সর্বশেষ আপটেড

বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন

এসএসসি ২০২১ সালের পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ষষ্ঠ সপ্তাহের মানবিক বিভাগের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন সংক্রান্ত একটি আর্টিকেল নিয়ে এলাম। আশা করছি এটি অনুসরণের মাধ্যমে তোমরা ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ষষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট সমাধান খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।

এসএসসি ২০২১ সালের ষষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর

এসএসসি ২০২১ সালের ষষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর

অ্যাসাইনমেন্ট : বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন।

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি) :

  • বারিমন্ডল, মহাসাগর, সাগর ও উপসাগরের বর্ণনা
  • সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ চিহ্নিতকরণ ও এদের বর্ণনা
  • বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের বর্ণনা

বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন

তারিখঃ
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জি.এম.হাট উচ্চ বিদ্যালয়
ফুলগাজী,ফেনী

বিষয়ঃ বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে,আপনার আদেশ নং ম.উ.বি. ২৫৬-৮ তারিখঃ২৩-৮-২০২১ অনুসারে “বারিমণ্ডলের ধারনাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে বিশ্লেষন ” শীর্ষক প্রতিবেদন নিম্নে দেওয়া হলো।

ক) বারিমণ্ডল, সাগর উপসাগর, মহাসাগরের বর্ণনা

বারিমণ্ডের ধারণা (Concept of Hydrosphere)

Hydrosphere – এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমণ্ডল। Hydro শব্দের জর্থ পানি এবং Sphereশব্দের অর্থ মণ্ডল। আমরা জানি পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে পানি। এ বিশাল জলরাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন তিন্ন অবস্থায় থাকে যেমনঃকঠিন (বরফ), গ্যাসীয় (জলীয়বাম্প) এবং তরল। বায়ুমন্ডলে পানি রয়েছে জলীয়বাম্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে রয়েছে তরল ও কঠিন অবস্থায় এবং ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি। সুতরাং বারিমণ্ডল বলতে বোঝায় পৃথিবীর সকল জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ।

ক) বারিমণ্ডল, সাগর উপসাগর, মহাসাগরের বর্ণনা, Concept of Hydrosphere

পৃথিবীর সকল জলরাশির শতকরা ৯৭ ভাগ পানি রয়েছে সমুদ্রে (মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর)। মাত্র ৩ ভাগ পানি রয়েছে মদী, হিমবাহ, মৃত্তিকা, বাযুমন্ডল ও জীবমন্ডলে। পৃথিবীর সমস্ত পানিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন লবনাক্ত ও মিঠা পানি। পৃথিবীর সকল মহাসাগর, সাগর ও উপসাপরের জলরাশি লবনাক্ত এবং নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি মিঠা পানির উৎস।

 পৃথিবীর সকল মহাসাগর, সাগর ও উপসাপরের জলরাশি লবনাক্ত এবং নদী,
ছকঃ জলরাশির অবস্থান ভিত্তিক বিবরণ ও জলরাশির হার

মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর

বারিমন্ডলের উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ বিশাল লবনাক্ত জলরাশিকে মহাসাগর বলে। পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর দক্ষিণ মহাসাগর। এর মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর বৃহত্তম ও গভীরতম (সারণি ২)। আটলান্টিক মহাসাগর ভগ্ন উপকূলবিশিষ্ট এবং এটি অনেক আবদ্ধ সাগরের সৃষ্টি করেছে। ভারত মহাসাগর এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ দ্বারা পরিবেষিত। ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে এন্টার্কটিকার হিমভাগ পর্যন্ত দক্ষিণ মহাসাগরের অবস্থান। দক্ষিণ মহাসাগরের দক্ষিণে এন্টার্কটিকা মহাদেশ বছরের সকল সময় বরফে আচ্ছন্ন থাকে । উত্তর গোলার্ধের উত্তর প্রান্তে উত্তর মহাসাগর অবস্থিত এবং এর চারদিক স্থলবেষ্টিত।

মহাসাগর অপেক্ষা স্বল্প আয়তনবিশিষ্ট জলরাশিকে সাগর বলে। যথাভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর, ক্যরিবিয়ান সাগর, জাপান সাগর ইত্যাদি। তিনদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং একদিকে জল তাকে উপসাগর বলে। যথাঃবঙ্গোপসাগর, পারস্য উপসাগর ও মেক্সিকো উপসাগর ইত্যাদি। চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে হ্রদ বলে। যথা- রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ, আমেরিকা যুক্তরাজ্য ও কানাডার সীমান্তে অবস্থিত সুপিরিয়র হ্রদ ও আফ্রিকার ভিষ্টোরিয়া হ্রদ ইত্যাদি।

খ) সমুদ্রের তলদেশে ভূমিরূপ চিহ্নিতকরণ ও এর বর্ণনা

সমুদ্রের তলদেশে ভুমিরূপঃ

ভূপৃষ্ঠের উপরের ভূমিরূপ যেমন উচুনিচু তেমনি সমুদ্র তলদেশও অসমান। কারণ সমুদ্রতলে আগ্নেয়গিরি, শৈলশিরা, উচ্চভূমি ও গভীর খাত প্রভৃতি বিদ্যমান আছে। শব্দতরঙ্গের সাহায্যে সমুদ্বের গভীরতা মাপা হয়। এ শব্দতরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে পানির মধ্য দিয়ে প্রায় ১,৪৭৫ মিটার নিচে যায় এবং আবার ফিরে আসে। ফ্যাদোমিটার যন্ত্রটি দিয়ে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা-

  • ১) মহীসোপান
  • ২) মহীঢাল
  • ৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি
  • 8) নিমজ্জিত শৈলশিরা
  • ৫) গভীর সমুদ্রখাত
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিরূপ

(১) মহীসোপান :

পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরুপে সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১° কোণে সমুদ্র তলদেশে নিমজ্জিত থাকে। মহীসোপানের গড় প্রশস্ততা ৭০ কিলোমিটার। মহীসোপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে উপকূলীয় ঢাল বলে। মহীসোপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয়।

উপকৃলভাগের বন্ধুরতার উপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে। উপকূল যদি বিস্তৃত সমভূমি হয়, তবে মহীসোপান অধিক প্রশস্ত হয়। মহাদেশের উপকূলে পর্বত বা মালভূমি থাকলে মহীসোপান সংকীর্ণ হয়। ইউরোপের উত্তরে বিস্তীর্ণ সমভূমি তবে ইউরোপের উত্তর পশ্চিমে পৃথিবীর বৃহত্তম মহীসোপান অবস্থিত। মহীসোপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশ উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে দেখতে পাওয়া যায়। অথচ এর পশ্চিমে উপকূল বরাবর উত্তর দক্ষিণ ভঙ্গিল রকি পর্বত অবস্থান করায় সেখানে মহীসোপান খুবই সংকীর্ণ। আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ স্থান মালতুমি বলে এর পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মহীসোপান খুবই সরু। সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গ ও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে।

২) মহীঢাল :

মহীসোপানের শেষ সীমা থেকে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবেনেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশের সঙ্গে মিশে যায়। এ ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে। সমুদ্রে এর গভীরতা ২০০ থেকে ৩,০০০ মিটার। সমুদ্র তলদেশের এ অংশ অধিক খাড়া হওয়ার জন্য প্রশস্ত কম হয়। এটি গড়ে প্রায় ১৬ থেকে ৩২ কিলোমিটার প্রশস্ত। মহীঢালের উপরিভাগ সমান নয়। অসংখ্য আস্তঃসাপরীয় গিরিখাত অবস্থান করায় তা খুবই বন্ধুর প্রকৃতির। এর ঢাল মৃদু হলে জীবজন্তুর দেহাবশেষ, পলি প্রভৃতির অবক্ষেপণ দেখা যায়।

(৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি :

মহীঢাল শেষ হওয়ার পর থেকে সমুদ্র তলদেশে যে বিস্তৃত সমভূমি দেখা যায় তাকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে। এর গড় গভীরতা ৫,০০০ মিটার। এ অঞ্চলটি সমতুমি নামে খ্যাত হলেও প্রকৃতপক্ষে তা কম্ধুর। কারণ গভীর সমুদ্রের সমভূমির উপর জলমগ্ন বহু শৈলশিরা ও উচ্চভূমি অবস্থান করে। আবার কোথাও রয়েছে নানা ধরনের আগ্নেয়গিরি। এ সমস্ত উচ্চভূমির কোনো কোনোটি আবার জলরাশির উপর অবস্থান করে। সমুদ্রের এ গভীর অংশে পলিমাটি, আগ্নেয়গিরি থেকে উঠা লাভা সঞ্চিত হয়। এ সকল সঞ্চিত পদার্থ স্তরে স্তরে জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে।

(8) নিমজ্জিত শৈলশিরা :

সমুদ্রের অভ্যন্তরে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। এসব আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে এসে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়ে শৈলশিরার ন্যায় ভুমিরুপ গঠন করেছে। এগুলোই নিমজ্জিত শৈলশিরা নামে পরিচিত। নিমজ্জিত শৈলশিরাগুলোর মধ্যে মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ।

(৫) গভীর সমুদ্রখাত :

গভীর সমুদ্রের সমভুমি অঞ্চলের মাঝে মাঝে গভীর খাত দেখা যায়। এ সকল খাতকে গতীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্লেট সীমানায় অবস্থিত। এ প্লেট সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এ সকল খাত সৃষ্কি হয়েছে। এ খাতগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্$। এদের গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,৪০০ মিটারের অধিক।

প্রশান্ত মহাসাগরেই গতীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক। এর অধিকাংশই পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এ সকল গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে গুয়াম দ্বীপের ৩২২ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ম্যারিয়ানা খাত সর্বাপেক্ষা গভীর। এর গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার এবং এটাই পৃথিবীর গভীরতম খাত। এছাড়া আটলান্টিক মহাসাগরের পোটোরিকো খাত (৮,৫৩৮ মিটার), ভারত মহাসাগরের খাতকে গতীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুপ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্রেট সীমানায় অবস্থিত। এ প্লেট সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এ সকল খাত সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট। এদের গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,৪০০ মিটারের অধিক।

গ) সামুদ্রিক সম্পদের বিবরণসহ বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদ

সমুদ্র বা বিশ্ব মহাসাগর হল লবণাক্ত জলের পরস্পর সংযুক্ত জলরাশি, যা পৃথিবীর উপরিতলের ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ আবৃত করে রেখেছে। সমুদ্র পৃথিবীর জলবায়ুকে সহনীয় করে রাখে এবং জলচক্র, কার্বন চক্র ও নাইট্রোজেন চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ সমুদ্র পরিভ্রমণ করছে ও সমুদ্রাভিযান চালিয়ে আসছে। তবে সমুদ্র-সংক্রান্ত বিজ্ঞানসম্মত চর্চা বা সমুদ্রবিজ্ঞানের সূচনা ঘটে মোটামুটিভাবে ১৭৬৮ থেকে ১৭৭৯ সালের মধ্যে ক্যাপ্টেন জেমস কুকের প্রশান্ত মহাসাগর অভিযানের সময়।

নদী, পুকুর ও জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের দরিদ্র মানুষদের বড় অংশ এখনো যথেষ্ট পরিমাণে মাছ পাচ্ছে না। সমুদ্রসীমা জয়ের মাধ্যমে আমরা যে পরিমাণে মাছ আহরণ করছি, তার চেয়ে দ্বিগুণ মাছ আহরণ করা সম্ভব। এ জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে রাখতে হবে। এতে বঙ্গোপসাগর হবে মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের খনি।

দেশে সামুদ্রিক মৎ গতকাল বৃহস্পতিবার ‘সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতি ও মৎস্যজীবীদের কল্যাণ’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রথম আলো ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ যৌথভাবে বৈঠকটির আয়োজন করে।

মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর পেছনে ওয়ার্ল্ডফিশের বিজ্ঞাননির্ভর গবেষণা বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু চিংড়িতে এখনো আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। চিংড়ি চাষের ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৫০০ টাকা খরচ করতে চান না রপ্তানিকারকেরা। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনছেন। এসব কারণে চিংড়ি চাষে আমরা এগোতে পারছি না। আমাদের মৎস্যসম্পদের অন্যতম রক্ষাকবচ হচ্ছে সুন্দরবন। সেখানে বেশি মাছ ধরা হচ্ছে, অবৈধ জাল ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ, সেখানে মৎস্য অধিদপ্তরের কোনো কার্যক্রম নেই। বন বিভাগ এককভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করায় আমরা সেখানকার সম্পদ রক্ষায় সহায়তা দিতে পারছি না।

বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন

মৎস্য সম্পদ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে মৎস্য সম্পদের অবদান শতকরা প্রায় ৫ ভাগ। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ৪.৩৭%। এটির সাথে যুক্ত আরেকটি বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি বা Blue Economy অর্থনীতির এমন একটি বিষয় যেখানে একটি দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ কিংবা সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতি। অর্থাৎ, সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যে কোন সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়, তাই ব্লু -ইকোনমির বা সুনীল অর্থনীতির পর্যায়ে পড়বে।

সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। সমুদ্র, মাছ এবং মত্স্য সম্পদের মাধ্যমে খাবার চাহিদা মেটায়, মানুষ এবং পন্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয়। এছাড়াও সমুদ্র নানা ধরনের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ যেমন বালি, লবণ, কবাল্ট, গ্রাভেল, এবং কপার ইত্যাদির আধার হিসেবে ব্যবহূত হয় এবং তেল ও গ্যাস আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে সমুদ্র প্রয়োজন হয়। এসব উপাদান সমষ্টিকেই বলা হয় সুনীল অর্থনীতি (Blue Economy)| সুনীল অর্থনীতির এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করা, সামাজিক পুঁজির সৃষ্টি করা, আয় বাড়ানো এবং সর্বোপরি পরিবেশে সঞ্চয়-বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।

বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদঃ

বাংলাদেশের প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে অনেক সামুদ্রিক সম্পদ। এর সমুদ্র তলদেশে ৪৪২ প্রজাতির মৎস্য,বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, নানারকম কাকড়া, ম্যানগ্রোভ বনসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জলজ উদ্ভিদ। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় পারমাণবিক খনিজ জিরকন, মোনাজাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, রিওটাইল ও লিউকব্সেন পাওয়া গেছে। এছাড়া সমুদ্র তলদেশে রয়েছে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদ।

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ

নামঃ শাখাওয়াত হোসেন
১০ম শ্রেণি, রোলঃ ০১
জি.এম.হাট উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলগাজী, ফেনী

বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের জন্য ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ষষ্ঠ সপ্তাহের মানবিক বিভাগের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর। আশা করছি এর মাধ্যমে তোমরা বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারবে এবং মূল্যায়নের সর্বোচ্চ নম্বর পাবে।

৬ষ্ঠ সপ্তাহে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের অন্যান্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান

[ninja_tables id=”10969″]

আরো দেখুন-

সকল স্তরের সব সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমূহের বাছাই করা উত্তরসমূহ দেখার জন্য নিচের বাটনে ক্লিক করে বাংলাদেশের সেরা অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার গ্রুপে যোগ দিন। এখানে দেশের সকল প্রান্তের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান করছেন। 

এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ অ্যাসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহ সকল অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান

[ninja_tables id=”10942″]

বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন; এসএসসি ২০২১ সালের ষষ্ঠ সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর ;

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ