তথ্য ভান্ডার

ফুল, ফল, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের তালিকা ও মাটির প্রকারভেদ

৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য ৬ষ্ঠ এ্যাসাইনমেন্ট এর কৃষি শিক্ষা বিষয়ের তৃতীয় অধ্যায়: কৃষি উপকরণ, পাঠ-১: মাটির গঠন • পাঠ-২: মাটির প্রকারভেদ ও পঞ্চম অধ্যায়: কৃষিজ উৎপাদন পাঠ-১: উদ্যান ফসলের পরিচিত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব থেকে ফুল, ফল, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের তালিকা ও মাটির প্রকারভেদ সংক্রান্ত সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান করতে পারবে;

আজকের আলোচনায় তোমরা নিচের প্রশ্নটি সমাধান করতে পারবে-

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ: 

সৃজনশীল প্রশ্ন: ১

ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা ক্লাসে মাটি বিষয়ে শিক্ষক বললেন, সব ধরনের ফসল একই ধরনের মাটিতে চাষ করা সম্ভব নয়।  আলু , গম, পাট, তরমুজ, বাদাম, বাধাকপি ইত্যাদি ফসলগুলাে চাষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মাটি প্রয়ােজন হয়।  শিক্ষক আরও বললেন এমন এক ধরনের মাটি আছে যার অর্ধেক বালিকণা আর বাকি অর্ধেক পলিকণা ও কাঁদা যুক্ত হয়।

ক) উদ্দীপকের প্রদত্ত ফসলগুলাে চাষের উপযােগী মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী তালিকা তৈরি কর।

উত্তর: উদ্দীপকের প্রদত্ত ফসলগুলো চাষের উপযোগী মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হলো-

আলু চাষঃ আলু চাষের জন্য বেলে দোআঁশ মাটি উপযোগী। বেলে দোআঁশ মাটি হালকা প্রকৃতির হয়ে থাকে।

গম চাষঃ গম চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি জমি বেশি উপযোগী। তবে মাঝারি নিচু জমিতে গম চাষ করা যায়। দোআঁশ মাটি এবং বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য উপযোগী।

পাট চাষঃ পাট চাষের জন্য উঁচু এবং মাঝারি উঁচু জমি বেশি উপযোগী। দোআঁশ মাটি পাট চাষের উপযুক্ত।

তরমুজ চাষঃ তরমুজ চাষের জন্য বেলে মাটি উপযুক্ত। বেলে মাটিতে প্রচুর কম্পোস্ট, গোবর ও সবুজ সার প্রয়োগ করে তরমুজ চাষ করা হয়।

বাদাম চাষঃ বাদাম চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হল বেলে মাটি। বেলে মাটিতে বালি, পলি ও কর্দম কনা মিশ্রিত থাকে।

বাঁধাকপি চাষঃ বাঁধাকপি চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি এঁটেল মাটি। এঁটেল মাটিতে শতকরা ৪০ ভাগ কর্দম কণা থাকে।

খ) শিক্ষকের শেষ মন্তব্যটি কোন মাটিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যাপূর্বক ধান চাষের জন্য এই মাটি উপযােগী কী না-যুক্তি দাও

উত্তর: শিক্ষকের শেষ মন্তব্যটি ছিল-

এমন এক ধরনের মাটি আছে যার অর্ধেক বালিকণা আর অর্ধেক পলিকনা ও কাদাযুক্ত  হয়।

শিক্ষকের মন্তব্যটি পলি-দোআঁশ মাটি কে নির্দেশ করে। কারণ আদর্শ পলি-দোআঁশ মাটিতে অর্ধেক বালিকণা এবং বাকি অর্ধেক পলি কণা ও কাঁদাযুক্ত থাকে।

ধান চাষের জন্য এ মাটি উপযোগী নয়। কারণ কংকরযুক্ত পলি দো-আঁশ ও বেলে মাটি ছাড়া সব মাটিই ধান চাষের উপযোগী।

এঁটেল দো-আঁশ মাটি ধান চাষের জন্য খুব ভালো। যে মাটিতে কমপক্ষে শতকরা ৪০ ভাগ কর্দমকণা থাকে, তাকে এঁটেল মাটি বলে।

নদী অববাহিকা ও হাওর বাওড় এলাকা যেখানে পলি জমে সেখানেও ধান ভালো হয়। প্রকারভেদেও উঁচু, মাঝারি, নিচু সব ধরনের জমিতে ধানের চাষ করা যায়।

যেমন নিচু জমিতে বোরো ও জলি আমন চাষ করা যায়। মাটির অম্লাত্বক থেকে নিরপেক্ষ অবস্থা ধান চাষের অনুকূল। মাটিতে জৈব পদার্থ কম হলে কম্পোস্ট ব্যবহার করে এর মাত্রা বাড়ানো যায়।

মাটির নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক, সালফার ইত্যাদির মাথা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়।

পরিশেষে বলা যায়, উপরোক্ত গুনাগুন যেহেতু পলি দোআঁশ মাটিতে বিদ্যমান থাকে না; তাই এই মাটি ধান চাষের উপযুক্ত নয়।

সৃজনশীল প্রশ্ন: ২

২। তােমার এলাকায় জন্মে এমন ফুল, ফল, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের (পাঁচটি করে) তালিকা তৈরি কর এবং এগুলাের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বর্ণনা কর।

উত্তর: আমার এলাকায় জন্মে এমন ফুল, ফল, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের পাঁচটি করে তালিকা তৈরি করা হলো –

  • ফুল জাতীয় ফসল – গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, বেলি, হাসনাহেনা
  • ফল জাতীয় ফসল– পেঁপে, কলা, লেবু, কিউই ফল, আনারস
  • শাক সবজি জাতীয় ফসল– আলু, গাজর, শসা, পালং শাক, লাউ
  • মসলা জাতীয় ফসল– পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ধনিয়া, জিরা

উপরোক্ত ফসল গুলোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো –

ফুলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব-

  • ১. ফুল সহজে চাষ প্রক্রিয়া ও অভিযোজন যোগ্যতার কারণে এটি চাষের বহুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।
  • ২. ঝুলন্ত ঝুড়ি, মালা তৈরি, বিয়ে বাড়ির স্টেজ সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয় যার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে বিক্রেতা লাভবান হয়।

ফলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব-

  • ১. যেহেতু দেশি ফল হতে আমরা নানা ধরনের পুষ্টিমূল্য পেয়ে থাকি, তাই এর চাষ আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
  • ২. ফলের উৎপাদন, বিপণন ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ অত্যন্ত শ্রমঘন কাজ বিধায় ;এগুলো কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে।

শাকসবজির অর্থনৈতিক গুরুত্ব-

  • ১. বাজারে বিদ্যমান শাক সবজি বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় খুব সহজেই।
  • ২. শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করে কৃষিখাতের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখা যায়।

মসলার অর্থনৈতিক গুরুত্ব-

  • ১. বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের রান্না কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় মসলা।
  • ২. মসলার দাম কম থাকায় সবার নাগালের মধ্যে থাকে।

উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ প্রতিটি স্তরে অধিক পুঁজি ও প্রযুক্তির দরকার হয় বলে সারা বছর প্রচুর কাজের সৃষ্টি হয়। ফলে বেকার সমস্যা দূর করা যায়।

উপরোক্ত ফসলগুলো চাষে ব্যাপক অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

ফুল, ফল, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের তালিকা ও মাটির প্রকারভেদ এই ছিল আজকের আয়োজন।

তোমাদের জন্য এই টিউনটি পাঠিয়েছে, খাদিজাতুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৬ষ্ঠ এস্যাইনমেন্ট এর সকল বিষয়ের উত্তর:

শ্রেণি ভিত্তিক সকল শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর সহায়িকা:

নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন; এখানে দেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী আলোচনার মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছে

JOIN BANGLANOTICE FACEBOOK GROUP

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ