সর্বশেষ আপটেড

বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব

এসএসসি ২০২২ শিক্ষাবর্ষের সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করছি তোমরা সুস্থ আছো। তোমাদের জন্য প্রণীত সপ্তম সপ্তাহের চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর–(বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব) এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা ২০২২ নমুনা উত্তর নিয়ে হাজির হলাম।

তোমরা যারা সরকারি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসমূহের দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত আছো তোমাদের সপ্তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর চারু ও কারুকলা বিষয়ের একটি নির্ধারিত কাজ দেয়া হয়েছিল। যথাযথ মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে তোমাদের জন্য এসএসসি ২০২২ সপ্তম সপ্তাহ চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান (বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব) দেওয়া হল।

এসএসসি ২০২২ সপ্তম সপ্তাহ চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট

এসএসসি ২০২২ সপ্তম সপ্তাহ চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম:

বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব;

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

ক. শিল্পকলা কী;

খ. শিল্পকলার শ্রেণিবিভাগ;

গ. শিল্পকলার শাখাপ্রশাখা;

ঘ. শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব;

ঙ. বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধকরণে শিল্পকলার গুরুত্ব/ ভূমিকা;

এই অ্যাসাইনমেন্ট ২০০ থেকে ২৫০ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে;

এসএসসি ২০২২ সপ্তম সপ্তাহ চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

ভূমিকাঃ

যেকোনো সহজ-সরল ও সুন্দর জিনিসই শিল্পকলা। বিশেষ কতগুলো নিয়ম অনুসরণ করে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে কোনো কিছু তৈরি করাকে শিল্পকলা বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় যে, যা কিছু সুন্দর, নান্দনিক, আরামদায়ক ও ত্রুটিমুক্ত তাই শিল্পকলা।

শিল্পকলা

মানুষ প্রকৃতি ও পরিবেশকে তার আয়ত্তে এনে নিজের জীবনযাপনকে অনেক সহজ, সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী করেছে। এভাবে যখন মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা অনেক সহজ হলাে তখন তার মনের কিছু কিছু অনুভূতি ও কল্পনা শক্তি একত্রিত হয়ে শিল্পিত রূপ নিল। যেমন ভাষা আবিষ্কারের সাথে সাথে কবিতা, গল্প এসেছে। পরে উদ্ভব হয়েছে সংগীতের।

এই যে মানুষের মনের কল্পনা ও সৃজনশীলতার মিশ্রণে যা তৈরি হলাে-ছবি, কবিতা, গান এ সবকে আমরা নাম দিয়েছি শিল্পকলা।

শিল্পকলার প্রকারভেদ

শিল্পকলা কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় –

  1. চারুশিল্প, ও
  2. কারুশিল্প

চারুশিল্পঃ যে শিল্পকলা পরিবেশকে সুন্দর করে, মনে আনন্দ দান করে তাকে চারুশিল্প বলে। যেমন -চিত্রকলা, সংগীতকলা, নৃত্যকলা ইত্যাদি। অন্যদিকে,

কারুশিল্পঃ কারুশিল্প পরিবেশকে সুন্দর করে, মনে আনন্দ দান করে। সেই সাথে আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনও মিটিয়ে থাকে। যেমন- বয়ন শিল্প, কাঠ শিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যাদি। পোশাক তৈরি কারুশিল্পের অন্তর্গত একটি শিল্প।

শিল্পকলার শ্রেণীবিভাগ ছকে উপস্থাপন:

শিল্পকলার শ্রেণীবিভাগ

শিল্প চর্চার গুরুত্ব

হাজার হাজার বছর আগে তারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু তাদের আঁকা ছবিগুলাে এখনাে টিকে আছে। সেই সব ছবিগুলাে, আদিম মানুষদের তৈরি বিভিন্ন মূর্তি, পাত্র ও হাতিয়ার আমাদের সামনে মেলে ধরে আছে ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায়। তখন ভাষা পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি, লিপি আবিষ্কার তাে দূরের কথা। সুতরাং তখনকার কোনাে লিখিত ইতিহাস তাে আর পাওয়া যাবে না। কিন্তু আদিম গুহাবাসী সে সব মানুষদের জীবনযাপন, আচার ব্যবহার, পােশাক-পরিচ্ছদ এ সব কিছু না জানলে তাে মানব জাতির ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যেত। লিখিত ইতিহাস আমরা পাইনি বটে, কিন্তু তাদের করা ঐসব শিল্পকর্মগুলােই আজ ইতিহাসের সাক্ষী। শিল্পকর্মগুলাে দেখে, ছবি দেখে আমরা আদিম মানুষের জীবন সগ্রাম, পােশাক-পরিচ্ছদ, তাদের চিন্তা, বিশ্বাস সবই জানতে পেরেছি।তাই আমাদের শিল্প চর্চা করা উচিত।

আমাদের সমাজ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিল্পকলার অসীম গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে চিত্রশিল্পী ও কারুশিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যেসব কর্মক্ষেত্রে শিল্পীরা পেশা হিসেবে শিল্প কর্ম করে যাচ্ছেন তা হলো গ্রামের পেশাজীবী কারুশিল্পের কাজ যেমন- কামার, কুমার, তাঁতি, স্বর্ণকার, সুতার ও বাঁশ-বেতের কারুশিল্পী।

মেয়েদের তৈরি নকশি কাঁথা, শীতলপাটি, জায়নামাজ, শতরঞ্জি, পাখা ইত্যাদি ছাড়াও বুনন ও সূচিশিল্পের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব শিল্পকর্মের চর্চা আছে। যাকে আমরা নাম দিয়েছি লোকশিল্প, কারুশিল্প ও কুটির শিল্প। বর্তমান আধুনিক জীবন যাপনে লোকশিল্প, কারুশিল্প ও কুটির শিল্পের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। আধুনিক জীবনযাপনে ও বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের শিল্পীরা দায়িত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন । বই-পুস্তক ও পত্র-পত্রিকার জন্য শিল্পী প্রয়োজন ।

শিল্পকলা ও সাহিত্য পরস্পর একই সূত্রে গাঁথা। শিল্প চর্চার মাধ্যমে আমরা আমাদের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারি। তাই বলা যায়, সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধকরণের লোকশিল্পের গুরুত্ব

লােকশিল্প যে কোনাে জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। তাই একটি জাতির আত্মপরিচয় সম্পূর্ণভাবে জানার জন্য লােকশিল্প সংগ্রহের গুরুত্ব অপরিসীম। এ সম্পর্কে বিখ্যাত লােকবিজ্ঞানী আশুতােষ ভট্টচার্য বলেন, ‘লোকসংস্কৃতির রূপ-রসগত বহুমুখী আলােচনাই এর সব নয়, এর জন্য তাত্ত্বিক আলােচনা প্রয়ােজন। কিন্তু এ কথা সত্য, তাত্ত্বিক আলােচনার পূর্বে এর উপকরণের যথাসম্ভব সামগ্রিক সংগ্রাম আবশ্যক। তাই বলা যায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধকরণের লোকশিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম ।

যেকোনো শিল্প সৃষ্টিতেই শিল্পকলার কিছু উপাদান ও নীতির সাহায্য নিতে হয়। শিল্পকলা হচ্ছে মানুষের সার্বিক আনন্দের প্রধানতম মাধ্যম। একটি দেশের সংস্কৃতিকে জানার জন্য শিল্পকলার গুরুত্ব অপরিহার্য।

এসএসসি ২০২২ সপ্তম সপ্তাহ অন্যান্য অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান দেখুন-

[ninja_tables id=”11139″]

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখ। বাংলা নোটিশের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখ এবং প্লে স্টোর থেকে আমাদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ