চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা যারা এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষার্থী আছো তারা নিশ্চয়ই এইচএসসি ২০২১ ৪র্থ সপ্তাহের অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর খুঁজছো। তোমাদের এই অন্বেষণের কথা মাথায় রেখেই আজকের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছি। আজকের আলোচনায় থাকছে- চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামার চাহিদা ও যােগানের পরিবর্তন নির্ণয়; (“অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দাম বাড়লে চাহিদা কমে কিন্তু যােগান বাড়ে আবার দাম কমলে চাহিদা বাড়ে কিন্তু যােগান কমে”- এ উক্তিটির আলােকে বিভিন্ন দামে চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ দেখিয়ে সূচি ও চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য অবস্থা বিশ্লেষণ)।

এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট

এইচএসসি ২০২১ চতুর্থ সপ্তাহ অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট : চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামার চাহিদা ও যােগানের পরিবর্তন নির্ণয়; (“অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দাম বাড়লে চাহিদা কমে কিন্তু যােগান বাড়ে আবার দাম কমলে চাহিদা বাড়ে কিন্তু যােগান কমে”- এ উক্তিটির আলােকে বিভিন্ন দামে চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ দেখিয়ে সূচি ও চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য অবস্থা বিশ্লেষণ)।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/ পরিধি)

  • চাহিদা ও যােগানের ধারণা;
  • চাহিদাবিধি ও যােগানবিধি;
  • ভারসাম্য অবস্থা;
  • দামের ওঠা-নামায় চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ নির্ণয়;

এইচএসসি ২০২১ ৪র্থ সপ্তাহের অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

অর্থনীতি বা ‌‌‌অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞান এর একটি শাখা যা পণ্য এবং সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত– এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য৷ অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি ‘Economics’ শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Oikonomia’ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা।

চাহিদা ও যােগানের ধারণা

চাহিদার ধারণা (Concept of Demand) :

সাধারন অর্থে, কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা বা ইচ্ছাকে চাহিদা বলে। কিন্তু অর্থনীতিতে চাহিদা বলতে ভোক্তার কোন দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্খার সাথে সাথে তা ক্রয়ের অর্থ, সামর্থ্য এবং ব্যয় করার ইচ্ছা থাকলে তবেই ঐ আকাঙ্খাকে চাহিদা বলে। ধরা যাক, রহিম আর্থিকভাবে অসচ্ছল। সে একটি মোটর গাড়ী কেনার জন্য আকাঙ্খা প্রকাশ করল কিন্তুু তা ক্রয় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। কাজেই, এক্ষেত্রে রহিমের মোটর গাড়ির জন্য আকাঙ্খাকে চাহিদা বলা যাবে না। আবার একজন ধনী অথচ কৃপণ লোকের গাড়ী কেনার ইচ্ছাকে চাহিদা বলা যাবে না। কেননা তার ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা নেই। সুতরাং অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে নিম্নোক্ত তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণীয়। শর্ত তিনটি হলো :

  • (১) কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা;
  • (২) দ্রব্যটি ক্রয় করার প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য; এবং
  • (৩) প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছা।

সুতরাং আমরা বলতে পারি, কোন ক্রেতা বা ভোক্তার একটি নির্দিষ্ট দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা, আর্থিক সামর্থ্য বা ক্রয়ক্ষমতা এবং নির্দিষ্ট দামে ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তবে তাকেই অর্থনীতিতে চাহিদা (Demand) বলে।

যােগানের ধারণা (Concept of Supply) :

সাধারণ অর্থে যােগান বলতে কোন দ্রব্যের সরবরাহকে নির্দেশ করে। কিন্তু অর্থনীতিতে যােগান বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পণ্যে বিক্রেতাগণ কোন দ্রব্যের যে পরিমাণ বাজারে বিক্রয় করতে রাজি থাকে তাকে যােগান বলে। কোন দ্রব্যের যােগান সাধারণত: উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। দ্রব্যের যােগান দাম ও সময় দ্বারা প্রভাবিত হয়।

তাই চাহিদার ন্যায় যােগানের ক্ষেত্রেও অন্যান্য বিষয়কে স্থির বিবেচনা করে যােগানকে শুধুমাত্র দামের সাথে একটি ক্রিয়া বা অপেক্ষক বিবেচনা করা হয়। সুতরাং, কোন বিক্রেতা বা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কোন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে তাদের উৎপাদিত পণ্যের যে পরিমাণ বিক্রয় করতে প্রস্তুত থাকে তাকে অর্থনীতিতে যােগান (Supply) বলে।

চাহিদাবিধি ও যােগানবিধি

চাহিদা বিধিঃ চাহিদা বিধি চাহিদার সাথে দ্রব্যের দামের একটি সম্পর্ক রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দামে নির্দিষ্ট সময়ে ওভাক্তা নিজের ইচ্ছায় কি পরিমাণ দ্রব্য কিনতে চায় তাকে চাহিদা বলে। আমরা দ্রব্যের দাম না জানা পর্যন্ত বলতে পারি না কি পরিমাণ দ্রব্য কিনতে পারবাে। চাহিদা বিধি দ্রব্যের দামের সাথে চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক দেখায়। চাহিদা বিধি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে, অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় দ্রব্যের দাম যখন কম থাকে তখন দ্রব্যটির চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যায়। বিপরীতভাবে, এই বিধি দেখায়, অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় যখন দ্রব্যের দাম বাড়ে তখন দ্রব্যটির চাহিদা কমে। অর্থাৎ, দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে বিপরীত সম্পর্কই হচ্ছে চাহিদা। বিধি। এখানে অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত’ বলতে বােঝানাে হচ্ছে ক্রেতার আয় ও বিকল্প দ্রব্যের দাম অপরিবর্তিত থাকবে ইত্যাদি।

যােগান বিধিঃ যােগান বিধি আমরা দেখেছি, কোন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রেতাদের ঐ দ্রব্যটি বিক্রয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যায়। কেননা, দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রব্যটি বিক্রয় বৃদ্ধি পায়। দ্রব্যের দাম ও যােগানের পরিমাণ এর মধ্যে ধনাত্মক সম্পর্ককে ‘যােগান বিধি বলা হয়। যােগানের অন্যান্য নির্ধারকসমূহ অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায়, যখন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তখন দ্রব্যটির যােগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং যখন দ্রব্যের দাম হ্রাস পায় তখন যােগানের পরিমাণও হ্রাস পায়। সুতরাং যােগান বিধি দেখায়, বাজারে দ্রব্যের দামের সাথে বিক্রেতা দ্রব্যটির কি পরিমাণ বিক্রি করতে চায় এ দুয়ের মধ্যে সম্পর্ক।

ভারসাম্য অবস্থা

চাহিদা ও যােগানের সাহায্যে ভারসাম্য নির্ধারণ। এখন আমরা দেখবাে, কিভাবে চাহিদা ও যােগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে দ্রব্যের দাম ও পরিমাণ নির্ধারিত হয়। বাজারে কিভাবে দাম নির্ধারিত হয় তা বিশ্লেষণের জন্য ভােক্তার চাহিদা ও বিক্রেতার যােগানের মধ্যে তুলনা করতে হবে এবং দেখতে হবে কোথায় চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান।

চিত্রে, বাজার চাহিদা রেখা (DD) ও বাজার যােগান রেখা (SS) পরস্পরকে e বিন্দুতে ছেদ করেছে। এই e বিন্দুতে বাজার ভারসাম্য বিদ্যমান। ভারসাম্য হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি নির্দিষ্ট দামে চাহিদার পরিমাণ ও যােগানের পরিমাণ সমতায় পৌছে। চাহিদা ও যােগানের ছেদবিন্দুতে যে দাম বিদ্যমান তা হচ্ছে ভারসাম্য দাম এবং দ্রব্যের পরিমাণ হচ্ছে ভারসাম্য পরিমাণ। চিত্রে, ভারসাম্য দাম ১৫ টাকা (প্রতি কেজি) এবং ভারসাম্য পরিমাণ ৬০ কেজি। ভারসাম্য দামে ভােক্তা বা ক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করতে ইচ্ছুক এবং বিক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য বিক্রি করতে রাজি থাকে এ দুয়ের পরিমাণ সমান থাকে। এই ভারসাস্য দামকে মাঝে মাঝে market clearing price ও বলা হয়। কারণ, এ দামে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট থাকে।

সাধারণত ক্রেতা ও বিক্রেতা ক্রিয়া চাহিদা ও যােগানের ভারসাম্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়। যখন বাজার দাম ভারসাম্য দামের সমান না হয় তখন কি হতে পারে।প্রথমে ধরে নেই, বাজার দাম ভারসাম্য দামের চেয়ে বেশি। চিত্রে বাজার দাম যখন ২০ টাকা তখন চিনির যোগানের পরিমাণ ৭৫ কেজি এবং চিনির চাহিদার পরিমাণ ৫০ কেজি। অর্থাৎ, চিনির উদ্বৃত্ত ২৫ কেজি। এখানে যােগানদার যে পরিমাণ দ্রব্য যােগান দিতে ইচ্ছুক চলতি দামে তার সবটুকু বিক্রি করতে পারে না। উদ্বৃত্ত অবস্থাকে অতিরিক্ত যােগান’ (excess supply) বলা হয়। যখন চিনির বাজারে উদ্বৃত্ত দেখা দেয় তখন চিনি বিক্রেতা উদ্বৃত্ত চিনি মজুদ করে রাখে। এ অবস্থায় চিনি বিক্রেতার উপর চিনির দাম হ্রাসের চাপ সৃষ্টি হয়। ফলস্বরূপ, দাম হ্রাস পায়। এতে চিনির যােগানের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং চিনির চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ

চিনির দাম হ্রাস পেতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত বাজার ভারসাম্যে পৌঁছে। এখন ধরি, বাজার দাম ভারসাম্য দামের চেয়ে কম। চিত্রে চিনির দাম যখন ১০ টাকা তখন চিনির চাহিদার পরিমাণ ৭০ কেজি ও যােগানের পরিমাণ ৪৫ কেজি। এখানে চিনির ঘাটতি ২৫ কেজি। ক্রেতার যে পরিমাণ চিনি ক্রয় করতে ইচ্ছুক চলতি দামে তার সবটুকু ক্রয় করতে পারে না। মাঝে মাঝে এ ক্লোজ।অথাৎ, চিনির উদ্বৃত্ত ২৫ কেজি।

এখানে যােগানদার যে পরিমাণ দ্রব্য যােগান দিতে ইচ্ছুক চলতি দামে তার সবটুকু বিক্রি করতে পারে না। উদ্বৃত্ত অবস্থাকে অতিরিক্ত যােগান’ (excess supply) বলা হয়। যখন চিনির বাজারে উদ্বৃত্ত দেখা দেয় তখন চিনি বিক্রেতা উদ্বৃত্ত চিনি মজুদ করে রাখে। এ অবস্থায় চিনি বিক্রেতার উপর চিনির দাম হ্রাসের চাপ সৃষ্টি হয়। ফলস্বরূপ, দাম হ্রাস পায়। এতে চিনির যােগানের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং চিনির চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। চিনির দাম হ্রাস পেতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত বাজার ভারসাম্যে পৌঁছে। এখন ধরি, বাজার দাম ভারসাম্য দামের চেয়ে কম। চিত্রে চিনির দাম যখন ১০ টাকা তখন চিনির চাহিদার পরিমাণ ৭০ কেজি ও যােগানের পরিমাণ ৪৫ কেজি।

এখানে চিনির ঘাটতি ২৫ কেজি। ক্রেতার যে পরিমাণ চিনি ক্রয় করতে ইচ্ছুক চলতি দামে তার সবটুকু ক্রয় করতে পারে না। মাঝে মাঝে এ ধরনের পরিস্থিতে অতিরিক্ত চাহিদা (excess demand) বলা হয়। যখন দ্রব্যের প্রাপ্যতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অধিক থাকে তখন বিক্রেতা দ্রব্য বিক্রয়ে কোন ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন না হয়েই দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ দ্রব্যের দামের উধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি হয়। যখন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তখন দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পায় এবং যােগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এভাবে বাজার পুনরায় ভারসাম্য অবস্থায় ফিরে আসে। ক্রেতা ও বিক্রেতার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বাজার দাম ভারসাম্য দামে উপনীত হয়। ভারসাম্য অবস্থায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট থাকে এবং দামের উপর উধ্বমুখী ও নিম্নমুখী কোন ধরণের চাপ থাকে না।

দামের উঠা-নামায় চাহিদা ও যােগানের পরিমান নির্ধারণ

চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা চাহিদা বিধি অনুযায়ী, দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পায় ও দ্রব্যের দাম হ্রাস পেলে চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা দেখায় যে, দামের পরিবর্তনে চাহিদার চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা নিম্নেক্ত সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।

চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা, Ed =চাহিদার পরিমাণের শতকরা পরিবর্তন/ দামের শতকরা পরিবর্তন।

উদাহরণস্বরূপ, চিনির দাম যখন ৫ টাকা তখন চিনির চাহিদার পরিমাণ প্রতি মাসে ২০ কেজি। এখন চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৬ টাকা হলে চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পেয়ে ১২ কেজি হলাে। চিনির দাম ২০% বৃদ্ধি পাওয়াতে চাহিদার পরিমাণ ৪০% হ্রাস পায়২০% বৃদ্ধি পায়। সুতরাং চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা, (Ed)=৪০%÷২০%=২

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ

স্থিতিস্থাপকতা ২ এর দ্বারা বােঝায় যে, দামের পরিবর্তনে চাহিদা দ্বিগুণ পরিবর্তিত হয়। যেহেতু দামের সাথে চাহিদার পরিমাণ বিপরীতভাবে সম্পর্কিত, এ কারণে দামের শতাংশিক পরিবর্তনের সাথে চাহিদার পরিমাণের শতকরা পরিবর্তনকে ঋণাত্মক (-) চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়। উপরােক্ত উদাহরণে দামের শতকরা পরিবর্তন ধনাত্মক সংখ্যা এবং চাহিদার পরিমাণের শতকরা পরিবর্তন ঋণাত্মক সংখ্যা। ফলস্বরূপ, চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা, Ed=2 ঋণাত্মক সংখ্যা হওয়ার কথা। তবে আমরা এখানে স্থিতিস্থাপকতা পরিমাপের ক্ষেত্রে ঋণাত্মক চিহ্নের পরিবর্তে ধনাত্মক সংখ্যা বা Ed- এর ‘পরম মান’ ব্যবহার করবাে।

দ্রব্যের যােগানের উপর প্রভাব বিস্তারকারী উপকরণসমূহ যে কোন একটির পরিবর্তনে দ্রব্যের যােগানের পরিমাণ কতটুকু সাড়া দেয় তা যােগানের স্থিতিস্থাপকতা দ্বারা নির্দেশ করা হয়। যােগানের দাম স্থিতিস্থাপকতাঃ যােগানের দাম স্থিতিস্থাপকতা অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দ্রব্যের দামের পরিবর্তনে যােগানের পরিমাণ কতটুকু সাড়া দেয় চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।উপরােক্ত উদাহরণে দামের শতকরা পরিবর্তন ধনাত্মক সংখ্যা এবং চাহিদার পরিমাণের শতকরা পরিবর্তন ঋণাত্মক সংখ্যা। ফলস্বরূপ, চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা, Ed=2 ঋণাত্মক সংখ্যা হওয়ার কথা। তবে আমরা এখানে স্থিতিস্থাপকতা পরিমাপের ক্ষেত্রে ঋণাত্মক চিহ্নের পরিবর্তে ধনাত্মক সংখ্যা বা Ed- এর ‘পরম মান’ ব্যবহার করবাে।

এই ছিল তোমাদের এইচএসসি ২০২১ ৪র্থ সপ্তাহের অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর।

আরো দেখুন-

প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লে-স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *