ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ; পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর জন্য ই-লার্নিং পদ্ধতির ব্যবহার করছে। আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। কোভিড-১৯ এর সময় আমরা এর সুফল বুঝতে পেরেছি। আজকে আমরা আলোচনা করবো ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ নিয়ে। প্রবন্ধটি ভালভাবে পড়লে তুমি নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ৩য় সপ্তাহের ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখতে পারবে।
তবে কখনোই হুবুহু কপি করবেনা; ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ তথ্যটি থেকে আইডিয়া সংগ্রহ করে নিজের মত করে গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করবে। তাহলে চলো শুরু করা যাক-
> ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ <
ভূমিকা: পৃথিবীর ইতিহাসে কয়েকটি স্মরণীয় বছরের মধ্যে ২০২০ অন্যতম একটি বছর। যার সাক্ষী আমরা সবাই।
কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস নামক এক প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণে পুরা বিশ্ব স্থবির হয়ে আছে।
সামাজিক সংক্রমণ রোধ করতে সমগ্র পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধ রয়েছে দেশের সবকটি পাবলিক পরীক্ষা। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকলেও আমাদের শিক্ষকগণ বাসায় বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং সংসদ টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।
শিক্ষায় ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা খাতকে আধুনিকায়ন করার নামই ই-লার্নিং বা ইলেক্ট্রনিক শিক্ষা।
করোনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম চালু না রাখার যুক্তিকতা:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সারাবিশ্বব্যাপী মানুষ। মারাত্মক ছোঁয়া আছে এই ভাইরাসটির কারণে সারা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষ ২৯ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছে। সর্বমোট সংক্রমিত হয়েছে পাঁচ কোটি আট লক্ষ লোক।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে।
পৃথিবীর সকল দেশের মতো বাংলাদেশ ও কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস এর সামাজিক সংক্রমণ রোধকল্পে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় না খোলায় শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
কেউ বলছে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া উচিত আবার কেউ বলছেন শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিদ্যালয় না খোলা উচিত।
এখন আমরা আলোচনা করব করোনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম চালু না রাখার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে-
সামাজিক সংক্রমণ রোধ:
করোনাভাইরাস একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে ভাইরাস যা শুধুমাত্র একজন মানুষ থেকে অন্য জন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ভাইরাস খুব দ্রুত একজন থেকে অন্য জনের মধ্যে ছড়ায় সুতরাং একজন আক্রান্ত হলে ওই অঞ্চলের অনেক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় থাকে। সামাজিক দূরত্ব কোমলমতি শিশুদের মেনে চলা অনেকটা অসম্ভব।
তাই করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ রোধে বিদ্যালয় চালু রাখা যৌক্তিক বলে আমি মনে করছি।
কোমলমতি শিশুদের প্রাণ নাশের আশঙ্কা:
শিশুরা সবসময়ই একটু স্বাধীনভাবে থাকতে পছন্দ করে। কোভিড-১৯ কালীন সময় শিশুদেরকে বিদ্যালয় নিয়ে আসা হলে তারা খুব দ্রুত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে যাতে শিশুদের মৃত্যুঝুঁকি বা প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে।
তাই দেশের কোমলমতি শিশুদের প্রাণ রক্ষার্থে করোনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রাখা যৌক্তিক।
সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা:
আমাদের বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন কেউ বিচারপতি হবেন কেউ পৃথিবীর সর্বোচ্চ আসনে আসীন হতে পারেন। কার মধ্যে কি সম্ভাবনা রয়েছে তা এখনই নির্ণয় করা মুশকিল।
তাই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যোগ্য মানুষ সৃষ্টি করতে বা যোগ্য মানুষ পেতে বর্তমান সময়ে করোনাকালীন স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রাখা যৌক্তিক।
বিকল্প পাঠদান:
দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, কিশোর বাতায়ন, একসেস টু ইনফরমেশন, সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিভি চ্যানেল, রেডিও, মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।
স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম এর মত অতটা ফলপ্রসূ না হলেও শিক্ষার্থীরা অনলাইন শ্রেণী কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের পাঠগ্রহণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেরেছে।
সুতরাং শুধুমাত্র শ্রেণীতে বসে পাঠ গ্রহণ করার জন্য বিদ্যালয়ে না এসে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম করতে পারছে সে তো স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রাখা যৌক্তিক।
ই-লার্নিং এর ধারণা:
ই-লার্নিং মানে হল ইলেকট্রনিক লার্নিং। শিক্ষা কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান কে আরো আকর্ষণীয় ও আধুনিক আধুনিক ভাবে প্রদর্শন করার মাধ্যমেই ইলেকট্রনিক লার্নিং বা ই-লার্নিং বলে।
সিডি রম, ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে ই-লার্নিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।
পাঠদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতির ব্যবহারের মাধ্যমে একজন শিক্ষক খুব সহজে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ভিডিও ছবি ও বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে পারেন।
তবে ই-লার্নিং কোনভাবেই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নয় তবে সনাতন পদ্ধতির পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
ই-লার্নিং এর সুবিধা সমূহ:
করোনাভাইরাস কালীন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা অনেকেই এখন এই লার্নিং এর সুবিধা সমূহ সম্পর্কে বাস্তবিকভাবে অবগত। শিক্ষা কার্যক্রমকে অনেক বেশি গতিশীল ও বোধগম্য করে তোলার জন্য ই লার্নিং এর কোনো বিকল্প নেই।
নিচে ইন্টারনেটের সুবিধা সমূহ আলোচনা করা হলো-
পাঠকে সহজ করা:
পাঠদান পদ্ধতি তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিকট পাঠ কে অনেক বেশি সহজবোধ্য ও বোধগম্য করে তোলা যায়।
একজন শিক্ষক চাইলে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জটিল সমীকরণ সহজেই সমাধান করার পদ্ধতি দেখাতে পারেন।
সহজলভ্য উপকরণ:
ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করলে শিক্ষায় উপকরণসমূহ সহজলভ্য হয়ে যায়।
একজন শিক্ষক চাইলে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এর মাধ্যমে অনেকগুলো উপকরণ এর ছবি এবং ভিডিও কনটেন্ট শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন।
এতে শিক্ষা উপকরণ সহজভাবে উপস্থাপন ও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
আকর্ষণীয় পাঠদান:
মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীদের নিকট পাঠদান প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও ফলপ্রসূ করা যায়।
মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপিত বিভিন্ন পাঠ শিক্ষার্থীরা আনন্দ সহকারে উপভোগ করে এবং সেটা আত্মস্থ করতে পারে।
প্রায়োগিক শিক্ষা:
ই-লার্নিং এর বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিকট শিক্ষা কার্যক্রমকে অনেক বেশি প্রায়োগিক করা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকের পক্ষে সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদান করা অনেকটা কঠিন হয়ে যায় যা লার্নিং এর উপকরণ ব্যবহার করে সহজভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়।
সহজবোধ্য উপস্থাপনা:
ইলেকট্রনিক পদ্ধতির বিভিন্ন মাধ্যম ভিডিও ছবি ও অডিও মাধ্যমে অনেক কঠিন পড়াশোনা শিক্ষার্থীদের কাছে সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়।
ভিডিও ছবি ও অডিও মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব হয় তাতে শিক্ষার্থীদের পাঠ সহজবোধ্য হয়েছে।
ঘরে বসে শিক্ষা:
ই-লার্নিং ব্যবহার করে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস উপভোগ করতে পারে।
এর বাস্তবিক প্রয়োগ আমরা দেখতে পেয়েছি কোভিদ 90 সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকা কালিন আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নামিদামি স্কুলের শিক্ষকদের ক্লাস সংসদ টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পেয়েছি।
ই-লার্নিং এর ঘরে বসে শিক্ষার বিষয়ে এর চেয়ে বাস্তব উদাহরণ আর হতে পারে না।
উপকরণ তৈরিতে খরচ কমানো:
ই-লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শিক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরিতে বারবার টাকা খরচ না করে একবার সুন্দর ভাবে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরি করে সেটা বছরের পর বছর ব্যবহার করা যায়।
এতে শিক্ষকদের শিক্ষা উপকরণ তৈরিতে খরচ অনেকাংশে কমে যায়।
বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট সহজভাবে প্রদর্শন:
দেশের সকল অঞ্চলে সকল বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় অনেক বেশী পিছিয়ে পড়েছে।
একটা দেশকে উন্নত শিহরণ করার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত বিজ্ঞান শিক্ষা’ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ই-লার্নিং এর ভিডিও বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের খুব সহজেই বিজ্ঞানের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট দেখানো যায় যাতে শিক্ষার্থীরা প্রায়োগিক শিক্ষা লাভ করতে পারে।
এতে সকল বিদ্যালয়ের ল্যাব এর প্রয়োজন হবে না এবং চাইলে শিক্ষার্থীরা বারবার ওই কনটেন্ট বা এক্সপেরিমেন্ট বারবার দেখতে পাবে। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবিক বিজ্ঞান শিক্ষা’ অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ:
ই-লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থা গুলো ঘরে বসেই ইলেকট্রনিক কনটেন্ট ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এতে শিক্ষার্থীরা কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে না গিয়ে ঘরে বসেই যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা ভালো মানের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় কারিগরি কোর্স ঘরে বসেই করে নিতে পারে।
সময় ও অর্থের অপচয় রোধ:
শিক্ষায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বেশি সময় ও অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব। এখন একটি ই-বুক রিডার কম্পিউটার বা মোবাইল এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামকরা লেখকের এর বই পিডিএফ আকারে সংরক্ষণ করে সেটা যে কোন সময় পড়তে পারে।
এক সময় বই কিনতে শিক্ষার্থীদের অনেক টাকা খরচ করতে হতো কিন্তু ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামীদামী বিভিন্ন বই খুব সহজে পিডিএফ আকারে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারে।
একজন শিক্ষক ঘরে বসেই চাইলেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে ইনস্ট্রাকশন দিতে পারেন তাই কি লার্নিং সময় ও অর্থের অপচয় রোধ করতে অনেক বেশি সহযোগিতা করবে।
ই-লার্নিং বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সমূহ:
ই-লার্নিং এর অনেক বেশি সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশের মতো দেশে ই-লার্নিং বাস্তবায়নে কিছু সীমাবদ্ধতা বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশি লার্নিং বাস্তবায়নে এই চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-
১. দারিদ্রতা:
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তারা অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ক্রয় করার মত বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো সেই পরিমাণ অর্থ তাদের কাছে থাকে না। তাই দারিদ্রতা ই-লার্নিং বাস্তবায়নে একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
২. সচেতনতা সৃষ্টি:
আমাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাট গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন নয়।
সরকারের পক্ষ থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাঠদান পদ্ধতি বাস্তবায়ন করার জন্য জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে।
দেশের বেশির ভাগ মানুষকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাঠদান সম্পর্কে অবগত এবং এর সুবিধা বোঝানো অনেক কষ্টকর বিষয়।
৩. সুবিধার অভাব:
ই-লার্নিং বাস্তবায়নে যে সকল সুবিধা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সে সকল সুবিধা অনেক অভাব রয়েছে আমাদের দেশে।
যেমন সকলের নিকট ইন্টারনেট এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্বল্পমূল্যে পৌঁছে দেওয়া একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
৪. পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি:
ই-লার্নিং এর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত রিসোর্স যা আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
আমাদের দেশে খুব কম পরিমাণে ই-লার্নিং এর উপকরণ তৈরি হয়। তাই এ লার্নিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
৫. শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করণ:
দেশের সকল শিক্ষককে ই-লার্নিং এর পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত করণ ই-লার্নিং বাস্তবায়নের জন্য অত্যাবশ্যক।
একজন শিক্ষক ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান করতে না পারলে কোনভাবেই ইরানি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
তাই দেশের সকল স্তরের শিক্ষককে একসাথে ইরানি কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা বা ব্যবহার করা পদ্ধতি শেখানো একটা চ্যালেঞ্জ।
৬. স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ:
প্রযুক্তি পণ্য সমুহের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে ইরানি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কঠিন বিষয়।
তাই সরকারের পক্ষে সকল মানুষের কাছে ই-লার্নিং এর প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি পণ্য সমুহের দাম কমানো এবং ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
ই-লার্নিং এর মাধ্যমে কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জন:
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে একজন মানুষ চাইলেই ঘরে বসে বিভিন্ন কমেন্ট দেখে ভিডিও দেখে নিজের দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারে।
এখন অনেকেই বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোর্স করে বা বিনামূল্যে ভিডিও দেখে অনলাইনে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে নিচ্ছে।
ই-লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিকট পাঠ দান ও পাঠ গ্রহণ কার্যক্রম অনেক বেশী আনন্দদায়ক ও ফলপ্রসূ হয় শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
এই প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখা গেলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি দক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ জনবলে পরিণত হবে।
স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ই-লার্নিং এর সম্ভাবনা:
ই-লার্নিং কোনভাবেই স্বাভাবিক শিক্ষার বিকল্প নয় তবে স্বাভাবিক শিক্ষাকে আরো অনেক বেশি বেগবান ও ফলপ্রসূ করার জন্য ই লার্নিং এর ভূমিকা অনেক বেশি।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ও প্রায়োগিক বিষয় উপস্থাপনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম কে অনেক বেশি বোধগম্য ও ফলপ্রসূ করা যায়।
সময় ও অর্থ বাঁচিয়ে বিপুল পরিমাণ জনগণকে শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব ইরানি প্রযুক্তির মাধ্যমে।
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষার্থী ও চাইলেই লার্নিং এর মাধ্যমে শহরের কোন অভিজ্ঞ শিক্ষক এর পাঠ গ্রহণ করে নিজের মেধা মনন কে অনেক বেশি বাড়িয়ে নিতে পারবে।
ই-লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ বেঁচে যাবে।
ইলেকট্রনিক বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহ করতে পারলে শিক্ষা কার্যক্রম আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
উপসংহার:
সময়ে সাথে তাল মিলিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে উপযুক্ত এবং প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদানের জন্য ই-লার্নিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস কালীন সময়ে এর প্রমাণ আমরা পেয়েছি।
সুতরাং দেশের শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ই লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যাবশ্যক।
আশা করছি তোমরা এবার নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৩য় এস্যাইনমেন্ট এর নির্ধারিত কাজ ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ নিয়ে সুন্দর একটি প্রবন্ধ লিখতে পারবে।
তোমাদের জন্য আজকের টিউনটি প্রদান করেছেন- আবদুল্লাহ আল আরিয়ান, ডিপার্টমেন্ট অব কম্পিউটার সাইন্স, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলা নোটিশ ফেসবুক গ্রুপে
দেশের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আলোচনা করছে।
- তুমিও যোগ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারো- গ্রুপ লিংক- facebook.com/groups/banglanotice
দেশের সকল স্তরের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চাকুরি, বৃত্তিসহ সকল অফিসিয়াল নিউজ সবার আগে পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক পেইজটি Like & Follow করে রাখুন;
ইউটিউবে সকল তথ্য পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেল Subscribe করে রাখুন।
তোমার জন্য নির্বাচিত কিছু কনটেন্ট:
-
নবম শ্রেণির ৩য় অ্যাসাইনমেন্ট (নির্ধারিত কাজ) প্রকাশ
-
সমষ্টিগত সম্পদ এর তালিকা এবং এগুলো সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা
Class 8 assessment math solution
I want to 4th assignment solution’s to class 9.
Onk valo lagce amar ai website
Nice
আমি তথ ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর বিষয়ী ইত্তর খুজে পাচ্ছি নাা
Thanks a lot.This website is really very helpful.
Really This information was helpful for me. Thanks a lot.