সর্বশেষ আপটেড

‘সুভা’ গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীলতা ও অনুভূতি প্রবণতা বিশ্লেষণ

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি তোমরা খুবই ভালো আছো। তোমরা কি ৯ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্টের উত্তর বা সমাধান সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৯ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২– ‘সুভা’ গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীলতা ও অনুভূতি প্রবণতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখান থেকে শুরু হচ্ছে-

৯ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২২

‘সুভা’ গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীলতা ও অনুভূতি প্রবণতা বিশ্লেষণ

এসএসসি ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১ প্রশ্ন

এসাইনমেন্ট কাজ: ‘সুভা’ গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীলতা ও অনুভূতি প্রবণতা বিশ্লেষণ।

অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নে নির্দেশনা:

  • সুভা তার পরিবার ও সমাজ থেকে যে আচরণ পেয়েছে তার বর্ণনা করতে হবে।
  • সুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের আচরণ যেমন হওয়া প্রয়োজন তার বিবরণ দিতে হবে।
  • একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা সমূহ (তোমার বা পরিবারের অথবা পরিচিত কারো) ব্যাখ্যা করতে হবে।
  • ‘একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ আছে।’ – মন্তব্যটি সুভা ও তোমার বা পরিবারের অথবা পরিচিত কারো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করতে হবে

৯ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

সুভা তার পরিবার ও সমাজ থেকে যে আচরণ পেয়েছে তার বর্ণনা

সুভা গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত “গল্পগুচ্ছ” থেকে সংকলিত হয়েছে। বাক প্রতিবন্ধী কিশােরী লেখকের হৃদয় নিংড়ানাে ভালােবাসা ও মমত্ববােধে গল্পটি অমর হয়ে আছে। সুভা কথা বলতে পারতাে না। তার মা মনে করতেন- এ তার নিয়তির দোষ। কিন্তু বাবা তাকে ভালবাসতেন। আর কেউ তার সঙ্গে মেশে না, খেলে না। কিন্তু তার বিশাল এক আশ্রয়ের জগত আছে। যারা কথা বলতে পারে না, সেই পােষা প্রাণীদের কাছে সে মুখর। তাদের সে খুবই কাছের জন। আর বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে এসে পায় মুক্তির আনন্দ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবার ও সমাজের ভূমিকা রয়েছে।

বাকপ্রতিবন্ধী সুভা তার পরিবার ও সমাজ থেকে যে আচরণ পেয়েছে তার বিবরণ- আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীরা কোনাে-না-কোনােভাবে পরিবারের অবহেলার শিকার। তবে কোন পরিবারে বেশি, কোন পরিবারে কম। অবহেলার কারণে প্রতিবন্ধীতাকে অভিশাপ মেনে নিয়ে তারা অবহেলিত, বঞ্চিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়। অনেক সময় তাদের অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে দিন পার করতে হয়। অধিকাংশ পরিবারেই প্রতিবন্ধীদের বােঝা হিসেবে গণ্য করা হয়।

সুভা একজন বাকপ্রতিবন্ধী ছিল। বাকপ্রতিবন্ধী এই মেয়েকে নিজের মা পরিবারের বােঝা মনে করতেন। তার মা তাকে নিজের একটি ক্রটি স্বরূপ দেখভেন। কন্যার এই অসম্পূর্ণভা লজ্জার কারণ বলে মনে করতেন। তার মা তাকে নিজের গর্ভের কলঙ্ক মনে করতেন এবং তাঁর প্রতি বিরক্ত হতেন। পক্ষান্তরে, সুভার বাবা, বাণীকণ্ঠ সুভাকে তার অন্য মেয়েদের অপেক্ষা একটু বেশি ভালােবাসতেন।

সুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের আচরণ যেমন হওয়া প্রয়োজন তার বিবরণ-

সুভা বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ভার কোন বন্ধু-বান্ধব ছিলনা। তার সাথে কেউ মিশতো না, কথা বলতে চাইতাে না। সুভার গ্রামের লােকজন তাকে নিন্দা করতে শুরু করেছে। সুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশিত ইতিবাচক আচরণ। প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদেরকে অবহেলায় পিছনে ফেলে রেখে সমাজ এগিয়ে যাবে তা কখনােই সম্ভব নয়। সমাজের অংশ হিসেবে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ব গুলাে সঠিকভাবে পালন করলে প্রতিবন্ধীরা সমাজের বােঝা নয় বরং সম্পদে পরিণত হবে।

সুভা বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রথমত তার পরিবারকে তার পাশে দাঁড়াতে হত। তার মনােবল বৃদ্ধির জন্য ভার মাযের মানসিকতার পরিবর্তন আনা উচিত ছিল। তিনি সুভার যত্ন নিতে পারতেন, ভালােবেসে আগলে রাখতে পারভেন। এছাড়াও সুভার সমাজের অন্যান্য মানুষ সুভার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে পারতেন। তারা তাদের সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন সুভাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করার জন্য।

আমার চেনা/জানা একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা সমূহ:

আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মত হয়না। তাদের আচার-আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্যাগ্রস্ত। এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভালােভাবে চোখে দেখতে পায় না। কারও কারও হাঁটাচলা করতে অসুবিধা।

কিছু শিশু আছে যারা ঠিক মত কথা বলতে পারে না। আবার অনেকেই আছে যারা অন্যের কথা শুনতে পায়না। আবার কেউ কেউ আছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যারা অনেক বড় হযেও ছােটদের মতাে আচরণ করে। আমার চেনা একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু রয়েছে। সে একা একা ভার দিনাতিপাত করে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ তার সাথে মিশে না, খেলে না। এমনকি কেউ তার সাথে কথাও বলতে চায় না।

  • প্রথমত, এদের প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হলাে পরিবার। যেকোনাে মানুষের সামাজিক অবস্থান তৈরি হয় পরিবার থেকেই। কিন্তু এই পরিবারই অনেক সময় প্রতিকুলতার সৃষ্টি করে।
  • সমাজে বিকশিত হওয়ার দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা হলাে সমাজ। কারণ সামাজিক ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করে এইসব শিশুদের ভবিষ্যৎ। আর সমাজই যদি তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহন না করে, তাহলে এ ধরনের মানুষের। তীবনে আরাে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
  • সমবয়সীরা আরেকটা প্রতিবন্ধকতা। দেখা যায়, সমবয়সীরা তাদের সাথে মিশতে চায় না। এটিই তাদের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে সবচে বড় প্রতিবন্ধকতা।
  • বৈষম্য ও কুসংস্কার হলাে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হবার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। সমাজের সর্বস্তরে এরূপ একটি বিশ্বাস আছে যে, প্রতিবন্ধী একটি অভিশাপ এবং এটি পাপ কাজের শাস্তি। এরূপ বিশ্বাস বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হতে বাধা সৃষ্টি করে।

একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরও সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ মন আছে।’ – মন্তব্যটি সুভা ও আমার চেনাজানা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করা হলাে-

সুভা বাকপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও সে চাইতাে তার কিছু বন্ধুবান্ধব থাকুক। যাদের সাথে সে ইশারায় গল্প করবে, মনের ভাব প্রকাশ করবে। সে চায় তার মা তাকে বােঝা না ভাবুক। ভালােবেসে যেনাে তাকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু যখন ভার ভাগ্যে এসব জুটলাে না, তখন সখ্যতা গড়ে উঠলাে প্রকৃতির সাথে। প্রকৃতি যেনাে ভার সকল | অভাব পুরণ করে দিতাে, যেনাে তার সাথে কথা বলতাে।

নদীর কলধ্বনি, লােকের কোলাহল, মাঝির গান, পাখির ডাক, ভরুর মর্মর-সমস্ত মিশে চারদিকের চলাফেরাআন্দোলন-কম্পনের সাথে এক হয়ে সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় সুভার চিরনিস্তব্ধ হৃদ্য উপকুলের কাছে এসে ভেঙ্গে পড়তাে। তার বন্ধুত্ব ছিল প্রাণীদের সাথে। গােলের দুটি গাভী, তাদের নাম সর্বশী ও পাঙ্গুলি। মানুষের সাথে ভার ভাবের বিনিময় না হলেও, ভাষাহীন প্রাণী আর প্রকৃতির সাথে ঠিকই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে সুভা৷

তাই বলা যায়, একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরও সংবেদনশীল ও অনুভুভিপ্রবণ মন আছে- মন্তব্যটি সুভা ও। আমার চেনাজানা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে যথার্থ।

এটিই তোমাদের ৯ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২– ‘সুভা’ গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীলতা ও অনুভূতি প্রবণতা বিশ্লেষণ।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ