রা নিয়ে সচেতন, ওই ক্ষেত্রে জনগণ তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করবে। এদিকে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করতে পারবে এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যেতে পারবে।

৪) আইনি জটিলতাঃ আইনের জটিলতা বেশি থাকলে সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়না। কারণ সরকার যদি কোন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে ওই দেশে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীকে আইনগত দিক সমূহ বিবেচনায় রাখতে হবে।

৫) পর্যাপ্ত কাঁচামালের সহজলভ্যতাঃ পর্যাপ্ত শ্রমিক এবং উৎপাদনের কাঁচামাল সহজলভ্য হলে উৎপাদন কার্যক্রমও সহজ হবে। কারণ উৎপাদনের কাঁচামাল যদি খুব সহজে সংগ্রহ করা যায় তাহলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে। ব্যবসায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যবসার জন্য কাঁচামালের উৎস এবং সহজলভ্যতার বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কারণ পরিবেশের উপাদানগুলাে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কে অনেক বেশি প্রভাবিত করে।

বন্ধুরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে তোমরা ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করে নিতে পারো। এটি অনুশীলন করে তোমরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে এবং মূল্যায়নে ভালো ফলাফল হবে। 

উত্তরদাতা, বৃষ্টি আক্তার, বিবিএ অনার্স, ঢাকা।

সকল স্তরের সব সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমূহের বাছাই করা উত্তরসমূহ দেখার জন্য নিচের বাটনে ক্লিক করে বাংলাদেশের সেরা অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার গ্রুপে যোগ দিন। এখানে দেশের সকল প্রান্তের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান করছেন। 

চতুর্থ সপ্তাহে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের অন্যান্য বিষয়ের সমাধান বা উত্তর

[ninja_tables id=”10763″]

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ

এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান

[ninja_tables id=”10760″]

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পরিবেশের উপাদানসমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ