বৃত্তি ও উপবৃত্তিসমন্বিত উপবৃত্তি

২০১৯ সালে বৃত্তি প্রাপ্তদের জন্য জরুরী নির্দেশনা

২০১৯ সালে বিভিন্ন পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্তদের জন্য জরুরী কিছু নির্দেশনা দেওয়ার আজ। বৃত্তির টাকা প্রাপ্তির জন্য এই বিষয়গুলো খুব জরুরী। ২০১৯ সালে বৃত্তি প্রাপ্তদের করণীয়-

২০১৯ সালে সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি পরীক্ষা, এসএসসি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্তদের জন্য বাংলা নোটিশ ডটকমের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বৃত্তি প্রাপ্তদের জন্য একটি বিশেষ জরুরী নির্দেশনা তাহলো সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের যে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে বা জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা যে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে সে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা এখন থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হবে।

বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে বোঝার জন্য কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

১। শিক্ষার্থীর একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে –

অনলাইনে বৃত্তির টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীকে একটি ইএফটি চালু আছে এমন ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে।

একাউন্ট খোলার জন্য যে সকল তথ্য লাগবে-

ক. শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড/অথবা যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত আছে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র।

প্রত্যয়ন পত্রের নমুনা কপি ডাউনলোড করুন

  • খ. শিক্ষার্থীর পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
  • (যার সাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা লেনদেন হবে তার আইডি কার্ড প্রদান করবে)
  • গ. মনোনীত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র ও এক কপি ছবি।
  • ঘ. যার স্বাক্ষরে হিসাব পরিচালিত হবে তার এক কপি ছবি।

ইএফটি আছে এমন একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার পর নিম্নোক্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।

তথ্য প্রদানের সুবিধার্থে বাংলা নোটিশ ডটকমের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য একটি সুন্দর ফ্রম ডিজাইন করে দেওয়া হয়েছে।

নমুনা ফরম টি ডাউনলোড করে নিন

ফর্মে যে সকল তথ্য দিতে হবে তার ব্যাখ্যা নিচে উল্লেখ করা হলঃ

  1. Category: Talent Pool/General (ক্যাটাগরি কলামে শিক্ষার্থী যে ক্যাটাগরিতে বৃদ্ধি পেয়েছে তা লিখতে হবে যেমন ট্যালেন্টপুল পেলেন খুব আর্জেন্ট হলে যেন লিখতে হবে)
  2. Last Exam Name: PEC/JSC/SSC/HSC (এখানে সর্বশেষ পরীক্ষার নামটি লিখতে হবে। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হলেই পিসি, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা হলে জেএসসি, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা হলে এসএসসি এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা হলেই এইচএসসি লিখতে হবে।)
  3. Last Exam Year: Exam year of PEC/JSC/SSC/HSC (Write only one) এখানে সর্বশেষ পরীক্ষা পাসের বছর লিখতে হবে। যেমন 2019 সালে যারা পি সি পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছে তারা লিখবে 2019।
  4. Board: In case of PEC write ‘Primary’; In case of board exam write Name of Board (বোর্ড কলামে শিক্ষার্থীদের থেকে সর্বশেষ পরীক্ষায় পাশ করেছে সেই বোর্ডের নাম লিখতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী হলে প্রাইমারি লিখতে হবে)
  5. Registration No. (Last Exam): Student’s Registration Number of last exam (PEC/JSC/SSC/HSC); Write only one) এখানে সর্বশেষ পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হলে স্টুডেন্ট আইডি লিখতে হবে। যেটা শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে।
  6. Roll No (Last Exam): Student’s Roll Number of last exam (PEC/JSC/SSC/HSC; (Write only one) এখানে শিক্ষার্থীর সর্বশেষ পরীক্ষার রোল নম্বর লিখতে হবে।
  7. Student Name (এখানে শিক্ষার্থীর নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে)
  8. Class: Upto higher secondary write: 6/7/8/9/10/11/12; (এখানে শিক্ষার্থী বর্তমানে শ্রেণীতে যে শ্রেণীতে অধ্যায়নরত আছে সেই শ্রেণীর নাম লিখতে হবে। এটা উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য) Above Higher Secondary write: 1st year/ 2nd year/ 3rd year/4th year/ 5th year (উচ্চমাধ্যমিকের পর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় পত্র চতুর্থ বর্ষ পঞ্চম বর্ষ এভাবে লিখতে হবে)
  9. Birth Reg. No.: (এখানে শিক্ষার্থীর 17 ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখতে হবে) আরো পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার পদ্ধতি।
  10. Father Name: এখানে শিক্ষার্থীর বাবার নাম ইংরেজি ব্লক লেটার লিখতে হবে। মনে রাখবেন অবশ্যই নাম পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী লিখতে হবে)
  11. Father NID: এই কলামে বাবার এনআইডি নম্বর লিখতে হবে। যাদের স্মার্ট আইডি কার্ড আছে তারা স্মার্ট আইডি নম্বর, যাদের এনআইডি নাম্বার আছে তাদের 17 ডিজিটের এনআইডি নম্বর আর যাদের 13 ডিজিটের এনআইডি নম্বর তারা এনআইডি নম্বর এর আগে জন্মসাল যোগ করে লিখবে। আরো পড়ুন: জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে আপনার করণীয়।
  12. Mother Name: শিক্ষার্থীর মাতার নাম ইংরেজি ব্লক লেটার লিখতে হবে।
  13. Mother NID: পিতার এনআইডি নম্বর এর মত মাতার এন আই ডি নম্বরটিও এখানে এন্ট্রি করতে হবে।
  14. Guardian Name (If applicable): পিতা এবং মাতা উভয়ের অবর্তমানে কেউ অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলে তার নাম এখানে লিখতে হবে।
  15. Guardian NID (If applicable): বৈধ অভিভাবকের এনআইডি নম্বর দিতে হবে)
  16. Student’s Permanent Address: শিক্ষার্থীর স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রামঃ এবং ডাকঘরের নাম এখানে দিতে হবে।
  17. Division: Student’s Permanent Division (শিক্ষার্থী বর্তমানে যে বিভাগের অধীনে সে বিভাগের নাম লিখতে হয়)
  18. District: Student’s Permanent District (শিক্ষার্থীর বর্তমান জেলা)
  19. Upazila/Thana: Student’s Permanent Upazila/Thana : শিক্ষকদের স্থায়ী উপজেলা বা থানা নাম এখানে লিখতে হবে।
  20. Mobile No: Student’s Contact No : শিক্ষার্থীর একটি সচল মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
  21. Current Institution Name: Name of institute where the student is studying at present : শিক্ষার্থীর বর্তমানে অধ্যায়নরত প্রতিষ্ঠানের নাম।
  22. Current Inst. EIIN: Provide EIIN of Institute, If any (প্রতিষ্ঠান ই আই এন নাম্বার)
  23. Current Inst. Mobile (বর্তমান প্রতিষ্ঠান প্রধানের মোবাইল নম্বর)
  24. Passed Institution Name: Name of institute from where the student has passed last Board/PEC Exam (যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সর্বশেষ পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম লিখতে হবে)
  25. Passed Inst. EIIN: Provide EIIN of Institute, If any (পূর্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগ আই এন নাম্বার যদি থাকে দিতে হবে)
  26. Student’s Account Number: Bank Account Number of the student (শিক্ষার্থীর নামে চালুকৃত অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট নম্বর এখানে দিতে হবে)
  27. Bank Name: Name of the Bank (যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে সেই ব্যাংকের নাম)
  28. Bank Branch: Bank Branch Name (ব্যাংকের যে ব্রাঞ্চে একাউন্ট খোলা হয়েছে সেই ব্রাঞ্চের ঠিকানা)

আরো পড়ুন:

উপরোক্ত তথ্যাবলী যথাযথভাবে পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বর্তমান বিদ্যালয় কলেজ ইউনিভার্সিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিয়ে আসতে।

এসংক্রান্ত নিয়মিত ইউটিউবে পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।

সকালের উপকারে এই পোস্টটি যত বেশি পারেন শেয়ার করুন।

সর্বশেষ নোটিশ / খবর সবার পেতে অামাদের ফেইজ পেইজকে লাইক দিয়ে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ