পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের ফোন ছিনতাইয়ের পর রাজধানীর ছিনতাই পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে ভাবছে পুলিশ। বিশেষ করে পেশাদার ছিনতাইকারীদের ধরতে শিগগিরই মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইতোমধ্যে রাজধানীর থানাওয়ারী ছিনতাইকারীদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এতে ৫ শতাধিক ছিনতাইকারীর নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এমনকি কয়েকজনের মোবাইল নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত তালিকার একটি কপি সম্প্রতি যুগান্তরের হাতে আসে। এতে দেখা যায়, রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী তালিকাভুক্ত হয়েছে ভাটারা থানায়। যার সংখ্যা ৩৪ জন। এছাড়া মিরপুর, উত্তরা, শাহবাগ, পুরান ঢাকা এলাকায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে কম ছিনতাইপ্রবণ এলাকার মধ্যে রাজধানীর উত্তরখান এবং দক্ষিণখান অন্যতম। এ এলাকায় মাত্র ৩ জন ছিনতাইকারীর নাম পেয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ঢাকায় তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারীর সংখ্যা ৫৮৪ জন। এদের মধ্যে কেউ অজ্ঞান পার্টি, কেউ মলম পার্টি কেউবা সালাম পার্টির সদস্য। ছিনতাইকারীদের একটি বড় অংশ পেশাদার মাদকসেবী হিসাবে পুলিশের তালিকাভুক্ত।
রাজধানীর ছিনতাইকারীদের তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘সক্রিয় ছিনতাইকারী বলতে যাদেরকে বোঝায় এরকম ৫ শতাধিক ছিনতাইকারীর তালিকা আমাদের কাছে আছে। এরা পেশাদার ছিনতাইকারী। এদের অনেকে নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য ছিনতাই করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মহামারিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া। তবে এটা স্বীকৃত বিষয় যে, কর্মসংস্থান যত সংকুচিত হবে, অপরাধ তত বাড়বে। অবশ্য এজন্য আমরা নজরদারি আরও বাড়িয়েছি। ফলে ছোটখাটো ছিনতাই হলেও বড় ধরনের ঘটনা যেমন, ব্যাংকের সামনে থেকে বা অন্য কোথাও বড় অঙ্কের অর্থ ছিনতাইয়ের ঘটনা শহরে একেবারেই ঘটেনি।’
পুলিশ বলছে, রাজধানীতে সক্রিয় ছিনতাইকারীদের মূলত ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি চক্র নির্জন অলিগলিতে টার্গেটের সন্ধানে ওতপেতে থাকে। তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে পথচারীদের টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়। এদের কেউ কেউ ছিনতাইয়ের কাজে ধারালো অস্ত্রের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে।