সর্বশেষ আপটেড

অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়

এসএসসি ও দাখিল ২০২২ এর সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য প্রণীত এসএসসি ২০২২ (১০ম শ্রেণি) ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর উত্তর– “অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়” নিজেসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণের আলােকে একটি রিপাের্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। তোমরা যারা সরকারি, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসমূহের দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত আছো তোমাদের ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের একটি নির্ধারিত কাজ দেয়া হয়েছিল। যথাযথ মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে তোমাদের জন্য দশম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর বাছাই করা একটি নমুনা উত্তর দেওয়া হল।

দশম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য প্রণীত এই উত্তরটি/সমাধানটি (অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়) অনুসরণ করে তোমরা মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

দাখিল ১০ম শ্রেণি ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

৭ম সপ্তাহে দাখিল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পাঠ্যবইয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে একটি নির্ধারিত কাজ দেয়া হয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গ্রহণ করার পর অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে।

একটি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আইসিটি পাঠ্য বইয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট এবং এরপর সর্ব মোট আটটি অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত হবে এই বিষয়ের উপর।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রথম অ্যাসাইনমেন্টের ১৬ নম্বর এর মধ্যে ১২ থেকে ১৬ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অতি উত্তম, ১১ থেকে ১২ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উত্তম, ৮ থেকে ১০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভালো, এবং ০ থেকে ৭ পাওয়া শিক্ষার্থীরা অগ্রগতি প্রয়োজন হিসেবে চিহ্নিত হবে।

নিচের ছবিতে দাখিল দশম শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের তথ্য-ও-যোগাযোগ-প্রযুক্তি নির্ধারিত কাজ বা এসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

স্তরঃ এসএসসি পরীক্ষা ২০২২, শ্রেণিঃ এসএসসি ১০ম, বিভাগঃ সকল, বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), এ্যাসাইনমেন্ট নং-১

অ্যাসাইনমেন্টঃ “অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়” নিজেসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণের আলােকে একটি রিপাের্ট প্রণয়ন।

শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ অধ্যায়: • বাংলাদেশে ই-লার্নিং এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে। • বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্সের প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে পারবে। • বাংলাদেশে ই-সার্ভিসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে। • বাংলাদেশে ই-কমার্সের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

  • অনলাইনভিত্তিক সেবার ধারণা,
  • ই-গভর্ন্যান্স এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা,
  • পরিবারের সদস্যের ই-সেবা গ্রহণের সুযােগসমূহ উল্লেখ করে বর্ণনা,
  • কোভিড কালে তুমি অনলাইন সেবা নিয়ে কীভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছ তার বর্ণনা।

এসএসসি, দাখিল ২০২২ (১০ম শ্রেণি) ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর বাছাইকরা উত্তর

অনলাইন ভিত্তিক সেবার ধারণাঃ

ই সার্ভিস এর পূর্ণরূপ হল ইলেকট্রনিক সার্ভিস। আর সার্ভিস বিভিন্ন অনলাইন সেবাকে বুঝায়। ইন্টারনেট অনলাইনে যে সেবা পাবেন তাই হচ্ছে ই-সার্ভিস বা ইলেকট্রনিক সেবা। যেমনঃ সরকারি এবং বেসরকারি অনেক সেবা মূলক সংস্থা সার্বক্ষণিকভাবে অথবা সময়ে সময়ে দেশের জনগণকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে । এই সেবা হতে পারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত কিংবা কোন জমির দলিলের নকল সরবরাহ করা।

ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ার পূর্বে এই সকল সেবার ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতা কে অবশ্যই সেবাদাতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে হতো। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাগ্রহীতা নিজ বাড়িতে বসে মোবাইল ফোনে বা ইন্টারনেটে একই সেবা গ্রহণ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য কোন আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট সংগ্রহের কথা বিবেচনা করা যায়। কিছুদিন পূর্বেও এই টিকেট সংগ্রহের জন্য যাত্রী নিজে অথবা তার কোন লোকের ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হতো। এ পদ্ধতি এখনো বহাল আছে। তবে, এর পাশাপাশি এখন যে কেউ অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। অনলাইনে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করা যায়। এভাবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের ব্যাপারটি ই- সার্ভিস বা ই-সেবা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

ই-গভর্নেন্স এর গুরুত্বঃ

গুড গভর্নেন্স বা সুশাসনের জন্য দরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা। ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রচলন এর ফলে সরকারি ব্যবস্থাসমূহকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থা সমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।এর ফলে নাগরিকের হয়রানি ও বিরম্বনার অবসান ঘটে এবং দেশে সুশাসনের পথ নিষ্কণ্টক হয়। শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই- গভর্নেন্স।

★অতীতে এমন একটা সময় ছিল যখন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা ছিল পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য এক বিড়ম্বনার ব্যাপার। বিশেষ করে প্রধান প্রধান শহর থেকে দূরবর্তী গ্রামে অবস্থানরতদের পক্ষে এটি ছিল দুষ্কর। মাত্র দুই দশক আগেও এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ৭ দিন পরেও অনেকে তাদের ফলাফল জানতে পারত না। কিন্তু বর্তমানে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যায়। ফলে ফলাফল জানা যে বিড়ম্বনা ছিল সেটার অবসান হয়েছে।

★শিক্ষাক্ষেত্রে ই-গভর্নেন্সের আরো একটি উদাহরণ হল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মোবাইল ফোনের আবেদন করার সুবিধা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পূর্বের যশোর জেলায় একজন শিক্ষার্থীর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে ইচ্ছুক হলে তাকে অনেকগুলো কাজ সম্পন্ন করতে হতো। এজন্য নিজে অথবা প্রতিনিধিকে সিলেট গিয়ে একবার ভর্তির আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং পরে আবার আবেদনপত্র জমা দিতে হতো। বর্তমানে মোবাইল ফোনেই এ আবেদন করা যায়। ফলে ভর্তি ইচ্ছুকদের ভর্তির আবেদন ফরম জোগাড়ও জমা দেওয়ার জন্য শহর থেকে শহরে ঘুরতে হয় না। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে এবং অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।

অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়

★জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল সেবা স্বল্প সময়ে, কম খরচে এবং ঝামেলাহীনভাবে পাওয়ার জন্য চালু হয়েছে জেলা ই-সেবা কেন্দ্র । এর ফলে আগে যেখানে কোনো সেবা পেতে ২/৩ সপ্তাহ লাগতো সেটি এখন মাত্র ২-৫ দিনে পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তথ্য ডিজিটালকরণের পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ৮০-৯০ শতাংশ সময় কম লাগছে। সেবা প্রদানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দলিল, পর্চা প্রভৃতির নকল প্রধানের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সক্ষমতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

★নাগরিক যন্ত্রণার একটি উদাহরণ হলো পরিষেবা সমূহের বিল পরিশোধ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদি বিল পরিশোধের গতানুগতিক পদ্ধতি খুবই সময়সাপেক্ষ এবং যন্ত্রণাদায়ক, কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি সম্পূর্ণ কর্মময় দিন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধেই নাগরিককে ব্যয় করতে হয়।কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন কিংবা অনলাইনে বিল পরিশোধ করা যায়। কেবল বিদ্যুৎ না পানি ও গ্যাসের বিল এখন অনলাইনে ও মোবাইলে পরিশোধ করা যায়।

গভর্নেন্স এর মূল বিষয় হল নাগরিকের জীবনমান উন্নত করা এবং হয়না মুক্ত রাখা। ই-গভর্নেন্স এর মাধ্যমে কোন কোন কার্যক্রম ৩৬৫ দিনের ২৪ ঘন্টা করা সম্ভব। যেমন – ATM সেবা, Mobile ব্যাংকিং, তথ্যসেবা ইত্যাদি। ফলে, নাগরিকরা নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারে ।
অন্যদিকে, ই-গভর্নেন্স চালুর ফলে সরকারি দপ্তরসমূহের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মীদের দক্ষতা ও বেড়েছে, ফলে, দ্রুত সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে।

পরিবারের সদস্যদের ই-সেবা গ্রহণের সুযোগ সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

১. ই-পুর্জিঃ দেশের প্রথম দিককার ই-সেবাসমূহের একটি। দেশের ১৫ টি চিনি কল রয়েছে। সকল আখচাষি এখন এসএমএস এর মাধ্যমে পূর্জি তথ্য পাচ্ছে। পূর্জি হচ্ছে চিনিকলসমূহে কখনো আখ সরবরাহ করতে হবে সেজন্য আওতাধীন আখচাষিদের দেওয়া একটি অনুমতি পত্র। এসএমএসের মাধ্যমে আখচাষিরা তাৎক্ষণিকভাবে পূর্জির তথ্য পাচ্ছে বলে এখন তাদের হয়রানি ও বিড়ম্বনার অবসান হয়েছে। পাশাপাশি সময়মতো আখের সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় চিনিকলে উৎপাদন বেড়েছে।

২. ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (ই-এমটিএসঃ) বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম এর মাধ্যমে দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের নিরাপদে, দ্রুত ও কম খরচে টাকা পাঠানো যায়। ১ মিনিটের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পর্যন্ত পাঠানো যায়। দেশের প্রায় সকল ডাকঘর এই সেবা পাওয়া যায়।

৩. ই-পর্চা সেবাঃ বর্তমানে দেশের সকল জমির রেকর্ড এর অনুলিপি অনলাইনে সংগ্রহ করা যায়। এটিকে বলা হয় ই-পর্চা। পূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীগণ বড় বড় রেকর্ড বই থেকে তথ্যসমূহ পূর্ব নির্ধারিত ছকে পূরণ করে আবেদনকারীকে সরবরাহ করতেন। এ জন্য আবেদনকারীকে যেমন সরাসরি উপস্থিত হতে হবে তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মীরাও গতানুগতিক পদ্ধতিতে পর্চা তৈরি করতেন। বর্তমানে এটি ই -সেবার আওতায় আসাতে আবেদনকারী দেশ-বিদেশের যেকোন স্থানে থেকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে পর্চা সংগ্রহ করতে পারেন।

অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়

৪. ই-স্বাস্থ্য সেবাঃ বিভিন্ন সরকারের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকরা এখন মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।এজন্য দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে একটি করে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। দেশের যেকোনো নাগরিক এভাবে যে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে পারেন। এছাড়া দেশের কয়েকটি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু হয়েছে।এর মাধ্যমে রোগী হাসপাতালে না এসেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা ও পরামর্শ পাচ্ছেন।

৫. রেলওয়ে ই টিকেটিং ও মোবাইল টিকেটিংঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট এখন মোবাইল ফোনেও ক্রয় করা যায়। আবার অনলাইনেও টিকেট সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে নিজের সুবিধামতো সময়ে রেলস্টেশন না গিয়েও নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকেট সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে।মোবাইল ফোন বা অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করা হলে ট্রেন ছাড়ার অল্প সময় পড়বে যাত্রীকে স্টেশন যেতে হয় এবং মোবাইল ফোন বা অনলাইনে প্রাপ্ত গোপন নম্বর প্রদর্শন করে সেখানে নির্ধারিত কাউন্টার থেকে যাত্রার টিকেট সংগ্রহ করে নিতে হয়।

কোভিড কালে আমি অনলাইন সেবা নিয়ে যেভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিঃ

বিশ্বজুড়ে এখন বড় আতঙ্কের নাম কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাস। আমরা এমন একটা সময় পার করছি যখন বাংলাদেশে প্রতিদিনই বেড়ে চলছে আক্রান্ত সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা।অন্য সবকিছুর মতো স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। লাখ লাখ শিক্ষার্থী ঘরবন্দি হয়ে দিন গুনছেন এক অজানা ভবিষ্যতের। এই মুহূর্তে দেশব্যাপী ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয়তা ও আমরা বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ ব্যবহার করে এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডিজিটাল শিক্ষা পৌঁছে যাচ্ছে বিশেষ করে এই দুর্যোগ মুহূর্তে অনলাইন প্লাটফর্ম হতে পারে শিক্ষার প্রধান মাধ্যম। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অনলাইন শিক্ষা বা ই-লার্নিং এখন বেশ প্রয়োজনীয় বটে। এ কটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেকোন স্থান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। ই-লার্নিং এর ৮০ শতাংশ বেশি পাঠ কার্যক্রম ইন্টারনেট নির্ভর। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ,আই)মেশিন লার্নিং ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে অনলাইন শিক্ষাকে আরোও ‘কমিউনিকেটিভ’ করা যাচ্ছে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ৫০-৬০ জনের ক্লাসে প্রতি ছাত্রকে ধরে ধরে শিক্ষককে দেখিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। ই-লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যথোপযুক্ত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে এটা বেশ উপকারী হবে।এই করোনা সংকটে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সাথে যুক্ত রাখতে এবং মানসিক সাপোর্ট এর জন্য অনলাইন ক্লাস হতে পারে একটি কার্যকর পদ্ধতি।

এই ছিল তোমাদের এসএসসি, দাখিল ২০২২ (১০ম শ্রেণি) ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর বাছাইকরা উত্তর- অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়।

আরো দেখুন-

অনুমতিবিহীন বাংলা নোটিশ এর কোন তথ্য কপি করে কোন ওয়েবসাইটে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করলে সাথে সাথেই গুগলে কপিরাইট ক্লেইম করা হবে। তোমাদের প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ ডট কম এর এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও। এখানে এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পেয়ে যাবে।

এছাড়াও তোমার মনে থাকা যেকোন প্রশ্ন এখানে করার সুযোগ রয়েছে; নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও;

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ