গাছের পাতা ঝলসে পড়া, গাছের পাতা ঢলে পড়ার কারণ
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আজ তোমাদের সামনে ফসলের বিভিন্ন রোগ, রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো- গাছের পাতা ঝলসে পড়া, গাছের পাতা ঢলে পড়ার কারণ ও এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে প্রতিকারের উপায়।
পল্লব যখন মামার বাড়িতে গিয়েছিল তখন কাজিনদের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটায়।
পল্লবের মামা কাজিনদের সহযোগিতায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করেছেন।
সেখান থেকে টমেটো, বেগুন, আলু, ডাটা নিজ হাতে তুলে এনে পল্লবকে টাটকা সবজির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
কিন্তু পল্লবের নজরে এলো সবজি বাগানের কোন কোন গাছের পাতায় বাদামি ও কালো দাগ ফুটে উঠেছে,
একটি বেগুন গাছ ঢলে পড়ে আছে এবং আলু গাছের পাতা ঝলসানো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
পল্লব উক্ত সমস্যাগুলো নিচের প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে কিভাবে সমাধান করতে পারে-
- গাছের পাতা কেন ঝলসে যায়?
- গাছ এর চারা কেন ঢলে পড়ে?
- গাছের পাতায় বাদামি, কালো বর্ণের দাগে গাছের কি ক্ষতি হয়?
- এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে কিভাবে গাছের রোগ প্রতিরোধ করা যায়?
যদি ফসলের শারীরিক কোনো অস্বাভাবিক অবস্থা দেখা যায় যেমন- ফসলের বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে না,
দেখতে দুর্বল ও লিকলিকে, ফুল অথবা ফল ঝরে যাচ্ছে তখন বুঝতে হবে ফসলের কোন না কোন রোগ হয়েছে।
নানা লক্ষণে ফসলের রোগ প্রকাশ পায়। ভিন্ন ভিন্ন ফসলের ভিন্ন ভিন্ন রোগ হয়, ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণও দেখা দেয়।
১.
গাছের পাতা ঝলসে যাওয়ার কারণ-
জীবের চারপাশে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ আরো অনেক অনুজীব আছে যারা ফসলের রোগ-বালাই ছড়ায়।
উদ্ভিদের ধ্বসা রোগের কারণে পাতা ঝলসে যায়। যেমন- ধান ও আলুর ধ্বসা রোগ।
২.
গাছের চারা ঢলে পড়ার কারণ-
অনেক সময় ফসলের কান্ড ও শিকড় রোগে আক্রান্ত হলে ফসলের শাখাগুলো মাটির দিকে ঝুলে পড়ে।
এই অবস্থাকে ঢলে পড়া রোগ বলে। যেমন- বেগুনের ঢলে পড়া রোগ।
গাছের পাতা ঢলে পড়া, ঝলসে পড়ার কারণ
গাছের পাতা ঝলসে পড়া, ঢলে পড়ার কারণ
৩.
গাছের পাতায় বাদামি, কালো বর্ণের দাগে গাছের যে ক্ষতি হয়-
ফসলের পাতায়, কাণ্ডে বা ফলের গায়ে নানা ধরনের দাগ বা স্পট দেখা দেয়। দাগের রঙ কালো, হালকা বাদামি, গাঢ় বাদামি কিংবা দেখতে পানিতে ভেজার মতো হয়।
ফসলের এসব দাগ বিভিন্ন রোগের কারণে হয়। যার ফলে ফসলের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না, দেখতে দুর্বল ও লিকলিকে হয়, ফুল অথবা ফল ঝরে যায় এমনকি গাছ মরেও যায়।
৪.
এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে যেভাবে গাছের রোগ প্রতিরোধ করা যায়-
রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে ফসলের রোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হয়। কারণ, ফসল একবার রোগাক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার করা কঠিন। তাই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার আগে নিচে উল্লিখিত প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করা জরুরিঃ
জীবাণুমুক্ত বীজ ব্যবহার করা : বীজের মাধ্যমে অনেক রোগ ছড়ায়। তাই কৃষককে নীরোগ বীজ সংগ্রহ করতে হবে বা বীজ শোধন করতে বলতে হবে।
বীজ শোধন : অনেক বীজ আছে নিজেরাই রোগ বহন করে। বীজ বাহিত রোগ জীবাণু নিরোগ করার জন্য বীজ শোধন একটি উত্তম প্রযুক্তি। এজন্য ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা হয়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ফসল আবাদ করা : ফসলের ক্ষেতে আগাছা থাকলে ফসল রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। কারণ আগাছা অনেক রোগের উৎস। তাই আগাছা পরিষ্কার করে চাষাবাদ করতে হবে।
রোগাক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে ফেলা বা মাটিতে পুঁতে ফেলা : এক গাছ রোগাক্রান্ত হলে অন্য গাছেও ছড়িয়ে পড়ে। যাতে রোগ পুরো মাঠে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য নির্দিষ্ট রোগাক্রান্ত গাছটি তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। নতুবা মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলতে হবে।
আরো দেখুন-
- মানসম্মত বীজ উৎপাদনের জন্য যে শর্তগুলো পালন করতে হবে
- মাছে ভাতে বাঙ্গালী – সমাজ গঠনে কৃষি – সেচ পানির অপচয় – সবুজ সার
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড,
পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার
আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।