অনলাইন পাঠদান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে মাউশি’র বিজ্ঞপ্তি
কোভিড-১৯ এর কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এ পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতি একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাউশি;
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রতি একটি নির্দেশনা দেওয়া হয় যা নিন্মে প্রদত্ত হল-
স্মারক নং: ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৯৯.০৩৩.২০২০- ২০০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
বিষয়: কোভিড-১৯ সংক্রমণ রােধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত পাঠদান কার্যক্রম এবং স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত অনলাইন পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম সংক্রান্ত।
১. আঞ্চলিক পরিচালক অঞ্চলের কলেজসমূহের অধ্যক্ষবৃন্দের সাথে এবং আঞ্চলিক উপপরিচালক (মাধ্যমিক) জেলা শিক্ষা।
অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে অনলাইন আলােচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন (চলতি মাসের মধ্যে ১টি সভা করতে হবে )।
উক্ত সভার আলােচ্য বিষয়সমূহ:
- সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত শ্রেণি পাঠদানের সাথে সমন্বয় করে অনলাইন ক্লাস রুটিন তৈরি; • অনলাইন ক্লাস ও সংসদ টেলিভিশনের কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ;
- শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য (সম্ভব হলে এ বিষয়টি আলােচনার সময় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ উপস্থিত রাখবেন); অনলাইন ক্লাস এর সার্বিক কার্যক্রম;
- প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা;
- ল্যাবসমূহ পরিষ্কার – পরিছন্ন ও সচল রাখা;
- বিবিধ;
২. আঞ্চলিক সভার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে অনলাইন সভা/স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাক্ষাৎ সভা করে উপরােক্ত আলােচনার নিরিখে প্রয়ােজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন (পরবর্তী মাসে ২ বার)।
৩. আঞ্চলিক সভার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের সাথে অনলাইন সভা এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে সহনশীল আচরণ, দৈনন্দিন কাজের রুটিন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি, লেখাপড়া ও অন্যান্য বিষয়ে আলােচনা করবেন (পরবর্তীতে ২ মাসে অন্তত ১ বার)।
৪. প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র প্রতিনিধির (স্টুডেন্ট কেবিনেট, কাব, হলদে পাখি, বিএনসিসি, গার্লস গাইড, রেডক্রিসেন্ট, রােভার স্কাউট) সাথে মত বিনিময় করবেন।
৫ আঞ্চলিক পরিচালক এর উদ্যোগে সকল অধ্যক্ষ একসঙ্গে জেলা ভিত্তিক সার্বিক বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় করবেন। উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসার উক্ত সভায় উপস্থিত থাকবেন।
৬. উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর উদ্যোগে সকল প্রধান শিক্ষক সার্বিক বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় করবেন। উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসার উক্ত সভায় উপস্থিত থাকবেন।
৭. প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষকের সাথে বিষয় শিক্ষকদের সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে মােবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদেরকে প্রয়ােজনীয় দিকনির্দেশনা দিবেন।
৮. প্রতিষ্ঠান প্রধানের নেতৃত্বে জুম মিটিং বা স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে সাক্ষাৎ মিটিং করে শিক্ষকগণ একাডেমিক কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা করবেন (মাসে অন্তত ০১ বার)।
৯. প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং করবেন সে সম্পর্কে প্রতিমাসে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যেকোন সময় প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ প্রফেসর ড. সৈয়দ মাে. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, বিজ্ঞপ্তি, নোটিশ, পরিপত্র, আদেশ, প্রজ্ঞাপণ সহ যাবতীয় তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক ও ফলো করে সংযুক্ত হোন; বাংলা নোটিশ ডট কম প্রতিদিন ভিজিট করুন।