সর্বশেষ আপটেড

৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

২০২১ শিক্ষাবর্ষের সপ্তম শ্রেণীর ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের প্রথম অধ্যায় নিম্নশ্রেণির জীব এর পাঠ ১ থেকে ১০ পর্যন্ত অংশ থেকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে একটি নির্ধারিত কাজ বা এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। তোমাদের জন্য ৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর নিয়ে হাজির হলাম। আজকের আলোচনা শেষে তোমরা বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে সাদা ও সবুজ রঙ করার কারণ, শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া হওয়ার কারণ, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারের গুরুত্ব সর্ম্পকে লিখতে পারবে।

৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহ এ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান

চতুর্থ সপ্তাহে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বিষয়ের দুটি এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে তার মধ্যে বিজ্ঞানীরা হয়েছে তাদের বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম অধ্যায় নিম্নশ্রেণির জীব অংশ থেকে। শিক্ষার্থীর এসাইনমেন্ট প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অধ্যায়ন করে চতুর্থ সপ্তাহের বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষকের নিকট জমা দিবে।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ

১। তােমার বাড়ীর দেওয়ালে অথবা আশে পাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং কী কারনে হয় বলে তুমি মনে কর। ২। তােমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডাইরিয়া কী কারনে হয় বলে তুমি মনে কর। ৩। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি তােমার জীবনে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে – যৌক্তিকতা নিরুপন করে ব্যাখ্যা কর।

৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহ এ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এর উত্তর

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার গাইডলাইন এবং মূল্য নির্দেশনা অনুসরণ করে চতুর্দশ অধ্যায় সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে এসাইনমেন্ট এর বাছাই করা নমুনা উত্তর তোমাদের জন্য দেওয়া হলো। এটি অনুসরণ করার মাধ্যমে তোমরা ২০২১ সালের বিজ্ঞান বিষয়ের সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবে। বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ দেখা যায়। এর কারণ হলো অণুজীব। অণুজীব হলো সেই সকল ক্ষুদ্র এককোষী জীব যাদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না। এরা আদিকেন্দ্রিক ও সুকেন্দ্রিক উভয় প্রকার হতে পারে। সকল প্রকার ব্যাক্টেরিয়া, আরকিয়া, প্রোটোজোয়া, এককোষী শৈবাল এবং ছত্রাক অণুজীবের অন্তর্গত।

প্রশ্ন-১: তোমার বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ কি কারনে হয় বলে তুমি মনে করো?

উত্তর: 

১. বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ হওয়ার কারণঃ বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং দেখা যায়, তার কারণ হলো শৈবাল। সমাঙ্গ বর্গের প্রধানত ক্লোরোফিলযুক্ত ও স্বভোজী উদ্ভিদরাই শৈবাল। এরা আলোকিত স্থান পছন্দ করে। এরা মাটি, পানি, ঘরের দেওয়াল শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া ও অন্য গাছের উপর জন্মাতে পারে। এদের দেহ এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে। এদের দেহে কোন পরিবহন কলা থাকে না। এর সবুজ, লাল, বাদামী ইত্যাদি নানা রঙের হতে পারে। অতএব, বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রঙ অণুজীবের কারণে হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-২: তোমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া কি কারনে হয় বলে তুমি মনে করো?

উত্তর

২. শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া হওয়ার কারণঃ আমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া অণুজীবের সংক্রমনের কারণে হয়। ব্যাকটেরিয়া জীবাণু দেহাভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারে । অপরিষ্কার হাত  জীবাণুর জন্য একটি সুবিধাজনক বাহন, যার মাধ্যমে সহজেই এরা মুখগহ্বরের ঢুকে যেতে পারে। আমরা যে জামা কাপড় ব্যবহার করি, তাতে লেগে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর স্থানান্তরিত হতে পারে । বাতাসে ধুলাবালি উড়ে বেড়ায় তার সাথে অতি সহজেই ব্যাকটেরিয়া বা তার স্পোর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে।হাত মেলানোর মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়া একজন থেকে অন্যজনে অতি সহজে স্থানান্তরিত হতে পারে । পচা-বাসি খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সহজেই ছড়ায় । ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও এন্টামিবা মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ ছড়ায়।

প্রশ্ন-৩: স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি তোমার জীবনে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে?- যৌক্তিকতা নিরূপণ করে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর

আমাদের জীবনে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানির গুরুত্ব: স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি আমার জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে। যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের কারণে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়।  এসব মলমূত্রে যে জীবাণু থাকে তা ভক্ষণকারী অন্য জীব এগুলোকে ছড়িয়ে দেয় । এছাড়া বৃষ্টি বা জোয়ারের পানিতে এগুলো দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশের অনেক স্থানে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই এবং এসব অঞ্চলের মানুষ মাঠ বা কাঁচা পায়খানা ব্যবহার করে । এন্টামিবায় আক্রান্ত ব্যক্তির মল মাঠের মাটিতে মিশে যায়। এ মাটিতে হাত লাগলে বা এ মাটিতে যে সবজি চাষ করা হয় তাতে এসব জীবাণু লেগে থাকে । সবজির ভিতরেও এরা প্রবেশ করে। রান্নার পরেও দেখা যায়  ওই জীবাণু তখনও বেঁচে আছে । এভাবে এন্টামিবা সংক্রমিত হয় । ফলে সুস্থ মানুষও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। খাবার-পানি নিরাপদ হওয়া খুবই জরুরী।  কলেরা,  টাইফয়েড  ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে। পান করা, গোসল ও কাপড় কাচা, বাসন ধোওয়া ইত্যাদির জন্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত ।  আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলের পানি নিরাপদ । পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে । অন্যথায়, আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
এই ছিল তোমাদের জন্য ৭ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এর সমাধান

৭ম শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট চারু ও কারুকলার উত্তর দেখুন

আরো দেখুন- সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ