দেশে করোনাভাইরাসের মহামারি চলছে। হাজার হাজার আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা মহামারিতে ডেঙ্গির হানায় দিনে ৩০ থেকে ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি।
এ পরিস্থিতিতে দেশে ডেঙ্গিজ্বরের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসাধীন অনেকের মধ্যেই ডেঙ্গি হেমোরেজিক সিনড্রোম লক্ষ করা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্যমতে, বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় বসবাস করেন। এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, আমেরিকা, আফ্রিকা ও ক্যারেবীয় অঞ্চলের প্রায় ১০০টি দেশে এ রোগের বিস্তার রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে প্রতিবছর ৫ থেকে ১০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৫ লাখ মানুষ হেমোরেজিক জ্বরে ভোগেন আর কমপক্ষে ২২ হাজার মানুষ মারা যান। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশই শিশু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৫ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী শনাক্ত হন ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯, মার্চে ১৩, এপ্রিলে ৩, মেতে ৪৩ এবং জুনে ২৭১ জন। জুলাইয়ের প্রথম ৬ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ১৩১ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। এই সময়ে ঢাকার বাইরে ১ জনের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছে, ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার পর যাদের হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে না, বা যারা খুব দুর্বল হয়ে পড়ছেন না তারা পরীক্ষাও করাতে যাচ্ছে না। ফলে অনেক রোগী থেকে যাচ্ছে শনাক্তের বাইরে।