বেসরকারি কলেজসমূহের টিউশন ফির ব্যাপারে জানালো মাউশি
বেসরকারি কলেজসমূহের টিউশন ফির ব্যাপারে জানালো মাউশি: কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ যেমন বেসরকারি কলেজ সরকারি কলেজসমূহ মার্চের ১৬ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি কলেজসমূহের টিউশন ফির ব্যাপারে জানালো মাউশি।
এইদিকে শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষের পথে। আর মাত্র একমাস পরেই শেষ হয়ে যাবে এই শিক্ষাবর্ষ তবে শিক্ষার্থীদের বেতন আদায় প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা ও পর্যালোচনা।
দেশের বিভিন্ন স্থানের বেসরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করতে চাইলে অভিভাবক মহলে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের বেসরকারি কলেজ সমূহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায়ের বিষয়ে একটি সম্পূর্ণ নির্দেশনাসহ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
দেশের বেসরকারি কলেজসমূহের কোভিড-১৯ সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
কোভিড-১৯ এর কারণে গত ১৮.০৩.২০২০ খ্রি. থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তবে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা ভালােভাবে করতে পারেনি।
একইভাবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এসব অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, কিছু শিক্ষার্থী পারেনি।
যাই হােক, সার্বিক বিবেচনায় আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে হঠাৎ করে উদ্ভূত এই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
তবে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবকদের মতদ্বৈততা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কিছু অভিভাবক বলছেন একদিকে কলেজ বন্ধ ছিল আর অন্যদিকে এই করােনা পীড়িত সময়ে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন, অতএব তাদের পক্ষে টিউশন ফি প্রদান করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে বলছে তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে;
উপরন্তু, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও কলেজ রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রতি মাসে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতেই হয়।
এমতাবস্থায়, আমাদেরকে যেমন অভিভাবকদের অসুবিধার কথা ভাবতে হবে অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে যেন বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে না যায় কিংবা বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন যেন চরম সংকটে পতিত না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
পূর্বাপর বিষয়গুলাে বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি কলেজসমূহ (এম.পি.ও.ভুক্ত ও এম.পি.ও বিহীন) একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি গ্রহণ করবে কিন্তু পুন:ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনাে ফি গ্রহণ করবে না বা করা হলে তা ফেরত দেবে অথবা তা টিউশন ফি’র সঙ্গে সমন্বয় করবে।
এছাড়াও অন্য কোনাে ফি যদি অব্যয়িত থাকে তা একইভাবে ফেরত দেবে বা টিউশন ফি’র সঙ্গে সমন্বয় করবে।
তবে যদি কোন অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে পতিত হন, তাহলে তার সন্তানের টিউশন ফি’র বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবেন।
এখানে উল্লেখ্য, কোনাে শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন কোনাে কারণে ব্যাহত না হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে যত্নশীল হতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের শুরুতে যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন কোনাে ফি- যেমন পুন:ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন ফি- গ্রহণ করবে না, যা ঐ নির্দিষ্ট খাতে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করতে পারবে না।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় পূর্বের ন্যায় সকল ধরণের যৌক্তিক ফি গ্রহণ করা যাবে।
মাউশি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে দেশের বেসরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করতে পারবে তবে অবশ্যই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ধারা গুলো অনুসরণ করতে হবে।
দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, চাকরি, বৃত্তি, প্রশিক্ষণ সহ সকল তথ্য সবার আগে পেতে ফেসবুকে বাংলা নোটিশ ডটকমের ফেসবকু পেইজ Like & Follow করে রাখুন এবং ইউটিউবে আপডেট পেতে ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।