মানসম্মত বীজ উৎপাদনের জন্য যে শর্তগুলো পালন করতে হবে
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ কৃষিশিক্ষা বিষয়ের আজকের আলোচনায় থাকবে মানসম্মত বীজ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী। আজকের আলোচনা শেষে, মানসম্মত বীজ উৎপাদনের জন্য যে শর্তগুলো পালন করতে হবে তা জানতে পারবে। এছাড়াও, ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কোন ধরনের বীজ ব্যবহার করতে হবে তা জানতে পারবে।
গ্রামের শিক্ষিত যুবক জহির ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য সিদ্ধান্ত নিলেন। এজন্য তিনি মানসম্মত বীজ উৎপাদনের কৌশল অবলম্বন করলেন। উপরোক্ত তথ্যের আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
-
মানসম্মত বীজ উৎপাদনের জন্য জহিরকে যে শর্ত পালন করতে হবে সেগুলোর নাম উল্লেখ কর।
-
জহিরের বীজ ফসলের জমি পৃথক রাখার কারণ কী?
-
তিনি কী কারণে রগিং করেছিলেন?
-
ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য জহির কোন ধরনের বীজ ব্যবহার করবেন?
-
মৌল বীজ ও ভিত্তি বীজের পার্থক্য কী?
১.
বীজ উৎপাদন একটি প্রযুক্তিগত কর্মকাণ্ড। বীজ উৎপাদনের প্রথম কাজ হলো বীজের গুণাগুণ সংরক্ষণ করা। তাই কৃষিবিজ্ঞানীরা অবিরাম ফসলের জাতের বংশবৃদ্ধি ও গুণাগুণ সংরক্ষণের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোগ করছেন। বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি বলতে মানসম্মত বীজ উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণকে বোঝায়।
মানসম্মত বীজ উৎপাদনের জন্য জহিরকে যে শর্তগুলো পালন করতে হবে সেগুলোর নাম উল্লেখ করা হলোঃ
- বীজের বিশুদ্ধতা সংরক্ষণ,
- বীজ ফসলের পৃথকীকরণ,
- বীজ-শোধন,
- বীজ বপন পদ্ধতি,
- রগিং,
- আন্তঃ পরিচর্যা,
- বীজ ফসল কর্তন,
- বীজ শুকানো ও সংরক্ষণ।
২.
জহিরের বীজ ফসলের জমি পৃথক রাখার কারণঃ
বীজ ফসলের জমিকে অবীজ ফসলের জমি থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার নামই পৃথকীকরণ। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই বীজ ফসলের চারদিকে বর্ডার লাইন হিসেবে একই ফসলের অতিরিক্ত চাষ করতে হয়। এতে পর-পরাগয়নের সম্ভাবনা থাকে না।
৩.
তিনি যে কারণে রগিং করেছিলেনঃ
বীজের জাতের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য রগিং করতে হয়। রগিং অর্থ হচ্ছে আকাঙ্খিত বীজের গাছ ছাড়া আগাছাসহ অন্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত গাছ জমি থেকে শিকড়সহ তুলে ফেলা। ফুল আসার আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত গাছ রগিং করা ভালো।
৪.
ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য জহির প্রত্যয়িত বীজ ব্যবহার করবেনঃ
কৃষকের প্রত্যয়িত বীজ ছাড়া অন্য বীজ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। জহির যদি ফসল উৎপাদনে প্রত্যয়িত বীজ ছাড়া সারহীন বীজ ব্যবহার করেন তবে ফসল ভালো না হওয়ার আশঙ্খা বেশি থাকে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই বিশেষজ্ঞরা প্রত্যয়িত বীজ ব্যবহারের অনুমোদন প্রদান করেন।
৫.
মৌল বীজ ও ভিত্তি বীজের পার্থক্য হলোঃ
মৌল বীজ-
- উদ্ভিদ প্রজন্ম বিজ্ঞানীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বংশগত গুণাগুণ সম্পন্ন যে বীজ উৎপাদন করা হয়, তাকে মৌল বীজ বলে।
- মৌল বীজ সাধারণত কম পরিমাণে উৎপাদন করা হয়।
- এ বীজ বিক্রয়যোগ্য নয়।
ভিত্তি বীজ-
- বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের খামারে বীজ অনুমোদন সংস্থার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মৌল বীজ থেকে যে বীজ উৎপাদন করা হয়, তাকে ভিত্তি বীজ বলে।
- এ বীজ বিক্রয়যোগ্য।
আরো দেখুন-
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড,
পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার
আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।