তথ্য ভান্ডার

পরিবারের সদস্যদের যেসকল কাজ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়

পরিবারের সদস্যদের যেসকল কাজ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়: ষষ্ঠ শ্রেণির বন্ধুরা কেমন আছো সবাই? আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের চতুর্থ অ্যাসাইনমেন্টের একাদশ অধ্যায় বাংলাদেশের শিশুর বেড়ে ওঠা ও প্রতিবন্ধকতা এবং ত্রয়োদশ অধ্যায় টেকসই উন্নয়ন এসডিজি এর নির্ধারিত কাজ পরিবারের সদস্যদের যেসকল কাজ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় তা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এটিএম থেকে তোমরা ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় চতুর্থ অ্যাসাইনমেন্টের টেকসই উন্নয়নে পরিবারের যে সকল কাজ অন্তরায় হিসেবে কাজ করে তা নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারবে।

চলো কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক-

> টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় আচরণসমূহ নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন<

ভূমিকা: 

১৯৪৫ সালের ২৪ শে অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই জাতিসংঘ বিশ্বে নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালে জাতিসংঘ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য, ব্যাধি, পরিবেশ বিপর্যয় মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) ঘোষণা করে।

২০১৫ সালের এমডিজির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘ ২০৩০ সালকে সীমারেখা ধরে ঘোষণা করে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট , যা ইংরেজিতে Sustainable Development Goals নামে পরিচিত।

টেকসই উন্নয়নের সংজ্ঞা: 

টেকসই উন্নয়ন এমন একটি উন্নয়ন প্রক্রিয়া, যা ভবিষ্যতের কথা ভেবে করা হয়। ফলে প্রকৃতিকে ঠিক রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন করা হয়।

টেকসই উন্নয়ন যেমন একদিকে মানুষের বর্তমান চাহিদা মেটাতে সক্ষম অন্যদিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রেও ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।

টেকসই উন্নয়ন শুধু পরিবেশ সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয় , বরং তা সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন এর আওতাভুক্ত। যেমন, মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করে দারিদ্র্য ঘোচানো।

নারী-পুরুষ একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করা।শিশুশ্রম টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়। কোন কোন কাজ আছে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের কাজকে শিশুশ্রম বলা হয়।

উপার্জন করার জন্য কাজ করতে গিয়ে শিশুরা বিপদ ঝুঁকি শোষণ ও বঞ্চনার সম্মুখীন হলে সে কাজকে শিশুশ্রম বলা হয়। বাংলাদেশে শিশু শ্রম বেআইনি।

টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় আচরণসমূহ:

Sustainable Development Goals টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় আচরণসমূহ হলো –

  • ১. শিশুশিক্ষার প্রতি বিরূপ মনোভাব,
  • ২. শিশুশ্রম,
  • ৩. শিশু পাচার,
  • ৪. অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতা  ভিত্তিক গুণগত শিক্ষা হীনতা,
  • ৫. জেন্ডার বৈষম্য,
  • ৬. বেকারত্ব,
  • ৭. মরুকরণ ভূমি অবক্ষয় ইত্যাদি।

আমার পরিবারের সদস্যদের যেসকল আচরণ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়-

দারিদ্রতা বা পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে স্কুলের পরিবর্তে কাজে পাঠাতে বাধ্য হয়। মা বাবা অসুস্থ হলে কিংবা তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে অনেক সময় শিশুরা অর্থ উপার্জনে বাধ্য হয়।

অভিভাবকদের বৈষম্যমূলক আচরণের অনেক সময় শিশুকে শ্রমিক এ পরিণত করে। শিশুদের প্রতি নির্যাতন এবং অত্যাচারও এক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

ব্যক্তিগত মতামত:

সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া শিশুকে সামাজিক মানুষে পরিণত করে। সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বিকশিত হতে ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে।

শিশুকে সমাজের দায়িত্বশীল সদস্য এ পরিণত হতে এবং সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই আমাদের সামাজিকীকরণের বিকাশ ঘটাতে হবে।

শিশু হিসেবে আমরা জীবনের জন্য ক্ষতিকর ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবো এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে সহায়তা করব। ভালো পরিবেশে শিশুরা বেড়ে উঠলে পরিবার ও সমাজের প্রতি তারা দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে।

এসব শিশুর প্রতি ভালো আচরণের মাধ্যমে আমরা নিজেরাও মানবিক গুণসম্পন্ন একজন নাগরিক হয়ে উঠব। আমরা পরিবারের অন্যান্যদেরও তাদের প্রতি ভালো আচরণ করার জন্য বলব।

উপসংহার:

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুর প্রতি সচেতন আচরণ করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়তে হলে শিশু অধিকারের প্রতি সকলকে সচেতন হতে হবে।

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সরকার কাজ করছে। নির্যাতনের শিকার শিশুদের আইনি সহায়তা, চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ সেবা প্রদান করছে।

তবে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন জরুরী। তবেই টেকসই উন্নয়নের প্রসার ঘটতে পারে।

পরিবারের সদস্যদের যেসকল কাজ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় শীর্ষক আলোচনা এখানেই শেষ।

আশা করছি তোমরা পরিবারের সদস্যদের যেসকল কাজ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় নিয়ে একটি সুন্দর প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবে।

তোমাদের জন্য আজকের টিউনটি প্রদান করেছেন, খাদিজাতুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

তোমাদের এস্যাইনমেন্ট সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করো <Join Now>; গ্রুপে দেশের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নিচ্ছে।

প্রতি সপ্তাহের এস্যাইনমেন্ট তোমার ফেসবুক ওয়ালে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি LIKE & FOLLOW করে রাখো;

ইউটিউবে বিভিন্ন তথ্য পেতে বাংলা নোটিশ এর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করে রাখুন;

তোমার জন্য নির্বাচিত কিছু তথ্য:

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ