ব্যাংক যেভাবে দেউলিয়া হবে
ব্যাংক যেভাবে দেউলিয়া হবে: গত কয়েকদিন আগে পদ্মার বর -কনেসহ নৌকাডুবির ঘটনা অনেকেরই জানা । তারপরও বলবো যারা এর মূল কারন জানেন নাই তাহলো, বর-কনেসহ যাত্রীবাহী নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে মানুষজন অযথা না বুঝে নৌকা ডুবে যাবে এই ভেবে তারা নৌকা থেকে লাভ দিতে শুরু করে।
কার্যত সবাই একসাথে লাফ দেয়ার কারণে নিউটনের তৃতীয় সূত্র মতে প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে এরই প্রেক্ষিতে প্রত্যেক মানুষের নৌকার উপর তাদের ওজন থেকে বেশি গুনে ভরবেগ প্রাপ্ত হয় এতে নৌকা কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে এবং ডুবে যায়। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
নৌকার ইঞ্জিন বিকল হলে নৌকা ডুবার তো কোন প্রশ্নই উঠে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই হত অন্য কোন নৌকা এসে তাদেরকে হয়তো উদ্ধার করতো। ঝড় তুফান তো ছিল না তাহলে তাদের ভয় কিসের ছিল ?
এইবার আসি ব্যাংকিং এর কথায় ব্যাংক যেভাবে দেউলিয়া হয়! বাংলাদেশ বর্তমানে সব কয়টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক মিলিয়ে মোট চলতি ঋণের পরিমাণ ১২ লাখ ২৮ হাজার পাঁচশ কোটি টাকার মতো, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে। অন্যদিকে আমানতের পরিমাণ ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটির মত। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো সব টাকা তো আর খেলাপিঋণ নয়। কথা হচ্ছে ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়িয়ে-থাকে মিডিয়ার উপর ।
ব্যাংকিং সেক্টরে যে মুনাফা আয় করে তারমধ্যে কেবলমাত্র ৭৫ পার্সেন্ট মুনাফা আয় করে বিনিয়োগ থেকে আর বাদবাকি মুনাফা অন্যান্য খাত থেকে আসে। তাহলে ব্যাংক তার আমানতের প্রায় ৯০ পার্সেন্ট বিনিয়োগ করে থাকে অন্যথায় ব্যাংক মুনাফা আয় করতে পারবেনা।
রাজনৈতিক কারণে বা স্বার্থন্বেষী কোন মহলের কারণে বা কোন কারনে ব্যাংকিং থেকে সুবিধা বঞ্চিত হলে কেউ যদি মিডিয়াতে কিছু বলে তাহলে সাধারন আমানতকারীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়। ব্যাংক তার আমানতের কতটুকু রক্ষাকারী। কথা হচ্ছে বিশ্বের এমন কোন ব্যাংক নেই যে চাইলে সব গ্রাহকের টাকা কিছুদিনের মধ্যে পরিশোধ করে দিতে পারবে কারণ পূর্বেই বলেছি প্রত্যেক ব্যাংকের প্রায় ৯০ পার্সেন্ট টাকা বিনিয়োগ খাতে থেকে যায়। গ্রাহক চাইলে যদি টাকা ফেরত না পায় তাৎক্ষণিক এর মানে এটা নয় যে ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গেছে।
সবাই যদি একসাথে তার আমানতের টাকা ফেরত পেতে চায় তাহলে দিতে না পারলে আপাতদৃষ্টিতে মিডিয়া অথবা না বোঝা মানুষ ওই ব্যাংকে দেউলিয়া বলে। শুরুতে যা বলছিলাম সবাই একসাথে লাফ দেয়ার কারণে নৌকাটি সেদিন ডুবে গিয়েছিল ।
ব্যাংকিংয়ে যে ৬ পার্সেন্ট আমানতের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করা হয়েছে এতে গ্রাহকগণ প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা কম সুদ পাবে তাহলে অধিক সুদের আশায় নন ব্যাংক ফাইন্যান্স কোম্পানি গুলো গ্রাহকের আমানত গুলো নিতে চাইবে অধিকহারে । এতে ব্যাংকিংয়ের সাথে একটা অসম প্রতিযোগিতা চলবে।
এতে সাধারণ গ্রাহকরা অধিক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কারণ ব্যবসায়ীরা তখন ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ নিতে চাইবে না কারণ তারা তখন ব্যাঙ্কিং থেকে ৯ পার্সেন্ট হারে বিনিয়োগ পাবে । তাহলে ওই টাকা একটি খারাপ মহলের মাধ্যমে পাচার হয়ে যেতে পারে। অথবা ছলছাতুরি পূর্ণ শেয়ার মার্কেটে ঢুকলে আমানতদারীতা নগদ টাকা হারিয়ে ঝুঁকিতে পড়তে পারে এতে একটি দেশের অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় আসতে পারে।
আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।
ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন–