সর্বশেষ আপটেড

উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ- এইচএসসি ২০২২ অর্থনীতি এসাইনমেন্ট সমাধান

চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরােপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য এইচএসসি ২০২২ ১০ম সপ্তাহের অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান সম্পর্কিত ধারণা দেওয়ার নিমিত্তে আজকের আর্টিকেলে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ- এইচএসসি ২০২২ অর্থনীতি এসাইনমেন্ট সমাধান করার চেষ্টা করবো।

এইচএসসি ২০২২ ১০ম সপ্তাহের অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ

কৃষক রফিক সাহেব এর এক বিঘা আয়তনের কৃষি খামারে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন নিয়োগ এর সাথে শ্রমের নিয়োগ একজন করে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ধান উৎপাদন করা সম্ভব হল যথাক্রমে 5,9,12 এবং 14 মন। পরবর্তী সময়ে উক্ত কৃষক একই জমিতে পূর্বের অনুরূপ শ্রম ও মূলধন নিয়োগের মাধ্যমে ধান উৎপাদন সম্ভব হয় যথাক্রমে 6, 10, 18 এবং 35 মণ। উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত হতে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ করো।

নির্দেশনা

  • উৎপাদনের ধারণা
  • উপকরণের পরিবর্তন ও উৎপাদন
  • ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি
  • ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি
  • তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে কৃষিতে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ।

এইচএসসি ২০২২ ১০ম সপ্তাহের অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ

উৎপাদনের ধারণা (Concept of Production):

সাধারণ অর্থে ‘উৎপাদন বলতে কোন কিছু সৃষ্টি করাকে বুঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে শুধু সৃষ্টি করাকে বুঝায়। অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন দ্রব্যের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন করে দ্রব্যের উপযােগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে। প্রকৃতপক্ষে মানুষ কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। মানুষের আশে পাশে যা কিছু রয়েছে সবই প্রকৃতির দান। মানুষ কেবল মাত্র প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদের রূপগত, গুণগত, পরিমাণগত ও অবস্থানগত পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন উপযােগ সৃষ্টি করতে পারে বা ভবিষ্যতের জন্য মজুদ রেখে অতিরিক্ত উপযােগ সৃষ্টি করতে পারে।

এভাবে কোন দ্রব্যের আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করাকে অর্থনীতিতে উৎপাদন বলে। যেমন- বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে আসবাবপত্র প্রস্তুত করে মানুষ কোন নতুন দ্রব্য বা পদার্থ সৃষ্টি করতে পারে না। শুধুমাত্র কাঠের আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করে আসবাবপত্র তৈরী করে উপযােগ সৃষ্টি করা হয়েছে মাত্র। অর্থাৎ আসবাবপত্র তৈরীর মাধ্যমেই কাঠের উপযােগ সৃষ্টি করা হলাে। সুতরাং অর্থনীতিতে উৎপাদন বলতে কোন দ্রব্য সৃষ্টি করাকে বুঝায় না; বরং দ্রব্যের আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করে অধিক উপযােগ সৃষ্টি করাকে বুঝায়। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ উৎপাদনের বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন।

উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ- এইচএসসি ২০২২ অর্থনীতি এসাইনমেন্ট সমাধান

  • অধ্যাপক মার্শালের মতে, “এ বস্তু জগতে মানুষ প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তুকে অধিকতর উপযােগী করে তােলার উদ্দেশ্যে এরূপ পূর্নবিন্যাস করে যাতে তাকে অধিকতর কার্যোপযােগী করা যায়।”
  • অধ্যাপক ডানিয়েল বি. সুইটস এর মতে, “উৎপাদন হলাে এমন একটি পদ্ধতি যা দ্বারা মানুষ প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তুকে ভােগের উপযােগী করে তুলতে পারে।”

সুতরাং সংক্ষেপে বলা যায়, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদের সাথে নিজের শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করে। অধিকতর উপযােগ সৃষ্টি করে তাকে উৎপাদন বলে।

উপকরণের পরিবর্তন ও উৎপাদন

আমরা জানি, কোন দ্রব্য উৎপাদন করতে গেলে চারটি উপকরণ- ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠনের প্রয়ােজন হয়।। উৎপাদনকারী যখন উপকরণসমূহ বাড়াতে থাকে তখন উৎপাদনের পরিমাণও বাড়তে থাকে। কিন্তু দ্রব্যের উৎপাদন। সকল ক্ষেত্রে উপকরণ ব্যবহারের অনুপাতে বৃদ্ধি পায় না। উৎপাদনের পরিমাণ কখনাে অধিক হারে, কখনাে কম হারে ও কখনাে সমহারে বৃদ্ধি পায়। সুতরাং মােট উৎপাদনের উপর কোন উপকরণের প্রভাব কিরূপ তা জানার জন্য অন্যান্য উপকরণগুলােকে স্থির ধরে একটি উপকরণকে পরিবর্তনশীল ধরে এর ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি করা হয়। এর ফলে উৎপাদনের যে পরিবর্তন ঘটে তা পরিবর্তনীয় উপকরণ অনুপাত বিধিতে ব্যাখ্যা করা যায়। এবিধিতে বলা হয়, অন্যান্য উপকরণ স্থির রেখে একটি পরিবর্তনশীল উপকরণ ক্রমাগত নির্দিষ্ট অনুপাতে বৃদ্ধি করতে থাকলে উৎপাদন ক্ষেত্রে তিনটি পর্যায় বা স্তরের সৃষ্টি হয়। যা উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় বা স্তর নামে পরিচিত। উৎপাদনের তিনটি পর্যায় বা স্তর হলাে : (১) প্রথম পর্যায়, (২) দ্বিতীয় পর্যায়, (৩) তৃতীয় পর্যায়।

অনুমিত শর্তাবলী ও পরিবর্তনীয় উপকরণ অনুপাত বিধি অনুযায়ী উৎপাদন ক্ষেত্রে যে তিনটি পর্যায় দেখা যায় তা নিম্নলিখিত অনুমিত শর্তের উপর নির্ভরশীল।

(১) স্বল্পকালীন সময়।
(২) উৎপাদন কলাকৌশল ও কারিগরী স্থির।
(৩) শুধুমাত্র একটি উপকরণ পরিবর্তনশীল।
(৪) পরিবর্তনীয় উপকরণের এককগুলাে সমজাতীয়। এবং
(৫) উপকরণ অনুপাত পরিবর্তনশীল।

ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি

ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি: যদি কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিতে ক্রমাগতভাবে অধিক শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হয় তাহলে শ্রম ও মূলধন যে হারে নিয়ােগ করা হয় উৎপাদন তা অপেক্ষা কম হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ইহাই ক্রমহাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি নামে পরিচিত। অধ্যাপক মার্শাল এ বিধিটির প্রবক্তা। মার্শালের মতে, “বর্ধিত পরিমাণ মূলধন ও শ্ৰম কৃষিক্ষেত্রে নিয়ােগ করলে উৎপাদন সাধারনত আনুপাতিক হার অপেক্ষা কম হারে বৃদ্ধি পায়।” অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট একখন্ড জমিতে যদি দ্বিগুণ শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হয় তাহলে মােট উৎপাদন বাড়বে কিন্তু তা দ্বিগুণ অপেক্ষা কম হয়ে থাকে। অতএব একই জমিতে অতিরক্তি শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করলে খরচের তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদন ক্রমশ কমতে থাকবে। উৎপাদন বৃদ্ধির এই প্রবণতাকে ক্রমহাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি বলা হয়।

নিম্নে একটি কাল্পনিক তালিকার সাহায্যে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি ব্যাখ্যা করা হল।

তালিকা অনুসারে, জমির পরিমাণ নির্দিষ্ট (১ হেক্টর)। প্রথম বছরে ১ হেক্টর জমিতে ১০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করে মােট উৎপাদন (TP) পাওয়া যায় ১৫০ একক। দ্বিতীয় বছরে ঐ ১ হেক্টর জমিতে ২০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ মােট উৎপাদন পাওয়া গেল ৩২০ একক এবং প্রান্তিক উৎপাদন (MP) হল ১৭০ একক; অর্থাৎ দ্বিতীয় বছরে খরচের তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদন অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তৃতীয় বছরে যখন ৩০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হল তখন মােট উৎপাদনের পরিমাণ হল ৪২০ একক এবং প্রান্তিক উৎপাদন হল ১০০ একক। এক্ষেত্রে খরচের তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদন কম হয়েছে।

চতুর্থ বছরে ঐ একই জমিতে ৪০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হলে মােট উৎপাদনের পরিমাণ হল ৪৮০ একক এবং প্রান্তিক উৎপাদনের পরিমাণ হল ৬০ একক। এভাবে দেখা যায় যে, একই জমিতে ক্রমশ অধিক হারে শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হলে মােট উৎপাদন প্রথমদিকে ক্রমবর্ধমান হারে এবং তারপর ক্রমহাসমান হারে বাড়তে থাকে। প্রান্তিক উৎপাদন প্রথমে বাড়লেও অতঃপর কমতে থাকবে। উৎপাদনের এ নিয়মটিকেই অর্থনীতিবিদ মার্শাল ক্রমসামান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি নামে অভিহিত করেছেন। নিম্নের চিত্রে ক্রমহাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধিটি ব্যাখ্যা করা হলাে।

ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি

ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি (Law of Increasing Marginal Returns): উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণ এবং কলাকৌশল অপরিবর্তিত রেখে কোন দ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোন নির্দিষ্ট উপকরণ যে হারে (শ্রম অথবা মূলধন) নিয়ােগ করা হয়, মােট উৎপাদন যদি মেই উপকরণ বৃদ্ধির হার অপেক্ষা অধিক হারে বৃদ্ধি পায়, তবে তাকে ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি বলে। এ বিধাটিশিল্পক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযােজ্য। শিল্পক্ষেত্রে অধিক শ্রম ও মূলধন নিয়োগ করা হলে উৎপাদনের উপকরণগুলাের দক্ষতা এমনভাবে বৃদ্ধি পায় যে, উপকরণের খরচ বৃদ্ধির হার অপেক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধির হার বেশী হয়। সাধারণত: শিল্পে বেশী পরিমাণ মূলধন নিয়োগ করা হলে দক্ষ শ্রমিক, উন্নত যন্ত্রপাতি ও উৎপাদনের যুগপােযােগী কারিগরী কলাকৌশল ব্যবহার করা যায়। এর ফলে উৎপাদনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং উপকরণ ব্যয়ের হার অপেক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধির হার অধিক হয়।উৎপাদন বৃদ্ধির প্রবণতাকে ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধিবলা হয়। নিম্নে সূচির সাহায্যেবিধিটি ব্যাখ্যা করা হলাে:

উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ

ছকে দেখা যায় কোন দ্রব্য উৎপাদন কার্যক্রমে ৫০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হলে মােট উৎপাদন ১০ মণ এবং প্রান্তিক উৎপাদন ১০ মণ হয়। দ্বিতীয়বার ৬০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন নিয়োগ করা হলে মােট উৎপাদন ২২ মণ এবং প্রান্তিক উৎপাদন ১২মণ হয়। তৃতীয়বার ৭০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন ব্যবহার করা হলে মোট উৎপদান ৩৬ মণ এবং প্রান্তিক উৎপাদন ১৬ মণ হয়। চতুর্থবার ৪০০০ টাকার শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হলে মােট উৎপাদন ৫৬ মণ এবং প্রান্তিক উৎপাদন ২০ মণ হয়।

সূচিতে দেখা যায়, প্রতিবারই অতিরিক্ত শ্রম ও মূলধন নিয়ােগ করা হলে উপকরণ ব্যয়ের হার অপেক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধির হার বেশী হয়। এটাই হলাে ক্রমবর্ধমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি।

তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে কৃষিতে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ

তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে কৃষিতে উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ- কৃষি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এখন দেশের প্রায় সব কৃষককে সেবা দেওয়া সম্ভব। সম্প্রতি ক্যাটালিস্টের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ কৃষক মুঠোফোন ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য পৌঁছানাে সম্ভব।আলােচনায় মুঠোফোনের প্রতি মিনিটে কিছুটা বেশি খরচের বিষয়টি এসেছে। আসলে একটি মুঠোফোন সেবাকেন্দ্রের সঙ্গে আরও অনেক বিভাগ কাজ করে। এ ক্ষেত্রে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একসঙ্গে কাজ করলে খরচ কমে আসবে। ক্যাটালিস্ট ২০০৩ সাল থেকে কয়েকটি টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কৃষকদের কৃষিতথ্যের সেবা দিচ্ছে৷ ক্যাটালিস্ট গ্রামীণফোনের সঙ্গে ৫০০ গ্রামীণফোন কমিউনিটি ইনফরমেশনের মাধ্যমে কৃষকদের সেবা দিচ্ছে।

এই ছিল তোমাদের এইচএসসি ২০২২ ১০ম সপ্তাহের অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান- উৎপাদন ধারার পরিবর্তন বিশ্লেষণ

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ