প্রাথমিক শিক্ষা

সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগে বিভাগীয় প্রার্থী’র অধিকার চায় সহকারি শিক্ষকরা

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ বিধি নিয়ে সাম্প্রতিক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অালোচনা সমালোচনা হচ্ছে। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার  পদে নিয়োগ সুযোগ চায় প্রসশিরা;

নন-ক্যাডার কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা মোতাবেক সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০% পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে অার ৮০% পদ বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভাগীয় প্রার্থী বলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষকদের বোঝানো হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে ০৩ বছরের চাকুরির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকদের অাবেদন করার সুযোগ থাকবে।

এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারি শিক্ষকগণের বিভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।

বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে শিক্ষকগণ সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগের ক্ষেতে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে অাবেদন করার সুযোগ রাখার জন্য কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছেন।

বেশ কিছু অালোচনা থেকে একটি তুলে ধরা হল-

গেজেটেড ও ননগেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা,২০১৯ (ড্রাফট) নিয়ে কিছু কথা—-

পূর্বের নিয়োগ বিধিতে এইউইও/এটিইও পদে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক গণ সকলেই বয়সসীমা শিথিল করে ৪৫ বছর পর্যন্ত বিভাগীয় উন্মুক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারতো।

কিন্তু নিয়োগ বিধি ২০১৯ ড্রাফট কপিতে শুধুমাত্র ৪৫ বছর পর্যন্ত বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে প্রধান শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে করে এই নিয়োগ বিধি চুড়ান্ত হলে সহকারী শিক্ষকরা আর কেউ বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাবেন না।

শুধু তাই নয় সহকারী থেকে প্রমোশনে যাওয়া বেশির ভাগ প্রধান শিক্ষক গণ এই সুযোগ পাবে না কারন প্রমোশন পেতে পেতে তাদের বয়স ৪৫ পার হয়েই যায়।

তাহলে এক সহজ হিসেবে বুঝা যায় কিছু সংখ্যক নন ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এই সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। অর্থ্যাৎ তারা অতি সহজেই অফিসার হয়ে যাবেন। তাহলে কি তাদের সুযোগ করে দিতেই এই নিয়োগ বিধি হতে যাচ্ছে?

অথচ প্রাথমিকে নিয়োগপ্রাপ্ত লক্ষাধিক তরুন, মেধাবী ও ইনার্জেটিক সহকারী শিক্ষক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যাদের উপরে ভর করে প্রাথমিক শিক্ষা এগিয়ে চলেছে। এসডিজি অর্জনে যারা অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন সহকারী শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য ও ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করুন। নতুবা যত কর্মসূচিই গ্রহন করুন কিছুই কাজে আসবে না। থমকে যাবে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা।

এই বিষয়ে অাপনার কোনো মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। নির্বাচিত কমেন্ট পোস্ট অাকারে শেয়ার করা হবে।

অাপনার লেখা অার্টিকেল বা প্রকাশ করতে অামাদেরকে ইমেইল করুনঃ banglanotice@gmail.com

শিক্ষা, সংস্কৃতি, চাকুরি, ভর্তি, পরীক্ষা, বৃত্তি, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমসাময়িক বাংলা সকল তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক ও ফলো করে রাখুন: https://facebook.com/banglanotice

আরও পড়ুন:

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ