সর্বশেষ আপটেড

সপ্তম শ্রেণী ষষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এর উত্তর সহায়িকা

সপ্তম শ্রেণী ষষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এর উত্তর সহায়িকা: সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য ষষ্ঠ এসাইনমেন্টের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ের উত্তর নিয়ে এলাম। আজকের এই টিউন থেকে তোমরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ষষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত কাজ ২ থেকে নির্মুক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবে। সসপ্তম শ্রেণী ষষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এর উত্তর সহায়িকা এর উত্তর সহ পড়তে থাকো এবং প্রয়োজনে শেয়ার করে দাও।

প্রশ্ন-১ : প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমরা কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি তা পাঠ্যপুস্তকে আলোকে লিখ

উত্তর: পাঠ্যপুস্তক এর আলোকে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের পদ্ধতি-

আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মত হয়না। তাদের আচার-আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ সমস্যাগ্রস্থ।

এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভালোভাবে চোখে দেখতে পায় না, কারো কারো হাঁটাচলা করতে অসুবিধা, কিছু শিশু আছে যারা ঠিকমত কথা বলতে পারেনা আবার অনেকেই আছে যারা অন্যের কথা শুনতে পায়না।

আবার কেউ কেউ আছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যারা অনেক বড় হয়েও ছোটদের মতো আচরণ করে।

উপরে উল্লেখিত শিশুদেরকে আমরা প্রতিবন্ধী বা বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন শিশু বলে থাকি।

আমাদের আশপাশে থাকা এসকল বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আমাদের অবশ্যই কোন না কোন দায়িত্ব পালন করা উচিত।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আমাদের প্রতিবন্ধকতার ধরন অনুযায়ী বিশেষ দায়িত্ব পালন করা উচিত।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে:

সমাজে অনেক শিশু আছে যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ঠিকমতো দেখতে পায় না।

তাদের জন্য আমাদের ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা এবং তাদের চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা।

রাস্তা পার হতে সহযোগিতা করা এবং খাবার খেতে ও সহযোগিতা করা যেতে পারে।

বাকপ্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে:

যেসকল বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন শিশুর মুখে কথা বলতে পারেনা তাদেরকে বাক প্রতিবন্ধী শিশু বলে।

বাক প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারায় ভাষা শিক্ষা, প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে কর্মজীবনে দক্ষ করে তোলা যেতে পারে‌।

তাদের জন্য আলাদা পুনর্বাসন কেন্দ্র বা শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলে তাদেরকে শিক্ষিত করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে:

যে সকল শিশু শুনতে পায় না তাদেরকেও ইশারায় শিক্ষাদান পদ্ধতি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে কাজে দক্ষ করে তুলে কাজে লাগানো যেতে পারে।

শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে:

শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দক্ষ কর্মী হিসেবে তুলে যেতে পারে এবং পর্যাপ্ত শিক্ষা ব্যবস্থা করার মাধ্যমে তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।

এছাড়াও আমরা সকল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারি বা দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলো-

  • ১. প্রতিবন্ধী শিশুদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে পারি;
  • ২. বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
  • ৩. সব সময় উৎসাহ এবং সঙ্গ দিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে পারি।
  • ৪. বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদেরকে সঙ্গ দিতে পারি।
  • ৫. প্রতিবন্ধকতার ধরন অনুযায়ী প্রতিবন্ধী শিশুদের বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারি। যেমন গান বলা, গল্প শোনানো সহ অন্যান্য খেলা যেগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে।

এভাবে আমরা প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে এবং তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাদেরকে সমাজের জনসম্পদে পরিণত করতে পারি।

প্রশ্ন-২: প্রতিবেদন তৈরি:

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের খাদ্যগোষ্ঠি হতে আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রাধান্য পাবে এমন খাবার নিয়ে আমার পরিবারের জন্য সাত দিনের একটি খাবারের তালিকা তৈরি করা হলো:

মহামারী করোনাভাইরাস অথবা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একটি অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ালে কোভিদ নয় আমাদের শরীরে খুব একটা প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু খাবার যোগ করতে হবে। এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হলো।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় খাদ্যগোষ্ঠী প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্নেহপদার্থ ও ভিটামিন এবং পানি আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রাধান্য পাবে।

প্রোটিনকে সকল প্রাণের প্রধান উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রোটিন থেকে আমাদের দেহে তাপশক্তি পেয়ে থাকি যা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বড় ভূমিকা পালন করে। এক গ্রাম প্রোটিন থেকে দেহের ৪ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়।

আবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থেকে আমরা শরীরে তাপ শক্তি সরবরাহ করতে পারি। স্নেহ পদার্থের প্রধান কাজ হল দেহে শক্তি সরবরাহ করা আর শক্তি না থাকলে আমরা রোগ প্রতিরোধ করতে অক্ষম হব।

তাই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্নেহ জাতীয় খাবারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

আবার দেহ গঠন, ক্ষয় পূরণ, বৃদ্ধি সাধন ভিটামিন এর উপস্থিতি ছাড়া সম্পন্ন করতে পারে না।

ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ সবল ও কর্মক্ষম রাখে।

ভিটামিন রক্ত গঠনেও সহযোগিতা করে। তাই কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভিটামিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নিন্মে খাদ্য গোষ্ঠীর ভূমিকা অনুযায়ী আমার পরিবারের জন্য সাত দিনের খাদ্য তালিকা তৈরি করা হলো:

শনিবার:

  • সকালের নাস্তা: রুটি, বাদাম, ডিম, দুধ ও পানি;
  • দুপুরের খাবার: শিমের বিচি, সয়াবিন, ভাত, মাছ ও পানি;
  • রাতের খাবার: রুটি বা ভাত, ডাল ও পানি;

রবিবার:

  • সকালের নাস্তা: আপেল, আনারস, দুধ ও পানি;
  • দুপুরের খাবার: মাংস, সবজি, শাক, ডাল, মাছের তেল ও পানি;
  • রাতের খাবার: রুটি, সয়াবিন, টাটকা ফল, সবজি ও পানি;

সোমবার:

  • সকালের নাস্তা: বাদাম, ফল, দুধ ও পানি;
  • দুপুরের খাবার: ভাত, মাছ, সবজি, সামুদ্রিক মাছ;
  • রাতের খাবার: ফুলকপি, শিম, মাংস, পানি ও ডিম;

মঙ্গলবার:

  • সকালের নাস্তা: আপেল, আনারস, দুধ ও পানি;
  • দুপুরের খাবার: মাংস, সবজি, শাক, ডাল, মাছের তেল ও পানি;
  • রাতের খাবার: রুটি, সয়াবিন, টাটকা ফল, সবজি ও পানি;

বুধবার:

  • সকালের নাস্তা: পায়েস, ভিটামিন সি জাতীয় ফল;
  • দুপুরের খাবার: ডিম, সবজি, ডাল ও মাছ;
  • রাতের খাবার: পনির, দুধ, টাটকা ফল;

বৃহস্পতিবার:

  • সকালের নাস্তা: পাউরুটি, দুধ;
  • দুপুরের খাবার: শাকসবজি, মাছ ও মাংস;
  • রাতের খাবার: বাদাম, সয়াবিন, ডিম;

শুক্রবার:

  • সকালের নাস্তা: নুডুলস, ফল ও পনির;
  • দুপুরের খাবার: সামুদ্রিক মাছ, ডিম ও ডাল;
  • রাতের খাবার: মাংস, ফল ও দুধ;

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩:

ক. ব্যক্তিত্বের সাথে পােশাকের ডিজাইনের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? ব্যাখ্যা কর;

উত্তর: একজন মানুষের আচার-আচরণ ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার ব্যক্তিত্ব। মানুষের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলার জন্য পোশাকের সাথে ব্যক্তিত্বের একটা সুনিবিড় সম্পর্ক আছে।

কথায় আছে- “আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী”

এর মানে হচ্ছে একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয় এবং ব্যক্তিত্ব অনেকাংশে নির্ভর করে তার পোশাক-পরিচ্ছদের উপর।

কোন মানুষের সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথেই আমরা তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি না কিন্তু পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে তার সম্পর্কে কিছুটা ধারনা করতে পারি।

তাই সুন্দর রুচিশীল ব্যক্তিত্বের জন্য পোশাক পরিচ্ছদের গুরুত্ব অনেক।

নিচে ব্যক্তিত্বের সাথে পোশাকের ডিজাইনে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা হলো-

সুন্দর পোশাক রুচিশীল মনের পরিচয় দেয়, এবং ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কাজেই পোশাক ও ব্যক্তিত্ব এ দুটি একে অন্যের পরিপূরক।

যাদের গায়ের রং শ্যামলা তাদের হালকা রঙের পোশাক ভালো মানায়। লাল, হলুদ, কমলা রং উজ্জ্বল হয় দূর থেকে এদের চোখে পড়ে। এই রংগুলোর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি তাই গরমকালে ধরনের পোশাকে আরো গরম লাগে।

এই রঙের পোশাকে পাতলা গড়নের ব্যক্তিদের বাহ্যিক দৃষ্টিতে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের অধিকারী বলে মনে হয়।

তাই বলা যায়, গায়ের রঙ ও গড়ন অনুযায়ী কাপড়ের ডিজাইন পছন্দ করে নেওয়া উচিত।

কারণ আপনার পোশাকের ডিজাইন আপনার ব্যক্তিত্বকে সবার সামনে ফুটিয়ে তুলবে।

খ. কাপড়ের মাড় দিতে হয় কেন? মাড় প্রয়ােগের ৫টি নিয়ম লিখ;

উত্তর: কাপড়ের চাকচিক্য ও উজ্জ্বল ধরে রাখতে কাপড়ে মাড় দিতে হয়।

কাপড়ে নিয়মিত মাড় দিলে মাড়ের আস্তরন পোশাকে ময়লা লাগায় বাধা সৃষ্টি করে এবং পোশাকের আরাম বৃদ্ধি করে।

কাপড়ের সৌন্দর্য এবং পরিপাটি রাখার জন্য মাড় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কাপড়ে মাড় প্রয়োগের পাঁচটি নিয়ম-

  • ১. পোশাক ব্যবহারের পূর্বে মার ছাকনি অথবা পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
  • ২. পোশাক উল্টো করে ভেজাতে হবে।
  • ৩. মাড় ঠান্ডা হলে ব্যবহার করতে হবে।
  • ৪. মাড় প্রয়োগের পর পোশাকটি ভালোভাবে শুকাতে হবে। তা না হলে পোশাক থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে।
  • ৫. বারান্দা বা ছাদে রোদে শুকানোর সময় ভালোভাবে জেরে টানটান করে শুকাতে দিতে হবে।

গ. পশমি বস্ত্র ধৌতকরণে তুমি কী ধরণের সর্তকতা অবলম্বন করবে;

উত্তর: পশমী বস্ত্র ধোয়ার সময় যেসকল সতর্কতাগুলো অবলম্বন করতে হয়:

  • ১. কখনো খুব গরম বা খুব ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না।
  • ২. কখনো ঘষে ময়লা পরিষ্কার করা যাবে না।
  • ৩. সূর্যালোক বা অতিরিক্ত গরম স্থানে শুকাতে দেওয়া যাবে না।
  • ৪. ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ ফেলে রাখা যাবে না।
  • ৫. মোচড় দিয়ে পানি নিংড়ানো যাবে না

এই ছিল তোমাদের জন্য সপ্তম শ্রেণীর ষষ্ঠ এসাইনমেন্টের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান দ্বিতীয় নির্ধারিত কাজ এর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর।

আজকের টিউনটি তোমাদের জন্য অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে;

৭ম শ্রেণির ৬ষ্ঠ এ্যাসাইনমেন্ট এর সকল বিষয়ের উত্তর:

শ্রেণি ভিত্তিক সকল শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর সহায়িকা:

নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন; এখানে দেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী আলোচনার মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছে;

JOIN BANGLANOTICE FACEBOOK GROUP

Subscribe YouTube Channel

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ